প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু ফেব্রুয়ারি মাসে ২ তারিখে। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে ভূগোল পরীক্ষা হবে ৬ ফেব্রুয়ারি নাগাদ। হাতে যে হেতু আর এক মাসও বাকি নেই, তাই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের কাঠামো কেমন হবে, পরীক্ষায় কী ভাবে ভাল ফল করা সম্ভব, সে সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটির হদিশ দিচ্ছেন চেতলা বয়েজ হাই স্কুলের ভূগোল শিক্ষিকা চৈতালি চন্দ্র।
প্রশ্নপত্রের কাঠামো: লিখিত পরীক্ষায় মোট ৯০ নম্বর থাকবে। বাকি ১০ নম্বর থাকবে অন্তবর্তী মূল্যায়ন বা ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টে। লিখিত পরীক্ষায় ‘ক’ বিভাগে মোট ১৪টি ১ নম্বরের এমসিকিউ বা বহুবিকল্পধর্মী প্রশ্ন থাকবে। ১৪টি প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। ‘খ’ বিভাগে অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী ২৬টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি প্রশ্নে ১ নম্বর করে থাকবে। এই বিভাগ থেকে ২২টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এর পর ‘গ’ বিভাগে সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী ১২টি প্রশ্ন দেওয়া থাকবে। এখানে ৬টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতি প্রশ্নে থাকবে দু’নম্বর। ‘ঘ’ বিভাগে থাকবে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তরধর্মী মোট আটটি প্রশ্ন। এর মধ্যে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি প্রশ্নে থাকবে তিন নম্বর। ‘ঙ’ বিভাগে আটটি প্রশ্নের মধ্যে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি প্রশ্নে পাঁচ নম্বর থাকবে। ‘চ’ বিভাগে ভারতের প্রদত্ত রেখামানচিত্রে ভৌগোলিক বিষয়সমূহের নামসহ চিহ্নিতকরণ করতে হবে। বিষয় থাকবে ২০টি। প্রতি ক্ষেত্রে দু’নম্বর করে থাকবে।
নম্বর বাড়ানোর কৌশল:
১) এক নম্বরের ছোট প্রশ্নগুলির জন্য পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়তে হবে।
২) দু’নম্বরের প্রশ্নে মূলত ‘কী’, ‘কোথায়’ ধরনের প্রশ্ন করা হয়। তাই উত্তর হতে হবে ‘টু দ্য পয়েন্ট’।
৩) তিন নম্বরের প্রশ্নে মূলত তুলনা/ পার্থক্য/ যুক্তির অবতারণা করতে বলা হয়। এ ক্ষেত্রে তিনটির বেশি পয়েন্ট লেখার দরকার নেই।
৪) প্রাকৃতিক ভূগোলে পাঁচ নম্বরের বড় প্রশ্নে যদি রেখাচিত্র ব্যবহারের সুযোগ থাকে, তা হলে অবশ্যই তা দিতে হবে।
৫) মানচিত্রে নির্ভুল এবং পরিচ্ছন্ন চিহ্নিতকরণ করতে হবে। পাশে ‘ইন্ডেক্স’ও দিতে হবে।
৬) পাঠ্যবই ছাড়াও অন্যান্য রেফারেন্স বই, ভূগোল সম্পর্কিত কোনও সাম্প্রতিক ঘটনার দিকেও নজর রাখতে হবে।
মূলত এই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে প্রস্তুতি চালিয়ে গেলেই আশানুরূপ ফল করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।