প্রতীকী ছবি।
ভাবী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের জন্য সুখবর! দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়ার তরফে প্রকাশিত হয়েছে স্কিম অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং। এই স্কিমের আওতায় থাকছে নতুন পাঠক্রম, যা পেশাদার করে তুলবে ভবিষ্যতের সিএ-দের। এই পাঠক্রমটিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার মানদণ্ড এবং জাতীয় শিক্ষানীতির নিয়মমাফিক তৈরি করা হয়েছে।
পাঠক্রমের বিষয়বস্তু:
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির পাঠক্রমে ‘অ্যাকাউন্টিং’, ‘বিজ়নেস ল’, ‘কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপটিটিউট’, ‘বিজ়নেস ম্যাথেমেটিক্স’, ‘লজ়িক্যাল রিজ়নিং, স্ট্যাটিক্স’ এবং ‘বিজ়নেস ইকোনমি’— এই সমস্ত বিষয় পড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে মোট চারটি পেপারের মাধ্যমে ‘প্রিন্সিপালস অ্যান্ড প্র্যাকটিস অফ অ্যাকাউন্টিং’, ‘বিজ়নেস ল’স অ্যান্ড বিজ়নেস করেসপন্ডেন্স অ্যান্ড রিপোর্টিং’, ‘বিজ়নেস ম্যাথেমেটিক্স অ্যান্ড লজ়িক্যাল রিজ়নিং অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্স’ এবং ‘বিজ়নেস ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজ়নেস অ্যান্ড কর্মাশিয়াল নলেজ’ পড়ানোহয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, সদ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পাঠক্রমের বিষয়বস্তুপেয়েছে সবুজ সংকেত।
কারা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন?
যে সমস্ত পড়ুয়ারা দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা একটি ফাউন্ডেশন এগজ়ামের মাধ্যমে এই পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। অন্য দিকে বাণিজ্য বিভাগের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এবং ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিস অফ ইন্ডিয়া-এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরা সরাসরি এই পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
এর পর তাঁদের দুই বছর পড়াশোনা করতে হবে এবং সমস্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবেই তাঁরা শেষ বর্ষের পরীক্ষায় বসতে পারবেন এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে মান্যতা পাবেন। আগে তিন বছরের জন্য পড়াশোনা করতে হতো শিক্ষার্থীদের।
তবে পুরোনো পাঠক্রমের অধীনে যাঁরা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের নতুন পাঠক্রম নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁদের নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা হবে।
নতুন পাঠক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হবে ১ জুলাই, ২০২৩ থেকে। কারণ ওই দিনই দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়ার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হতে চলেছে। পড়ুয়ারা নতুন পাঠক্রমের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন ২ অগস্ট, ২০২৩ থেকে। সংবাদসংস্থার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, পরিবর্তিত পাঠক্রমের মাধ্যমে ভাবী সিএ-রা আরও বেশি কাজের সুযোগ পাবেন, এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের পেশাদার ভবিষ্যত উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।