মোদী সরকারের প্রথম বাজেটকে ‘দিশাহীন, লক্ষ্যহীন ও কর্মহীন’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আনাই এ বাজেটের একমাত্র লক্ষ্য। এই প্রসঙ্গে তিনি সামরিক ও বিমা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সীমা বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। বাজেটে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত বিলগ্নিকরণের প্রস্তাবেরও তিনি বিরোধিতা করেছেন।
বাজেটে বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগও প্রয়োজনের তুলনায় কম করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ। যেমন, পশ্চিমবঙ্গে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে যেখানে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেখানে ভারত জুড়ে চালু হওয়া ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পে মাত্র ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একই ভাবে ভারতের ৫৫ কোটি তরুণকে নতুন সংস্থা খুলতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য মাত্র ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এতে ভারতের তরুণ সমাজকে কার্যত অপমান করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাজেটে এই রাজ্য বঞ্চিত হয়েছে। বস্ত্রশিল্পে এই রাজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও এ বাজেটে যে নতুন ছ’টি বস্ত্র শিল্পাঞ্চলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। পশ্চিমবঙ্গ ফল এবং শাকসব্জি উৎপাদনে দেশে প্রথম হলেও এখানে উদ্যানপালনবিদ্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা করা হয়নি। পাশাপাশি, বাজেটে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ না বাড়ানোরও তিনি তীব্র সমালোচনা করেছেন। মমতার দাবি, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন এবং খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের উপরে বোঝা আরও বাড়িয়ে দেবে। এই বাজেট মোদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রমাণ বলেও তাঁর অভিমত।