ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে সময় নষ্ট করছে রাজ্য, ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজে বাধা দিয়ে রাজ্য সরকার অহেতুক সময় নষ্ট করছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। কখনও অংশীদারি, কখনও বিকল্প রুট, কখনও যানজটের কথা বলে রাজ্য সরকার কাজে বাধা দিচ্ছে এই অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে এর আগে একাধিক বার করেছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থার কর্তারা। শুক্রবার ওই মামলার শুনানির সময়ে বিকল্প রুট ছাড়াও এই প্রকল্পে অন্য অনেক সমস্যা রয়েছে বলে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৫৬
Share:

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজে বাধা দিয়ে রাজ্য সরকার অহেতুক সময় নষ্ট করছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।

Advertisement

কখনও অংশীদারি, কখনও বিকল্প রুট, কখনও যানজটের কথা বলে রাজ্য সরকার কাজে বাধা দিচ্ছে এই অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে এর আগে একাধিক বার করেছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থার কর্তারা। শুক্রবার ওই মামলার শুনানির সময়ে বিকল্প রুট ছাড়াও এই প্রকল্পে অন্য অনেক সমস্যা রয়েছে বলে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান। তা শুনে হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া মন্তব্য করেন, “আপনি সকলের সময় নষ্ট করছেন।”

বিচারপতি এ দিন জানান, তিনি চান যত দ্রুত সম্ভব হাওড়া থেকে মহাকরণ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শুরু হোক। কাজ শুরু করার ব্যাপারে ঠিকাদার সংস্থা ও কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন বিচারপতি।

Advertisement

গত ২৪ নভেম্বর ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল, হাওড়া থেকে মহাকরণ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। হুগলি নদীর তলা দিয়ে ব্রেবোর্ন রোডের কাছে মহাকরণ পর্যন্ত কাজ শুরু করতে দেওয়া হোক। তাতে কাজ অনেকটা এগিয়ে থাকবে। ঠিকাদার সংস্থার অভিযোগ, রাজ্য সরকার নানা অছিলায় সেই কাজেও বাধা দিচ্ছে।

এ দিনও ঠিকাদার সংস্থার আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র আদালতে ওই কাজ শীঘ্র শুরু করতে দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের জন্য ব্রেবোর্ন রোডের উপর অস্বাভাবিক চাপ পড়বে, হকার সমস্যা তীব্র হবে বলে রাজ্য যে সব যুক্তি খাড়া করছে, তা অযৌক্তিক। ওই আইনজীবী আদালতে দু’টি বাড়ির ছবি দেখিয়ে জানান, ওই বাড়ি তৈরি হয়েছে হকারদের জন্য। বেশ কিছু হকার সেখানে ব্যবসাও করছেন। তাই হকার সমস্যার যুক্তি এ ক্ষেত্রে খাটে না। রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল তখন জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই যে হলফনামা জমা দিয়েছে, তাতে বিকল্প রুট ছাড়া অন্য কয়েকটি সমস্যার কথাও বলা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি পাথেরিয়া সময় নষ্ট করার কথা বলেন।

বিচারপতি এ দিন রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলকে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের সমস্যার কথা তিনি সময়মতো শুনবেন। রাজ্যের বক্তব্য কী, তা আদালতে জানাতেই পারেন অশোকবাবু। কিন্তু বিচারপতি চান, যে অংশের কাজে কোনও বিতর্ক নেই, সেই কাজ অবিলম্বে শুরু হোক। রাজ্য যেন সেই অংশের কাজে বাধা না দেয়। এ দিন ঠিকাদার সংস্থার শুনানি শেষ হয়। আগামী সোমবার আদালতে সওয়াল করবেন কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের আইনজীবী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement