Mobile App Training Course

মোবাইল ‘অ্যাপ’ তৈরির অনলাইন প্রশিক্ষণ, কৃষি গবেষক এবং পেশাদারদের জন্য কেন জরুরি?

কৃষিক্ষেত্রে তথ্য আদানপ্রদানের পদ্ধতির উন্নয়নের লক্ষ্যে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের চাহিদাকে মাথায় রেখে এই প্রশিক্ষণ পেশাদারদের বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করবে, দাবি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এন শ্রীনিবাস রাও-এর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কৃষিক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে চাহিদার কথা মাথায় হাতেকলমে মোবাইল ‘অ্যাপ’ তৈরির প্রশিক্ষণ দেবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (আইসিএআর)। সংস্থার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট (এনএএআরএম)-এর তরফে দেশের সমস্ত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য, গবেষক এবং কর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

Advertisement

এ ছাড়াও কৃষিক্ষেত্রের কর্পোরেট সংস্থার কর্মী, কৃষিবিদ্যায় পাঠরত পড়ুয়া এবং কৃষকরাও এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। কিন্তু এই বিশেষ বিভাগের কর্মী বা পড়ুয়াদের মোবাইল ‘অ্যাপ’ তৈরির প্রশিক্ষণ কেন প্রয়োজন? এ বিষয়ে এনএএআরএম-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর তথা প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট এন শ্রীনিবাস রাওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রের কাজকে গতি দেওয়ার লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য, হাতেকলমে দেশের সমস্ত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার, গবেষকদের মোবাইল ‘অ্যাপ’ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া। এতে তাঁরা কৃষি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, বাজারদর, আবহাওয়া সংক্রান্ত রিয়েল টাইম ডেটা ট্রান্সফারের মতো কাজ আরও দ্রুত করতে সক্ষম হবেন।”

এ ছাড়াও এই প্রশিক্ষণ চলাকালীন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে তথ্য আদানপ্রদানের পদ্ধতিকে আরও মসৃণ করে তোলার চেষ্টা করা হবে। প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ বিষয়ে জানান, বিগত পাঁচ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী থেকে শুরু করে ফ্যাকাল্টি সদস্যরা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। শ্রীনিবাস রাও আরও বলেন, “চলতি বছরের প্রশিক্ষণের জন্য এখনও পর্যন্ত ৫০ জন নাম নথিভুক্ত করেছেন। অনলাইনে প্রশিক্ষণের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে শুধুমাত্র ৪০ জনকেই বেছে নেওয়া হবে। তবে এখনও পর্যন্ত ফ্যাকাল্টি সদস্য এবং কর্মীরাই আবেদন জানিয়েছেন। পড়ুয়াদের সংখ্যা সেই তুলনায় কম।”

Advertisement

অনলাইনে ক্লাস করার জন্য অংশগ্রহণকারীদের কাছে ইন্টারনেট-সহ ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ থাকা আবশ্যক। পাশাপাশি, ক্লাসে সরাসরি আলোচনাপর্ব থাকবে, তাই মাইক্রোফোন সমেত হেডফোন থাকা প্রয়োজন। চলতি বছরের অগস্টের ৫ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সকালে এবং বিকেলে ক্লাস হবে। ক্লাস সম্পূর্ণ হলে একটি মোবাইল ‘অ্যাপ’ তৈরি করতে হবে অংশগ্রহণকারীদের। কোর্স শেষে তাঁদের কাছে শংসাপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে কোর্স ফি জমা দিয়ে আবেদন জানাতে পারবেন আগ্রহীরা। এর জন্য এনএএআরএম-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে মূল বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া লিঙ্কে প্রবেশ করে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এ ছাড়াও আবেদনকারীরা সরাসরি প্রোগ্রাম ডিরেক্টরের ইমেল আইডিতেও আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। ৩১ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement