প্রতীকী চিত্র।
এ বার থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের যাবতীয় কাজকর্ম হবে অনলাইনে। ২৭ জানুয়ারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্ধারিত পোর্টালে এই নয়া প্রযুক্তি কার্যকরী হবে। একই সঙ্গে স্কুলগুলির সঙ্গে পরামর্শ করে সকলের সুবিধার্থে শিক্ষা সংসদের অ্যাকাডেমিক পোর্টালটিও আরও সরলীকৃত করা হবে।
এত দিন পর্যন্ত স্কুল সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ শিক্ষা সংসদের অফিসে গিয়ে করতে হত। এতে অনেকটাই সময় নষ্ট হত স্কুলগুলির। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর অপ্রতুলতার কারণে এই কাজগুলি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হত না। অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় স্কুলে বসেই এই সমস্ত কাজ সহজে করে ফেলা সম্ভব হবে। এর মধ্যে রয়েছে— অ্যাপ্লিকেশন ফর রিনিউয়াল অফ রিকগনিশন অফ স্কুলস, অ্যাপ্লিকেশন ফর পারমিশন ফর ইন্ট্রোডাকশন অফ সাবজেক্ট অ্যান্ড কন্টিনিউয়েশন অফ সাবজেক্ট পারমিশন, অ্যাপ্লিকেশন ফর কোএড পারমিশন, অ্যাপ্লিকেশন ফর মিডিয়াম ইনক্লুশন, অ্যাপ্লিকেশন ফর এক্সেস অ্যাডমিশন ওভার প্রেসক্রাইবড লিমিট, অ্যাপ্লিকেশন ফর চেঞ্জ অফ স্কুল নেম অ্যান্ড অ্যাড্রেস এবং অ্যাপ্লিকেশন ফর পোস্ট কনভারশন। উল্লিখিত বিষয়ে আবেদন জানাতে গেলে স্কুলগুলিকে ফি বাবদ ৫০ টাকাও অনলাইনে জমা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “এত দিন যে কাজ আমাদের শিক্ষা সংসদের অফিসে গিয়ে সময় নিয়ে করতে হত, তা অনলাইন হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকটাই সহজ হয়ে গেল। এর ফলে খরচ এবং লোকবল— দু’টি সমস্যারই সমাধান করা যাবে।”
স্কুলের অফিসিয়াল কাজকর্ম ছাড়াও পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্মও এ বার থেকে অনলাইনেই হবে। যা আগেই ঘোষণা করেছিল শিক্ষা সংসদ। চলতি বছর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সেন্টার সেক্রেটারি, জয়েন্ট কনভেনরদের তালিকার বিস্তারিত সংসদের পোর্টালেই আপলোড করতে হবে স্কুলগুলিকে। শিক্ষা সংসদের পোর্টালের ইউজ়ার আইডি-পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে জয়েন্ট কনভেনর এবং জেলা পরিদর্শককে (ডিআই)। জয়েন্ট কনভেনর প্রথমে সম্পূর্ণ তালিকা সুপারভাইজ় করে ডিআই-কে দেবেন। ডিআই তা পুনরায় পর্যালোচনা করে কাউন্সিলের কাছে অনলাইনে নথিভুক্ত করবেন। পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ এবং তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার জন্য ধাপে ধাপে অনলাইনের পথে শিক্ষা সংসদ।