প্রতীকী ছবি।
সিবিএসই-র ধাঁচে উচ্চ মাধ্যমিকেও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতেও মূল্যায়ন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে। এবার বছরে দু’বার পরীক্ষা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে গঠন করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি, এই সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করা নিয়ে গঠিত কমিটি চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের মতামত জানাবে সরকারকে।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেখানে একাদশ শ্রেণিতে দু’বার ও দ্বাদশ শ্রেণিতে মাধ্যমে দু’বার পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের। তবে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার সময় একাদশ শ্রেণির কোনও মূল্যায়ন গ্রহণ করা হবে না বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে।
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা একটি মূল্যায়নের ওপর নির্ভরশীল। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত মূল্যায়ন সম্ভব নয়, ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পড়ুয়াদের প্রকৃত মেধা সম্বন্ধে সঠিক ভাবে জানা যায়।”
প্রত্যেক বছর যে ভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় তা অনেকটাই পরিবর্তন হচ্ছে এই নয়া পদ্ধতিতে।
দু’টি ভাগে ভাগ করা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমকে। প্রথম সেমেস্টারে ৫০ শতাংশ মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকছে। দ্বিতীয় সেমেস্টার নৈর্ব্যক্তিক। ছোট ও বড় মিলিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে পড়ুয়াদের। সেখানেও থাকছে ৫০ শতাংশ নম্বর।
প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে ওএমআর শিটে। তবে নতুন পদ্ধতিতেও দু’বারই অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। থিওরি পরীক্ষা সেমেস্টার সিস্টেমে হলেও প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা একবারই গ্রহণ করা হবে।
একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে যারা ভর্তি হবে তাদের নয়া পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে এবং প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে। দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে পরের বছর মার্চ মাসে। আর নয়া পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা প্রথম পাশ করবে ২০২৬ সালে।