উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রতীকী ছবি।
শুরু হয়ে গিয়েছে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১৮ মার্চ হবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষা। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা থেকেই যায়। শেষ মুহূর্তে কোন কোন বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন সেই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন, টাকি হাউজ গভর্মেন্ট স্পন্সরড গার্লস হাই স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা মধুমিতা দাস।
শিক্ষিকা জানিয়েছেন, প্রথম অধ্যায় থেকে বড় প্রশ্ন আসার সম্ভবনা বেশি। ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ অধ্যায়ের ক্ষমতা এবং জাতীয় স্বার্থ, এই ২টি প্রসঙ্গ ভাল ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে ছোট প্রশ্নই বেশির ভাগ আসে। বিশেষত সাল মনে রাখা দরকার। প্রয়োজনে ছোট নোট করে করেও মনে রাখা যেতে পারে।
তৃতীয় অধ্যায়ের থেকে ভারতের বিদেশ নীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী, লাহোর চুক্তি, সিমলা চুক্তি, জোট নিরপেক্ষ নীতি-সহ বাকি চুক্তিগুলিও ভাল করে পড়া প্রয়োজন। পাশাপাশি, সার্ক-এর বর্তমানে সদস্য সংখ্যা কত, জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির সদস্য সংখ্যা কত, ছোট প্রশ্ন হিসাবে এগুলি আসার সম্ভবনা রয়েছে।
চতুর্থ অধ্যায়ের রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রসঙ্গে যাবতীয় বিষয়ে খুঁটিনাটি পড়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রপুঞ্জের ৬টি অঙ্গ কী কী, সদস্য সংখ্যা কত, শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব কী- এই ধরনের প্রচুর ছোট প্রশ্ন আসে।
সুতরাং ছোট প্রশ্ন কমন পাওয়ার জন্য দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ অধ্যায় খুব ভাল ভাবে খুঁটিয়ে পড়া ভাল।পঞ্চম অধ্যায়ে এই বছরের জন্য উদার নীতিবাদ প্রসঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও মার্কসবাদ কিছুটা দেখে যাওয়া ভাল।
বাকি অধ্যায়গুলি থেকে ‘ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ কাম্যও নয় সম্ভবও নয়’— এই প্রসঙ্গে পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি পড়া প্রয়োজন। বিচারপতিদের স্বাধীনতার শর্তাবলি,ভারতের রাস্ট্রপতির নির্বাচন-ক্ষমতা-কার্যাবলী, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা, অর্থবিল, ভারতীয় সংসদের গঠন ক্ষমতা কার্যাবলী, আইন পাশের কার্যাবলী, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার গঠন ক্ষমতা, কার্যাবলী, সংসদীয় পদ্ধতি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আসার সম্ভবনা রয়েছে।
প্রতিটি অধ্যায় খুঁটিয়ে এবং বুঝে পড়লে সহজেই উত্তর লিখে আসা সম্ভব হয়।