প্রতীকী চিত্র।
এখনও স্কুলে পৌঁছয়নি উচ্চ মাধ্যমিকের ভাষা শিক্ষার একটিও বিষয়ের বই। এদিকে এপ্রিল মাস থেকেই তৃতীয় সিমেস্টারের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। বই হাতে না পেলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কী ভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকমহলে।
যদিও শুধুমাত্র ভাষাভিত্তিক বই-ই নয়, হাতে আসেনি শিক্ষা সংসদ অনুমোদিত অন্য পাঠ্যবইও। এই বিষয়ে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘তৃতীয় সিমেস্টারের ক্লাস কবে থেকে শুরু হবে, তা জানা সত্ত্বেও সংসদ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। তাই সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। বইয়ের সফট্ কপি থেকে প্রিন্ট আউট করার ব্যবস্থা থাকলে বইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। সংসদের বিভিন্ন ভাবে আর্থিক লাভ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।’’
তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের আশ্বাস, ‘‘ভাষা ভিত্তিক পাঠ্যবই এখনও ছাপানোর কাজ চলছে। ক্লাস শুরু হওয়ার আগে তা স্কুলগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই অন্যান্য বই বণ্টনের কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা স্কুলগুলিতে পৌঁছে যাবে।’’
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, “এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সিমেস্টারের ক্লাস শুরু। বেসরকারি সংস্থার কিছু নমুনা পুস্তক এলেও সরকারি বই না আসায় ক্লাস শুরু করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে নতুন পাঠ্যক্রম পড়াশোনা হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ মনে করছেন, ক্লাস শুরুর আগে বইগুলি এক বার দেখে নেওয়া প্রয়োজন। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই সমস্ত বই যাতে বিদ্যালয়গুলিতে পৌঁছে যায়, তার আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী।