প্রতীকী চিত্র।
অনলাইনেই শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)-র তরফে দেওয়া হবে। এই পাঠক্রমটিতে ইন্টার্যাকটিভ লার্নিং মেটিরিয়ালস থাকবে, যার সাহায্যে শিক্ষকেরা শিক্ষাদান সম্পর্কিত বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন।
কোর্সটি করতে আগ্রহীদের ২,০০০ টাকা এনরোলমেন্ট ফি হিসাবে জমা দিতে হবে। যে সমস্ত শিক্ষকদের ব্যাচেলর অফ সায়েন্স (বিএসসি) ডিগ্রি রয়েছে, এবং যাঁরা স্কুলের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান করে থাকেন, তাঁরা উল্লিখিত কোর্সটি করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানিয়েছেন, এই ধরনের কোর্স করার ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, বহু ক্ষেত্রেই স্কুলের সময়েই কোর্সের ক্লাসে শিক্ষকদের থাকতে হয়। তিনি আরও বলেন, “বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোর্স যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকরী।”
ক্লাসটি যে হেতু অনলাইনে হবে, তাই একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এবং তার সঙ্গে চালু ইন্টারনেট পরিষেবা থাকা প্রয়োজন। কোর্সের ক্লাস শুরু হবে ২১ অক্টোবর, ২০২৪, শেষ হবে ১০ অগস্ট, ২০২৫-এর মধ্যে। মোট ৪০টি মডিউল নিয়ে ক্লাস চলবে, প্রতিটি মডিউল আট ঘন্টার মধ্যে শেষ হবে। মডিউল শেষে একটি করে পরীক্ষাও নেওয়া হবে। কোর্স সম্পূর্ণ হলে, এনসিইআরটি-র তরফে একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে।
তবে এনসিইআরটি-র তরফে এ-ও বলা হয়েছে, এই ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্সটি কোনও ভাবেই শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণের কোর্স হিসাবে পেশ করা হচ্ছে না। এটি পুরোপুরি ভাবে অ্যাকাডেমিক কোর্স। দেশের সমস্ত স্কুলের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির প্রি-সার্ভিস ও ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরাই এই কোর্সটি করার সুযোগ পাবেন।
এই প্রসঙ্গে, হীরাপুর মানিকচাঁদ ঠাকুর ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা আচার্য জানিয়েছেন, বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে পাঠদানের পদ্ধতিতে উন্নতির জন্য যথাযথ ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ খুব প্রয়োজন। তবে এই কোর্সগুলি যদি বিনামূল্যে করানো হত, তা হলে হয়তো আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পেতেন।
অনলাইনে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনের নিরিখে যাঁরা কোর্সের ক্লাস করার সুযোগ পাবেন, তাঁদের কাছে ক্লাসের যাবতীয় তথ্য ইমেল মারফত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।