Pilot

ছোটবেলার স্বপ্ন পাইলট হওয়ার? এই উপায়ে সত্যি করে তুলুন স্বপ্নকে

এই প্রতিবেদনে পাইলট হওয়ার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি

চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই বড় হয়ে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এই প্রতিবেদনে পাইলট হওয়ার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

Advertisement

যোগ্যতা:

স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। দ্বাদশ শ্রেণিতে রসায়ন,গণিত, পদার্থবিদ্যা অথবা এই তিনটে বিষয়ের সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স থাকতে হবে। পাইলট হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু কোর্স রয়েছে। নীচে সেগুলি উল্লেখ করা হল।

Advertisement
  • বিমানচালনায় (অ্যাভিয়েশন) বিএসসি (ব্যচেলর অফ সায়েন্স)
  • এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিই (ব্যচলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং)
  • এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিটেক (ব্যচলর অফ টেকনোলজি)
  • এরোনটিক্যাল সায়েন্স বিএসসি (ব্যচলর অফ সায়েন্স)
  • এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিই (ব্যচলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং)
  • এভিওনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিটেক (ব্যচলর অফ টেকনোলজি)

এই সব কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের।

ভারত এবং রাজ্যে যে প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাইলট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়:

  • ইন্দিরা গান্ধি রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমি
  • গভর্নমেন্ট অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
  • কলকাতা পাইলট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
  • মধ্যপ্রদেশ ফ্লাইং ক্লাব
  • বোম্বে ফ্লাইং ক্লাব
  • রাজীব গান্ধী অ্যাভিয়েশন অ্যাকাডেমি
  • গভর্নমেন্ট ফ্লাইং ট্রেনিং স্কুল

এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর জেইই মেন, জেইই অ্যাডভ্যান্সড, এসআরএমজেইই, ভিআইটি ইইই, এমএইচটি সিটেট, আইপিসি সিটেট প্রবেশিকা হয়।

পাইলটের কী কী বিভাগ রয়েছে:

  • কমার্শিয়াল এবং সিভিল পাইল
  • টকো-পাইলট
  • চিফ পাইলট
  • এয়ারলাইন পাইলট
  • টেস্ট পাইলট
  • ডিফেন্স পাইলট
  • ড্রোন পাইলট

প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর একটি পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স পেতে হয়। বিভিন্ন ভাগের জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স থাকে।

  • প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স
  • এয়ারলাইন ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্স
  • কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স
  • মাল্টি ক্রু পাইলট লাইসেন্স
  • কমার্শিয়াল মাল্টি ইঞ্জিন ল্যান্ড লাইসেন্স
  • সার্টিফাইড ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টর লাইসেন্স

চাকরির সুযোগ:মূলত তিনটি ভাগে কাজ করার সুযোগ থাকে।

কো-পাইলট: কো-পাইলটরা বিমান উড়ানের সময় বা তার আগে প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয় পরীক্ষা করে দেখেন। এই সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলি প্রধান পাইলটের তত্ত্বাবধানে করা হয়। প্রত্যেক কো-পাইলটকে ক্যাপ্টেন হওয়ার জন্য একটি পরীক্ষা দিতে হয়।

ফার্স্ট অফিসার: ফার্স্ট অফিসার একটি বিমানের দ্বিতীয় এয়ারলাইন পাইলট। ক্যাপ্টেনের পরে, প্রথম অফিসার হলেন বিমানের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড, যাঁকে আইনি কমান্ডারও বলা হয়। অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে যে কোনও ঘটনায় ফার্স্ট অফিসারের কমান্ড সর্বোচ্চ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ক্যাপ্টেন: একটি বিমানের ক্যাপ্টেনের বিমানের নিরাপদ এবং দক্ষ পরিচালনার জন্য সামগ্রিক দায়িত্ব রয়েছে। ক্রু সদস্য ও যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বও ক্যাপ্টেনের। ক্যাপ্টেনরা ফ্লাইট, ফ্লাইট রেগুলেশন, এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোল পদ্ধতি এই বিষয়গুলি দেখেন। তাঁরা আকাশে সর্বাধিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এয়ার নেভিগেশন্যাল দিকগুলিও দেখেন।

এ ছাড়াও এক জন পাইলটের আরও অনেক কাজের সুযোগ থাকে সরকারি বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement