প্রতীকী চিত্র।
২৪ ফেব্রুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিকের রসায়ন পরীক্ষা। নতুন এই বিষয় নিয়ে দু’বছর পড়ার পর বড় মাপের পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে যে মনে চাপা ভয় কাজ করবে, সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই ভয় কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায় হল পাঠ্যবইয়ের তথ্যগুলি মাথায় রাখা। পরীক্ষার হলে গিয়ে সেই তথ্যগুলিকে ব্যবহার করে প্রশ্ন বুঝে সঠিক উত্তর লিখলেই পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় ভয় দূর হতে পারে।
অনেক পড়ুয়াই উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান শাখার বিষয়গুলির পরীক্ষার ক্ষেত্রে দ্রুত উত্তর লেখার অভ্যাস তৈরি করে। এই অভ্যাস এক দিকে ভাল হলেও অন্য দিকে ভুল উত্তর লেখার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই দ্রুত উত্তর তখনই লেখা ভাল, যখন প্রশ্নটি ভাল ভাবে পড়া সম্পূর্ণ হচ্ছে। তা না হলে, চেনা শব্দের ভিত্তিতে উত্তর লিখতে গিয়ে তা ভুলও হতে পারে।
একই সঙ্গে রসায়নের প্রশ্নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
• অজৈব ও জৈব রসায়নের রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি না বুঝে লেখা চলবে না।
• গাণিতিক সমস্যাগুলির সমাধান খুব ভাল ভাবে অভ্যাস করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূত্র প্রয়োগের কৌশলও মাথায় রাখতে হবে।
• গাণিতিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে কোন সূত্র কী ভাবে প্রয়োগ করলে কত দ্রুত উত্তর লেখা যেতে পারে, সেই সময়টা বুঝতে শেষ মুহূর্তের জন্য ভাল করে অভ্যাস করে নিতে হবে।
• অজৈব রসায়নের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিভিন্ন গ্রুপ-এর মৌল সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ভাল করে দেখে নিতে হবে।
• বিভিন্ন ধারণামূলক ও ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে বিক্রিয়াগুলি মাথায় রাখতে হবে। যাতে পরীক্ষার সময় লিখতে গিয়ে কোথাও কোনও সমস্যা তৈরি না হয়।
• জৈব রসায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিক্রিয়া এবং তার বিক্রিয়ক, বিকারক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। এতে বিক্রিয়াজাত পদার্থ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর লিখতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে না।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগে নিয়মিত অনুশীলন করে থাকে, তাই প্রশ্ন পেয়ে উত্তর লেখার জন্য খুব বেশি ভাবতে হবে না, এমনটাই আশা করা যায়। এ ছাড়াও পরীক্ষার্থীদের মাথা ঠান্ডা রেখে সমস্ত প্রশ্নগুলি ভাল ভাবে বুঝে তবেই পরিচ্ছন্ন ভাবে উত্তর লিখতে হবে। এতে ভাল নম্বর তো আসবেই, পাশাপাশি, যিনি খাতা দেখবেন, তিনিও পরীক্ষার্থীদের কাজে সন্তুষ্ট হবেন।