শেষপর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিল শ্রীলঙ্কা। সোমবার শ্রীলঙ্কার সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তাঁরা ক্ষমা পেলেন না কি ভারতে এসে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া কোনও ধরনের শাস্তি ভোগ করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০১১-এ মাছ ধরতে গিয়ে এমারসন, অগস্টাস, উইলসন, প্রসাথ ও লাঙ্গলেত— তামিলনাডুর এই পাঁচ মৎস্যজীবী শ্রীলঙ্কার নৌসেনার হাতে বন্দি হন। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগে আনে শ্রীলঙ্কা সরকার। বিচারে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এর পরেই ভারতের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়। তামিলনাডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ। অধিকাংশ তামিল রাজনৈতিক দল এই পাঁচ মৎস্যজীবীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। কেন্দ্রে মোদী সরকারের উপরে চাপ বাড়তে থাকে।
এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার ভারতীয় দূতাবাস এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে। দূতাবাসের এক প্রতিনিধি দল জেলে গিয়ে এই মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করে আসেন। শ্রীলঙ্কার নামী আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় দূতাবাস। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদনও জানানো হয়।
অন্য দিকে কূটনৈতিক স্তরেও কথাবার্তা শুরু হয়। ফোনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মহেন্দ্র রাজাপক্ষের কথাও হয়। মোদী মৃত্যুদণ্ডের বদলে এই পাঁচ মৎস্যজীবীকে ভারতে নিয়ে এসে কারাদণ্ডের অনুমতি দিতে রাজাপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন। তার পরেই এ দিন রাজাপক্ষে এই পাঁচ মৎস্যজীবীকে ক্ষমা করার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু তাঁরা ভারতে ফিরে কোনও ধরনের শাস্তি ভোগ করবেন না কি সম্পূর্ণ মুক্ত থাকবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।