সব্যসাচী লস্কর পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালোবাসে। নিজস্ব চিত্র।
অবসরে ছবি আঁকতে ভীষণ পছন্দ করে সব্যসাচী। আঁকার স্যরই তার প্রিয় শিল্পী। অন্য দিকে অঙ্ক তার প্রিয় বিষয়। তাই ভবিষ্যতে অঙ্ক নিয়েই পড়াশোনা করতে চায় সে। এ বারের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-এর দশমের ফলাফলে তার প্রাপ্ত নম্বর ৫০০। অর্থাৎ সব্যসাচী লস্কর সম্পূর্ণ নম্বর পেয়ে এ বারের পরীক্ষায় কলকাতার মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম স্থান অর্জন করে নিয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স— প্রতিটি বিষয়েই সে ১০০ নম্বর পেয়েছে।
পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে বিডিএম ইন্টারন্যাশনালের ছাত্র সব্যসাচী জানিয়েছে, “এখন পাঠ্যক্রমের ধরন অনেক বদলে গিয়েছে, তাই আগের মতো বেশি পড়ার চাপ না থাকলেও খুঁটিয়ে বই পড়ার অভ্যাসটা গড়তে হয়েছে। পাশাপাশি, সময়ের মধ্যে সবটা শেষ করার একটা তাগিদ ছিল আমার, তাই সেটার জন্য আলাদা করে অভ্যাস করতে হয়েছে।”
বাবা বশীর আহমেদ লষ্কর, সব্যসাচী লস্কর এবং মা চামেলি সর্দার (বাঁদিক থেকে)। নিজস্ব চিত্র।
অঙ্ক তার প্রিয় বিষয়। তাই সব্যসাচী দশমের প্রস্তুতির জন্য ওই বিষয়েই শুধুমাত্র একজন গৃহশিক্ষকের কাছে কঠিন অঙ্ককে সহজ ভাবে সমাধানের কৌশল শিখেছিল। এই বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের প্রবল ইচ্ছে রয়েছে, তবে স্নাতকোত্তর পর্ব পর্যন্ত এই দেশেই পড়াশোনা করতে চায় সব্যসাচী। তবে অন্যান্য বিষয়ের জন্য আলাদা করে কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না তার।
পড়াশোনা এবং আঁকার পাশাপাশি, সঙ্গীতচর্চাও করতে ভালোবাসে সোনারপুরের আচার্য প্রফুল্ল নগরের বাসিন্দা সব্যসাচী। তবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার জন্য নিয়মিত রেওয়াজের সময় থাকে না বলে রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নজরুলগীতি গাওয়াটাই বেশি পছন্দের। তবে শখ হিসাবে আঁকাকে এগিয়ে রাখতে চায় সব্যসাচী। সে বলেছে, ‘‘পোট্রেট আঁকতে আমার ভীষণ ভালোলাগে।’’
সব্যসাচীর বাবা বশির আহমেদ লস্কর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং মা চামেলি সর্দার অতুলকৃষ্ণ রায় বিদ্যায়তন ফর গার্লসের অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার। তাঁরা দু’জনেই ছেলের সাফল্যে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।