প্রতীকী ছবি
চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই বড় হয়ে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এই প্রতিবেদনে পাইলট হওয়ার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।
যোগ্যতা:
স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। দ্বাদশ শ্রেণিতে রসায়ন,গণিত, পদার্থবিদ্যা অথবা এই তিনটে বিষয়ের সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স থাকতে হবে। পাইলট হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু কোর্স রয়েছে। নীচে সেগুলি উল্লেখ করা হল।
এই সব কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের।
ভারত এবং রাজ্যে যে প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাইলট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়:
এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর জেইই মেন, জেইই অ্যাডভ্যান্সড, এসআরএমজেইই, ভিআইটি ইইই, এমএইচটি সিটেট, আইপিসি সিটেট প্রবেশিকা হয়।
পাইলটের কী কী বিভাগ রয়েছে:
প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর একটি পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স পেতে হয়। বিভিন্ন ভাগের জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স থাকে।
চাকরির সুযোগ:মূলত তিনটি ভাগে কাজ করার সুযোগ থাকে।
কো-পাইলট: কো-পাইলটরা বিমান উড়ানের সময় বা তার আগে প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয় পরীক্ষা করে দেখেন। এই সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলি প্রধান পাইলটের তত্ত্বাবধানে করা হয়। প্রত্যেক কো-পাইলটকে ক্যাপ্টেন হওয়ার জন্য একটি পরীক্ষা দিতে হয়।
ফার্স্ট অফিসার: ফার্স্ট অফিসার একটি বিমানের দ্বিতীয় এয়ারলাইন পাইলট। ক্যাপ্টেনের পরে, প্রথম অফিসার হলেন বিমানের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড, যাঁকে আইনি কমান্ডারও বলা হয়। অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে যে কোনও ঘটনায় ফার্স্ট অফিসারের কমান্ড সর্বোচ্চ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
ক্যাপ্টেন: একটি বিমানের ক্যাপ্টেনের বিমানের নিরাপদ এবং দক্ষ পরিচালনার জন্য সামগ্রিক দায়িত্ব রয়েছে। ক্রু সদস্য ও যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বও ক্যাপ্টেনের। ক্যাপ্টেনরা ফ্লাইট, ফ্লাইট রেগুলেশন, এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোল পদ্ধতি এই বিষয়গুলি দেখেন। তাঁরা আকাশে সর্বাধিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এয়ার নেভিগেশন্যাল দিকগুলিও দেখেন।
এ ছাড়াও এক জন পাইলটের আরও অনেক কাজের সুযোগ থাকে সরকারি বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলিতে।