Math Exhibition

ভয় কাটিয়ে অঙ্ক কষার অভিনব প্রদর্শনী, শামিল ছাত্রীরা

স্কুলের ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির ৫০০-র বেশি ছাত্রীদের নিয়ে চলে এই বিশেষ কর্মসূচি। এই প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছিল ৩০০-র বেশি মডেল ও চার্ট, যা তৈরি করে স্কুলের ছাত্রীরাই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৪১
Share:

প্রদর্শনী শেষে উচ্ছ্বসিত ছাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।

অঙ্ক কষা নিয়ে ভয় কাটাতে স্কুলের ছাত্রীরাই এক অভিনব প্রদর্শনীর আয়োজন করল। সিবিএসই অনুমোদিত অশোক হল গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির ৫০০-র বেশি ছাত্রীদের নিয়ে চলল এই বিশেষ কর্মসূচি। এই প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছিল ৩০০-র বেশি মডেল ও চার্ট, যা তৈরি করে স্কুলের ছাত্রীরাই। স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে স্কুলের তরফে এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয় সামাজিক সুযোগ সুবিধে থেকে বঞ্চিত কিছু আগ্রহী মেয়েদেরও। তারাও এই প্রদর্শনী থেকে গণিতের নানা কৌশল মজাচ্ছলে শেখার সুযোগ পেয়েছে। একই সঙ্গে, গণিত নিয়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করেছেন, এমন ব্যক্তিত্ব অর্থাৎ আর্যভট্ট, আর্কিমিডিস ও রামানুজনের চরিত্রে সেজে খুদে পড়ুয়ারা কিছু নজরকাড়া বক্তব্যও রাখে।

Advertisement

আর্যভট্ট, আর্কিমিডিস ও রামানুজনের চরিত্রাভিনেত্রীদের সঙ্গে বিশিষ্ট অতিথি এবং স্কুলের শিক্ষিকারা। নিজস্ব চিত্র।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার , বিড়লা তারামণ্ডলের প্রাক্তন অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি এবং শ্রীরামপুর কলেজের গণিতের অধ্যাপক দীপঙ্কর চৌধুরী। পার্থ কর্মকার সকল ছাত্রীদের তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে গণিতের বেশ কিছু সহজ পদ্ধতি ও কৌশল শেখান। একই সঙ্গে এও জানান, ঠিক কোন কৌশলে ক্যালেন্ডার ও ঘড়ির ব্যবহার করে অঙ্ক কষার ভয় কাটানো সম্ভব।

(বাঁদিকে) প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী মেয়েরা, (ডানদিকে) গণিতের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দিচ্ছেন পার্থ কর্মকার। নিজস্ব চিত্র।

গণিত সব কাজেই লুকিয়ে রয়েছে, মত দেবীপ্রসাদ দুয়ারির। তিনি আরও বলেন, “গণিতের জ্ঞান অর্জন করতে পারলে অন্যান্য বিষয়েও দ্রুত সফল হওয়া সম্ভব।’’ শ্রীরামপুর কলেজের অধ্যাপক দীপঙ্কর চৌধুরী ছাত্রীদের শেখান, রোজের কাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে গণিতের চর্চা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কী ভাবে করা সম্ভব।

Advertisement

স্কুলের প্রিন্সিপাল আত্রেয়ী সেনগুপ্ত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে একজোট হয়ে গণিতের এই অভিনব প্রদর্শন ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। আমাদের ছাত্রীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ পাওয়ায় আমরা খুশি। তবে, আমরা এটাও চাই, স্কুলের ছাত্রীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মেয়েরা যেন তাদের প্রতিভার যথাযথ মর্যাদা পায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement