প্রতীকী চিত্র।
পথশিশুদের শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী রাজ্য। সমস্ত জেলায় এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত শিশুরা পড়াশোনা থেকে দূরে, তাদের খুঁজে শিক্ষার আলোয় আনার জন্য দল গঠন করল সমগ্র শিক্ষা মিশন। দ্রুত সেই বিশেষ দল এ নিয়ে তালিকা তৈরি করে জমা দেবে শিক্ষা দফতরের কাছে। কোন জেলায় কত শিশু এখনও শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়নি, তাদের সবিস্তার তথ্য জমা দেওয়া হবে সরকারের কাছে।
সমগ্র শিক্ষা মিশনের এক আধিকারিকের কথায়, “কলকাতা-সহ সমস্ত জেলাতেই বহু শিশু রয়েছে, যারা এখনও শিক্ষা ব্যবস্থা সঙ্গে যুক্ত হয়নি। তাদের চিহ্নিত করার জন্যই এই উদ্যোগ। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসার পরে এদের কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে।”
কোথায় কোথায় এই ধরনের শিশুদের চিহ্নিত করা যাবে, তারও একটি তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, ফ্লাইওভারের নীচে, রাস্তার ধারে ফুটপাথে, ট্রাফিক সিগনালে, রেল স্টেশনগুলিতে, বিভিন্ন ধাবা এবং গ্যারেজে।
সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফ থেকে এই সমস্ত পথ শিশুদের খুঁজে বার করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত।
এ বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যারা শিক্ষার আঙিনায় পৌঁছনোর সুযোগ টুকুনি পায়না, তাদের যদি সার্বিক শিক্ষায় আলোকিত করা হয়, এর থেকে আর বড় কিছু হয় না।”
৭ জুলাইয়ের মধ্যে সমগ্র শিক্ষা মিশনের পোর্টালে এই তথ্য আপলোড করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলাভিত্তিক তালিকা তৈরি করে সকল শিশুকে একত্রিত করে তাদের শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে বলে সমগ্র শিক্ষা মিশনের সূত্রের খবর।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “আমরা হামেশাই দেখি এখানে ওখানে কিছু শিশু ঘুরে বেড়ায়, যাদের স্কুল বা পড়াশোনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগ তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন দেখা যাবে বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে। কিন্ত আমাদের রাজ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিষয়গুলো কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ থাকে। সেটা যাতে না হয়, সেই ব্যবস্থা শিক্ষা দফতরকে নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এই উদ্যোগ সফল হবে।"
সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই একটি দল গঠন করা হয়েছে, যাতে পার্শ্ব শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের যুক্ত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, এলাকাভিত্তিক এই সমীক্ষা দ্রুত সম্পূর্ণ করা।