(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। তার কয়েক দিন পরেই দল ও স্থানীয় প্রশাসনে রদবদলের তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এই তালিকায় কম-বেশি ১৫টি জেলা কমিটি পুনর্বিন্যাসের কথা রয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে পুরসভা ও পুর-নিগমেও বহু রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, এই পরিবর্তিত তালিকা নিয়ে মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
লোকসভা ভোটের ফল ও অন্যান্য সাংগঠনিক রিপোর্টের ভিত্তিতে দলের জেলা ও তার নীচের স্তরে রদবদলের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল তৃণমূল। মমতার উপস্থিতিতেই চলতি বছরের ২১শে জুলাইয়ের সভা-মঞ্চ থেকে দলের সেই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক। এই রদবদলকে পুরোদস্তুর ‘সাফল্য’ ও ‘ব্যর্থতার’ ভিত্তিতেই বাঁধতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই মতো এই সব স্তরেই সমীক্ষা করে কোথায়, কেমন বদল করা দরকার, তা নিয়ে অভিষেকের তরফে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল মমতার কাছে। প্রাথমিক ভাবে অভিষেকের সেই প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তাবের বেশ কিছু জায়গা নিয়ে এ দিন দলের শীর্ষ স্তরে আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
দলীয় সূত্রের বক্তব্য, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই রদবদলের বড় অংশ সেরে ফেলতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা কমিটির পরেই তাঁরা ব্লক, টাউন স্তরে হাত দিতে চাইছেন। এবং সাংগঠনিক এই বদলের পাশাপাশি লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়া পুরসভাগুলিতেও মুখ বদলের কাজ শুরু করা হবে। তবে কিছু জায়গায় এই অভিষেকের ‘সূত্র’ কার্যকর করার ক্ষেত্রে বাস্তব সমস্যা দেখা দিয়েছে। দু-একটি এমন পুরসভা রয়েছে, যেখানে লোকসভা ভোটে হারের কারণে পুর-প্রধান বা সমমর্যাদায় বদল করার প্রয়োজন হলেও ‘সফল’ তেমন কেউ না-থাকায় নতুন মুখ আনার সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই ব্যাপারে দল একটি বিশেষ পথ নিতে চলেছে। সাংগঠনিক সাফল্য বিচার করে দলের শাখা সংগঠনগুলিতেও বদলের ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের। তার মধ্যে যুব, ছাত্র সংগঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শাখাও রয়েছে।