বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে এক দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাসন্তী হাইওয়ের পশ্চিম চৌবাগা অঞ্চল। ওই এলাকার একটি কারখানায় অবৈধ ভাবে হুকিংয়ের প্রতিবাদে প্রায় তিন ঘণ্টা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। ভাঙচুর চালানো হয় পাশের চামড়া কারখানায়। ঘটনার জেরে প্রায় দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ এন্টালির বাসিন্দা পেশায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মচারী দিলীপ মালিক (৪৪) ও তাঁর স্ত্রী অপর্ণা মালিক (৩২) বাসন্তী হাইওয়ে রোডের পাশে পশ্চিম চৌবাগা এলাকায় নিজেদের জমি দেখতে যান। পশ্চিম চৌবাগা খালের ধারে পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির । এ দিন ঘটনার পরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতদেহ যেখানে পড়ে ছিল তার পাশেই একটি গাড়ির গ্যারেজ রয়েছে। মৃত দম্পতির ছেলে সৌমিত্রের অভিযোগ, ‘‘খালের ওপার থেকে ওই গ্যারেজে বেআইনিভাবে বিদ্যুতের তার নিয়ে আসা হয়েছে। সিইএসসির অনুমোদন ছাড়াই ওই তার মাসের পর মাস বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিল।” ওই তার ছিঁড়েই তাঁর মা-বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসন্তী হাইওয়ের পাশে তপসিয়া থেকে চৌবাগা বরাবর কয়েকশো প্লাস্টিক ও চামড়ার কারখানা রয়েছে। ওই সমস্ত কারখানায় দীর্ঘ দিন ধরে বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। মূলত হুকিং করেই কাজ চালায় তারা বলে অভিযোগ। পুলিশকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হবে।