প্রথম দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি দেশের বুনিয়াদি শিক্ষা এবং গাণিতিক স্বাক্ষরতা নিয়ে একটি সর্বভারতীয় সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় বৃহত্তর রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়ে, সমীক্ষায় রাজ্যের স্কোর ৫৮.৯৫। এই মান বজায় রাখতে এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদানের কৌশলের মানোন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পাঁচদিনের বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণটি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দক্ষতা এবং সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রাজ্যস্তরে এই প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকতার গুণমান বৃদ্ধি করা, পরিকাঠামোর উন্নয়ন, পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাপদ্ধতির পর্যালোচনা, তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে পঠনপাঠনের উন্নতি সাধন করার লক্ষ্যও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল, সচিব পার্থ কর্মকার-সহ পর্ষদের অন্যান্য আধিকারিকরা। ছবি: সংগৃহীত
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক ভাবে কলকাতা শহর এবং ২৪টি জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাস্টার ট্রেনার হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর পর তাঁরা ডিস্ট্রিক্ট রিসোর্স পার্সন হিসাবে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহিত্য, বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সার্বিক প্রশিক্ষণ দেবেন।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামোকে উন্নত করার লক্ষ্যে সমস্ত প্রাথমিক স্তরের স্কুলগুলিকে নিয়ে মোট ৭২১টি সার্কেল গঠন করা হয়েছে। এই সার্কেলগুলি থেকে এক জন করে শিক্ষক-শিক্ষিকা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। সম্প্রতি এপ্রিল মাসে বাঁকুড়া জেলাতে প্রথম এতজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে দু’দিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে পাঁচদিনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের ১১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ পর্বটি চলবে। প্রতি দিন পাঠ্যক্রমের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, যোগ, ব্রতচারীর অভ্যাস এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সামগ্রিক জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি, সৃজনশীলতার দক্ষতার অনুশীলনও করা হবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের মানের উন্নয়নের পাশাপাশি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদানের কৌশল আরও উন্নত হবে, এমনটাই বার্তা পর্ষদ সভাপতির।