বাঁ দিক থেকে, তেজস্বী এবং রাহুল। — ফাইল চিত্র।
জোট বদলের পরে বিহার বিধানসভায় আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে রয়ে গিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। এই পরিস্থিতিতে বিহারে শাসকজোটের বৃহত্তম শরিক বিজেপি বিরোধী জোটে ভাঙন ধরানোর কাজ শুরু করেছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার নীতীশ মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরির উপস্থিতিতে কংগ্রেসের দুই এবং আরজেডির এক বিধায়ক বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করার পরে সেই অভিযোগ আরও তীব্র হয়েছে।
কংগ্রেসের মুরারী গৌতম এবং সিদ্ধার্থ সৌরভের পাশাপাশি প্রভাবশালী আরজেডি বিধায়ক সঙ্গীতা দেবী মঙ্গলবার সম্রাটের পাশে বসে বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করেন। রোহাতাস জেলার চেনারীর বিধায়ক মুরারী বিহারের পূর্বতম মহাগঠবন্ধন সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। সিদ্ধার্থ পটনা জেলার বিক্রম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে গত দু’টি নির্বাচনে জিতেছেন। কৈমুর জেলার মোহানিয়া কেন্দ্রে বিধায়ক সঙ্গীতা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন।
গত জানুয়ারিতে নীতীশের জোটবদলের পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের অন্তত ১০ জন দল ছাড়তে চলেছেন। ভাঙন ঠেকাতে সে সময় তড়িঘড়ি বিধায়দের কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গনার একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত লোকসভা ভোটের আগে মগধভূমে দলের ভাঙন এড়াতে পারলেন না রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের কাছে আরজেডি বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান কিছুটা অপ্রত্যাশিত।