AI skills training

কৃত্রিম মেধার ব্যবহারে ‘এমপ্লয়েবিলিটি স্কিল’ ট্রেনিং লরেটো কলেজে

কৃত্রিম মেধা-নির্ভর ১১৩ ঘণ্টার ‘এমপ্লয়েবিলিটি স্কিলস’ পাঠক্রম চালু করতে চলেছে লরেটো কলেজ। নভেম্বর থেকেই কলেজের তৃতীয় বর্ষ অর্থাৎ পঞ্চম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের নিয়ে এই ক্লাস শুরু হবে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

অরুণাভ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০৭
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

কৃত্রিম মেধাই পড়ুয়াদের নতুন শিক্ষক। ছাত্রীদের দক্ষতা বাড়াতে এমনই এক বিশেষ প্রযুক্তি-নির্ভর ক্লাসের সুযোগ করে দিচ্ছে লরেটো কলেজ। এই নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়াধ‌ওয়ানির ফাউন্ডেশন-এর সঙ্গে ম‌উ স্বাক্ষর করেছে লরেটো উইমেন্স কলেজ।

Advertisement

কলেজের টিচার ইনচার্জ এ নির্মলা বলেন, “বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কাজের বাজারে প্রত্যেক মুহূর্তে পরিবর্তন ঘটছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই দক্ষতারও বদল দরকার। ছাত্রীরা যাতে সময়োপযোগী দক্ষতার অধিকারী হয়ে ওঠে এবং যোগ্যতার সঙ্গে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সহজেই চাকরি পায়, তাই এই উদ্যোগ।”

কৃত্রিম মেধা-নির্ভর ১১৩ ঘণ্টার ‘এমপ্লয়েবিলিটি স্কিলস’ পাঠক্রম চালু করতে চলেছে লরেটো কলেজ। নভেম্বর থেকেই কলেজের তৃতীয় বর্ষ অর্থাৎ পঞ্চম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের নিয়ে এই ক্লাস চালু হবে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। এই পাঠক্রম প্রযুক্তি-নির্ভর হওয়ায় এখানে অধ্যক্ষ-সহ চার জন শিক্ষক থাকলেও তাঁদের ভূমিকা অনেকটাই কম।

Advertisement

সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করানো হবে এই পাঠক্রমটি। মূলত চারটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই পাঠক্রমে। সেগুলি হল কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ, পেশাদারিত্ব, ক্রেতা সংযোগ এবং উদ্ভাবন। এই পাঠক্রম শেষের পরে প্রত্যেক পড়ুয়াকে একটি করে শংসাপত্র দেওয়া হবে।

এখান থেকে পড়ুয়ারা যে শুধু নিজেদের ‘এমপ্লয়েবিলিটি স্কিল’-এর দক্ষতা বৃদ্ধি করবে তাই নয়, চাকরির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে নিজেরা, তার সঠিক মূল্যায়নও পাবে। প্রযুক্তি-নির্ভর এই ক্লাস করানো হবে অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমেই। তবে প্রথম বার শুধুমাত্র তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীদের সুযোগ দেওয়া হলেও এর পর থেকে সমস্ত ছাত্রীরাই এই পাঠক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে জানাচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নীলাভ রায় বলেন, “বর্তমান চাকরির বাজারে কর্মীর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু পড়ুয়াদের মধ্যে মেধা থাকলেও দক্ষতার অভাবে নিয়োগে বাধা পাচ্ছে। তাই প্রযুক্তিগত বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ছাত্রীদের জন্য। যাতে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি হোক বা ব্যবসা, নিজেদের দক্ষতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহল হয়ে ওঠে।”

এই পাঠক্রমে শিক্ষকদের ভূমিকা হল ছাত্রীদের কোনও অসুবিধা হলে তাদের সাহায্য করা। তা বাদে পুরোটাই তারা এআই-নির্ভর ভিডিয়ো দেখে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।‌ এই ভিডিয়োগুলি এমন ভাবে কৃত্রিম মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে, যা প্রত্যেক ছাত্রীর নিজস্ব কাজের চাহিদা ও দক্ষতা অনুযায়ী তার ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ করবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বহু পড়ুয়া রয়েছে, যার সঠিক দক্ষতার অভাবে চাকরি পায় না। কোথায় খামতি রয়েছে, এই কোর্সে সেই জায়গারই সঠিক মূল্যায়ন করবে কৃত্রিম মেধা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement