পরিবেশ নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে এই রাজ্যেই। প্রতীকী ছবি।
পরিবেশ বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে সুলোচনার (কাল্পনিক নাম)। তিনি ছোটবেলা থেকে পড়ে এসেছেন, ‘‘১৯৭২ সালে স্টকহোমে আয়োজিত মানবসভ্যতা ও পরিবেশ সম্মেলনে প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তার জন্য ৫ জুন দিনটি নির্ধারিত করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে থাকে।’’ কিন্তু শুধু এই দিনটিতে গাছ লাগিয়ে উদ্যাপন করতে চান না সুলোচনা। তিনি পড়াশোনা মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করে উষ্ণায়ন, প্লাস্টিক দুষণ, জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তনের মতো গুরুতর সমস্যাগুলির সমাধান করতে চান। তাহলে সুলোচনার কী করা উচিত? একটু জেনে নেওয়া দরকার, সুলোচনা আসলে কোন বিষয়টি নিয়ে পড়লে তাঁর লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন?
পরিবেশ বিজ্ঞান আসলে কী?
পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়টির মাধ্যমে পরিবেশগত সমস্যাগুলির বৈজ্ঞানিক ব্যাখা এবং সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলে। পাশাপাশি, পরিবেশে যে ধরণের পরিবর্তন হয়ে চলেছে, কোন কোন পদ্ধতিতে গবেষণা করা সম্ভব, সেই বিষয়গুলি নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে এই বিষয়টিতে।
কারা পড়তে পারবেন এই বিষয় নিয়ে?
যে সমস্ত পড়ুয়ারা দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে রসায়ন, জীববিদ্যা,পদার্থবিদ্যা বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাঁরাই পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। এর পাশাপাশি, পরবর্তীকালে তাঁরা স্নাতকোত্তর স্তরেও এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
কোথায় পড়ানো হয় এই বিষয়টি?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বেশ কিছু কলেজে স্নাতকস্তরে পড়ানো হয়ে থাকে এই বিষয়টি। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনাও করতে পারবেন আগ্রহী পড়ুয়ারা।
পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ কেমন?
পরিবেশ নিয়ে চর্চার পাশাপাশি গবেষক এবং অধ্যাপক হিসেবে কাজের সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। এছাড়াও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিজ্ঞানী, পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ, ওয়াইল্ড লাইফ বায়োলজিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন তাঁরা।
পরিবেশ রক্ষার্থে পরিবেশ সম্পর্কে জানার দরকার রয়েছে সকলেরই। সেক্ষেত্রে পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে সুলোচনার মতো আরও বহু আগ্রহী পড়ুয়ারা পৃথিবীর জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে পারবেন।