সমাজসেবা’র ডিগ্রিও পাবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। প্রতীকী ছবি।
বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে পড়ুয়ারা গতানুগতিক ভাবনার বাইরে বেরিয়ে পড়াশোনার কথা ভাবছেন। বিশেষত, যাঁরা সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাঁদের ভাবনায় এই পরিবর্তনের ছাপ রয়েছে। একই ভাবে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও ভিন্নধর্মী বিষয় নিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এমনই একটি বিষয় হল সমাজসেবা, যা এখন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ডিগ্রি কোর্স হিসাবে পড়ার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা।
সমাজসেবা বিষয়টি আসলে কী?
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, পেশার ক্ষেত্রে কী ভাবে কাজ করবেন একজন সমাজসেবী, সেই বিষয়েই শেখানো হবে এই কোর্সে। একই সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বসবাসকারী মানুষদের অধিকারগুলি কী কী, সামাজিক দর্শন, মনস্তত্ব কী ভাবে কাজ করে, সেই সমস্ত বিষয় খাতায়কলমে শেখানো হবে।
কোথায় পড়ানো হচ্ছে এই বিষয়?
বিদ্যাসাগর স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক নামক প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়টি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে পারবেন পড়ুয়ারা।
কারা পাবেন এই বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ?
সমাজসেবা নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে হবে পড়ুয়াদের। ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক স্তরে উত্তীর্ণ হতে হবে পড়ুয়াদের।
কোন ডিগ্রির আওতায় সম্পূর্ণ হবে পড়াশোনা?
তিন বছরের কোর্স শেষে পড়ুয়ারা বিএসডব্লিউ অর্থাৎ ব্যাচেলর অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক, এই ডিগ্রি অর্জন করবেন। পাশাপাশি, দুই বছরের কোর্স শেষে মাস্টার অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক-এর ডিগ্রি পাবেন স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে শুধুমাত্র ডিগ্রি কোর্সেই এই বিষয়টি পড়ানো হয়ে থাকে।
কাজের সুযোগ কেমন?
পড়াশোনার শেষে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় সমাজসেবী হিসেবে কাজ করার সুযোগরয়েছে। পাশাপাশি, সংশোধনাগার, পুরসভার মত প্রতিষ্ঠানগুলিতেও বিশেষ পদে এই বিষয়েস্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের কাজের সুযোগ দেওয়া হয়।
কী ভাবে ভর্তি হওয়া যাবে?
বিদ্যাসাগর স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্কের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে গিয়েও সশরীরে আবেদনপত্রজমা দিতে পারবেন তাঁরা। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ জুন, ২০২৩। আরও বিস্তারিত জানতে দেখে নিতে পারেন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট।