WBBSE Madhyamik 2024

মাধ্যমিকে ছেলে-মেয়ের পরিসংখ্যানে কে বেশি এগিয়ে, কী বলছে পর্ষদ?

পরীক্ষার্থীদের সংখ্যার বিচারে ছেলেদের টেক্কা দিল মেয়েরা। কিন্তু ফলাফলের নিরিখে ছেলেরাই এগিয়ে। ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় সাফল্যের সংখ্যাও বেশি, তবে পাশের হারে পিছিয়ে গিয়েছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৪ ১৩:৪৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। এই বছর প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৮,৭৬,৬৭৮ জন। এর মধ্যে ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ৩,৯৬,৪৭৬। পরীক্ষায় বসেছে ৩,৯৪,৭০৫। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩,৫২,১৩৯। পাশের হার ৮৯.২১ শতাংশ। ছাত্রীদের নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ৪,৮০,২০২। পরীক্ষা দিয়েছে ৪,৭৭,১৩৪। উত্তীর্ণ হয়েছে ৪,০০,৩৫২ জন। পাশের হার ৮৩.৯০ শতাংশ। সুতরাং ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৯১ জন পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফলাফল ঘোষণা করেন। অর্থাৎ, পরীক্ষার্থীদের সংখ্যার বিচারে ছেলেদের টেক্কা দিল মেয়েরা। কিন্তু ফলাফলের নিরিখে ছেলেরাই এগিয়ে। মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকার কারণে সাফল্যের সংখ্যাও বেশি হয়েছে। কিন্তু পাশের হারে পিছিয়ে পড়েছে মেয়েরা। মাধ্যমিকে মোট পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। যার মধ্যে মেয়েদের পাশের হার ৮৩.৯০ শতাংশ। ছেলেদের পাশের হার ৮৯.২১ শতাংশ।

Advertisement

মেধাতালিকার প্রথম দশে এ বার রয়েছে ৫৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৪৫ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১২। মাধ্যমিকে প্রথম স্থানে রয়েছে কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। ৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানে পুরুলিয়ার সাম্যপ্রিয় গুরু। জেলার একমাত্র ছাত্র হিসাবে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে সে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৩ জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ, বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্র নৈর্ঋতরঞ্জন পাল। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১ (৯৮.৭১ শতাংশ)। চলতি বছর মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণের সংখ্যা ১,১৭,৪৪৭ জন। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ কিংবা নকল করার অপরাধে বাতিল হয়েছিল ৪৬ জনের পরীক্ষা। দু’জন পরীক্ষার্থীর ফল স্থগিত রাখা হয়েছে।

এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। এ বছরের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল সকাল ৯টা ৪৫ থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement