টাস্ক ফোর্স গঠন থেকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ, কোনও কিছু করেই ভারতীয় বোর্ডের মানভঞ্জন করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড। সিরিজের মাঝপথে দেশে ফিরে যাওয়ার ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্রাভোদের বোর্ডের কাছে দু’শো পঞ্চাশ কোটি টাকা দাবি করল বিসিসিআই। পনেরো দিনের মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না করলে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড।
পাঁচটি ওয়ান ডে, তিনটি টেস্ট এবং একটি টি২০-র সিরিজ খেলতে গত মাসে ভারতে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ শুরুর আগে থেকেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের বেতন সংক্রান্ত সমস্যা চলছিল। সমস্যা না মেটায় কোচিতে প্রথম এক দিনের ম্যাচেই নামতে চায়নি ব্রাভো-গেইলরা। মধ্যস্থতায় নেমে ব্রাভোদের সিরিজ শেষ করার অনুরোধ করে বিসিসিআই। এই সময়ের মধ্যেই বেতন সংক্রান্ত বিবাদ মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড। কিন্তু জট না কাটায় চতুর্থ এক দিনের ম্যাচের পর সিরিজের মাঝপথেই দেশে ফিরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। এর পরই বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয় সিরিজ বাতিল হওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে চিঠি দেওয়া হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডকে। শনিবার বোর্ডের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরনকে চিঠি দেন বিসিসিআই সচিব সঞ্জয় পটেল। চার পাতার চিঠিতে দেখানো হয়েছে সিরিজ মাঝপথে বাতিল হওয়ায় কোন কোন খাতে কত টাকা ক্ষতি হয়েছে ভারতীয় বোর্ডের। চিঠির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা জানাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডকে জানাতে বলা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা না পেলে ভারতের আদালতে মামলা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বোর্ডের চিঠিতে।
টেস্ট খেলা দেশগুলির মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ দশা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের। টাকা না থাকায় ক্রিকেটারদের ঠিক মতো বেতনও দিতে পারছিল না তারা। এই অবস্থায় ভারতীয় বোর্ডের দাবি মেনে ক্ষতিপূরণ দিতে হলে দেউলিয়া হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের। ক্ষতিপূরণ না দিতে পারলে আসিসি-র বার্ষিক লভ্যাংশ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাপ্য অংশ বিসিসিআই-কে দিয়ে দেওয়া হতে পারে। সিরিজ ছাড়ার পর ভারতীয় বোর্ডের রোষানল থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি টাস্ক ফোর্স গঠন করে ব্রাভোদের বোর্ড। বিসিসিআই-এর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হল না।