মেলবোর্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি আইসিসির প্রথম চেয়ারম্যান। ছবি: এএফপি।
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আইসিসি-র প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে এন শ্রীনিবাসনের নামেই সিলমোহর দিল বিসিসিআই। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ক্রিকেটের বার্ষিক সভায় ৫২ সদস্যের শ্রীনিকেই প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে স্বীকৃতি দিল।
আইপিএল-এর স্পট ফিক্সিং-এ তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বোর্ড সভাপতির দৈনন্দিন কাজ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শ্রীনিবাসনের আইসিসি-তে যাওয়ার উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি শীর্ষ আদালত। ১৩ জুন শ্রীনির আইসিসি চেয়ারম্যান পদে বসার উপর স্থগিতাদেশের আবেদন করে বিহার ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু আদালত সেই আবেদন না শোনায় সে দিনই কার্যত শ্রীনির আইসিসি-যাত্রা কণ্টকহীন হয়। আইসিসি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, তাই এই সংগঠনের উপর সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের আইনি প্রভাব থাকার কথা নয়। তা ছাড়া আইসিসি-র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কারও অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি আইসিসি-র পদে বসতে পারেন। সেই গঠনতন্ত্র মেনেই আইসিসি-র প্রথম চেয়ারম্যান হলেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন।
চেয়ারম্যান হয়ে শ্রীনিবাসনের প্রথম প্রতিক্রিয়া: “আইসিসি-র প্রথম চেয়ারম্যান হতে পেরে গর্বিত। ক্রিকেটের স্বার্থেই কাজ করব আমি। ক্রিকেটকে আরও জনমোহিনী করে তুলতে এবং বিশ্ব ক্রিকেটে আরও শক্তিশালী দলের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জোর দেবে আইসিসি।” আইসিসি-র প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে শ্রীনিবাসনকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। এ দিন বোর্ডের তরফে জানানো হয়, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে অত্যন্ত খুশির খবর। শ্রীনিবাসন আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ায় বোর্ডের সকল সদস্য তাঁকে অভিনন্দন জানান। ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্রীনিই যোগ্যতম।’