রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত আরামবাগ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ১৪:২৫
Share:

পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামে জ্বলছে বাড়ি।

রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত হল হুগলির আরামবাগ থানার হরিণখোলার পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকা। সোমবার সকালে এলাকায় বোমাবাজি, বিজেপি সমর্থকদের মারধর, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুঠপাটের পাশাপাশি খড়ের গাদায় এবং তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তরফে যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় পুলিশি টহলের পাশাপাশি নামানো হয়েছে র্যাফও।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। অভিযোগ, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া স্থানীয় জয়নাল খান ও তাঁর সঙ্গীদের উপর আক্রমণ চালায় তৃণমূল সমর্থকেরা। পাল্টা হামলা চালায় বিজেপি-ও। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিনের সিপিএম কর্মী জয়নাল প্রথমে সিপিআই এবং পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এলাকায় অবৈধ বালির খাদান চালানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত রাতের ওই সংঘর্ষে দু’জন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁদের আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে ওই রাতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় বিজেপি-র চার জন সমর্থক আহত হন। হাসপাতাল থেকে তাঁদের প্রাথমিক চিকিত্‌সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে পূর্ব কৃষ্ণপুরের বেশির ভাগ পুরুষই ঘরছাড়া।


পুড়ছে ঘরের আসবাবপত্র।

Advertisement

গত রাতের সংঘর্ষের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। এ দিন সেই রেশ ধরে ফের সংঘর্ষ শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী এলাকায় হামলা চালায়। বোমাবাজির পাশাপাশি এলাকায় মিনি কামান চালানোর অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। গ্রামের প্রায় ১০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাবে ভাঙচুর করা হয়। লুঠপাটেরও অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি, চারটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা কয়েক বাড়ির ধানের গাদাতেও আগুন লাগানো হয়। দমকলে খবর দেওয়া হলে ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় তারা আগুন নেভায়। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাফ মোতায়েন করা হয়। ঘটনাস্থলে যান আরামবাগের এসডিপিও।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু ঘোষ বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকায় জয়নালের লোকজন অশান্তি করে। রবিবার রাতেও আমাদের দলের দুই সমর্থককে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁরা এখনও হাসপাতালে ভর্তি। এ দিন গ্রামবাসীরাই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।” এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গোলমালের এই ঘটনা নিয়ে এ দিন দুপুর পর্যন্ত কোনও পক্ষই অভিযোগ করেনি। তবে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

ছবি: মোহন দাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement