— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মহারাষ্ট্রে ২২ জন জেলা কংগ্রেস প্রধান যোগ দিতে চলেছে বিজেপিতে! এমনটাই দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। তিনি এও জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে আগামী ৪ এপ্রিল। মনে করা হচ্ছে, সেই ঘোষণায় থাকতে পারে চমক।
গড়চিরোলির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক নামদেও উসেন্ডি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। সেই নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাওয়ানকুলে। তখনই ২২ জন কংগ্রেসের নেতার বিজেপিতে যোগদানের ইঙ্গিত করেন। তার পরেই তিনি একহাত নেন কংগ্রেসকে। সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে জানান, তিনি ২০৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তাঁর নেতৃত্বে কেউ ভরসা রাখতে পারেন না। বাওয়ানকুলের কথায়, ‘‘বার বার রাহুল অনগ্রসর শ্রেণি এবং জনজাতির মানুষজনকে অপমান করেন। ভারত জোড়ো যাত্রার সময় স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরকেও অপমান করেছেন।’’
বিজেপির বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ উঠেছে, অন্য দল ছাড়লেই আহ্বান জানায় তারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, এই নিয়ে কংগ্রেসের সমীক্ষা করা উচিত। তিনি জানান, এর আগে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তার পর কংগ্রেস ছেড়ে নন্দুরবারের পাঁচ বারের বিধায়ক পদ্মকর ভালভি যোগ দিয়েছেন। এখন নামদেও ডাল্লুজি উসেন্ডিও যোগ দিতে চলেছেন। জনজাতির মানুষদের নিয়ে অনেক কাজ করেছেন তিনি। জনজাতির মানুষজন প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভরসা রাখেন। বাওয়ানকুলে জানান, দ্রৌপদী মুর্মু যে ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, তার নেপথ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে মোদীর। দ্রৌপদীই প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।
এখানেই থামেননি বাওয়ানকুলে। তিনি বলেন, ‘‘নতুন যাঁরা যোগ দেন দলে, তাঁদের নিয়ে বিজেপিতে কোনও ক্ষোভ নেই। যাঁরা জাতীয় স্বার্থে আমাদের দলে যোগ দেন, তাঁদের সকলকে আমরা আহ্বান জানাই। সকলকে স্থান দেওয়ার জন্য আমাদের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে।’’ বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, মোদী এবং মহারাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি দেবেন্দ্র ফডণবীসের নেতৃত্বে ২০২৯ সালে ভারত পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে। সম্প্রতি প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে একাধিক কংগ্রেস নেতাও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজ্য সভাপতির দাবি, আরও কয়েক জন যোগ দেবেন।