প্রতীকী ছবি।
স্কুল শিক্ষকদের জন্য এবারের নয়া প্রমোশন নীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। কলেজ শিক্ষকদের মতো এবার স্কুল শিক্ষকদের জন্য নতুন পদ তৈরির ভাবনা শিক্ষা দফতরের। স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার অরূপ সেনগুপ্তকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হল। পুজোর পরই এই কমিটি তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে শিক্ষা দফতরের কাছে।
এতদিন পর্যন্ত স্কুলে সহ-শিক্ষকদের একটি মাত্রই পদ ছিল। এ বারে এই ধরনের পদে অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স বেস ইন্ডিকেটর(এপিআই)-এর মাধ্যমে পদোন্নতির ভাবনা শিক্ষা দফতরের।
চলতি মাসে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিকাশ ভবনে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা এই কমিটির। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই কমিটি প্রাথমিক ভাবে আলোচনা করলেও চূড়ান্ত পর্যায়ের কোন বৈঠক হয়নি। পুজোর ছুটির পরই এ বিষয়ে নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক হবে বলে কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে। কী ভাবে এই পদোন্নতি করা হবে তার একটি খসড়া তৈরি করা হবে এই কমিটির বৈঠকে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও কমিটির সদস্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এই বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায় আলোচনা হলেও পুজোর পর এই বিষয়ে কমিটির বৈঠক হবে সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”
কলেজের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের মতন পদ রয়েছে। এ বার কলেজ শিক্ষকদের মতো স্কুল শিক্ষকদেরও তাঁদের কর্মদক্ষতার উপর পদোন্নতি করা হবে। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, শিক্ষকদের নিজের লেখা বই থাকলে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রকাশনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইন মেনে। এ ছাড়াও দেখা হবে শিক্ষকরা প্রত্যেকদিন ক্লাস করাচ্ছেন কি না, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম কী কী রয়েছে, পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য প্রধান পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কি না, অতিরিক্ত ক্লাস করাচ্ছেন কি না এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিশেষ কোন নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে কি না তাঁর উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। অ্যাসিস্ট্যান্ট শিক্ষকের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টারদের ক্ষেত্রেও একইভাবে পদোন্নতির গুরুত্ব দেওয়া হবে এই কমিটির বৈঠকে।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন , “কমিটি গঠনকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি । চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে তা পাবলিক ডোমেনে দেওয়া উচিত। যাতে শিক্ষক সংগঠনগুলি এবং স্কুলের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্তরের ব্যক্তিরা তা জানতে পারেন এবং তাদের মতামত জানাতে পারেন।”
বর্তমানে নয়া নীতির খসড়া কী হয় সেই দিকে নজর স্কুল শিক্ষকদের।