সিভি পিডিএফ ফরম্যাটে বানালে সেটি কোনও ভাবেই এডিট করা যায় না, তাইএই ফরম্যাটে তৈরি সিভি অনেকটাই নিরাপদে থাকে।
সিভির সবথেকে উপরের অংশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বলতে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, মেল আইডি দেওয়া থাকে। সিভির পাতার একেবারে উপরের অংশে ডান দিক বা বাঁ দিক করে এই তথ্যগুলি দিলে সিভি প্রথমেই অনেকটাই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
এর পর যে বিষয়টিতে নজর দিতে হয়, তা হল কি ওয়ার্ড। অর্থাৎ কোনও প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা, স্কিলগুলিকে সিভির প্রথমে কিওয়ার্ডের সাহায্যে লিখলে তা অনেকটাই বেশি চোখে পড়ে।
প্রতিটি কিওয়ার্ড লেখার সময় বুলেট ব্যবহার করা ভাল। বুলেট ব্যবহার করলে, যিনি সিভিটি দেখছেন, তাঁর নজর সহজেই পড়বে কিওয়ার্ডের উপরে।
সিভি সব সময় পরিষ্কার ডিজ়াইনের হওয়া ভাল। পরিষ্কার, সহজ এবং সাধারণ ডিজ়াইন ব্যবহার করেই সিভি তৈরি করা ভাল।
সিভিতে সব সময় বানান, ব্যাকরণ, যতিচিহ্ন সঠিক হওয়া উচিত। এই বিষয়গুলিতে কখনও ভুল করা উচিত নয়।
সিভিতে কখনও কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নাম রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
অপ্রয়োজনীয় তথ্য সিভিতে না দেওয়াই ভাল। কোনও রকম ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া উচিত নয় সিভিতে।
নিজের বিষয়ের যে তথ্যগুলি প্রথমে কিওয়ার্ড এর মতো করে লেখা হয়, সেগুলি পরে টেবিল বা পয়েন্ট করে বিস্তারিত আকারে লিখলে ভাল।
যখন কাজের ক্ষেত্রে সিভি তৈরি করা হচ্ছে তখন প্রার্থীকে এই বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, যিনি প্রার্থীর সিভি দেখবেন তিনি প্রার্থীকে আগে থেকে চেনেন না। সম্পূর্ণ পরিচয় নির্ভর করে প্রার্থীর সিভির উপর। তাই সিভি সবসময় এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে তৈরি করলে চাকরির ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হতে পারে।