নিজস্ব চিত্র।
প্রায় আট বছর অতিক্রান্ত। ২০১৭-য় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বর্তমানে জেলবন্দি। সেই সময় চলেছিল রাজ্য জুড়ে বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধির রমরমা। ফলত একাধিক বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয় রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলকে। শেষমেষ সামাল দিতে আসরে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি করা হয় বিশেষ কমিটি। কিন্তু টানা আট বছর ধরে ওই কমিটি আদতে কোনও কাজ করেছে কী না তা স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউ এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে কাচ ভেঙে পড়ে। স্কুলের দুই পড়ুয়া জখম হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলে ২০১৭ মতো আবারও ফি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠছে। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘‘সাম্প্রতিককালে বেসরকারি স্কুলে ছাত্র আহত হওয়া বা ফি বৃদ্ধির বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। সেই ঘটনার পর দফতরের প্রধান সচিবের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গড়া কমিটির কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তার নির্দিষ্ট করে এই মুহূর্তে আমি বলতে পারব না। তবে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।’’
সম্প্রতি বেসরকারি স্কুলে কাচ ভেঙে পড়ে জখম হয় নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়া। এক পড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও অন্য পড়ুয়ার আঘাত গুরুতর ছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ওই পড়ুয়ার নাম প্রিয়ম দাস। তার মাথায় এবং ঘাড়ে চোট লেগেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তার মাথায় ১২টি এবং ঘাড়ে ৯টি সেলাই করতে হয়েছে। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকেরা।
বলা যায়, বেসরকারি স্কুলগুলিকে ঘিরে নানা অভিযোগে বার বারই সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা। ২০১৭ সালের মে মাসে টাউন হলে বেসরকারি স্কুলগুলির কর্মকর্তাদের ডেকে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষাসচিব এবং প্রথম সারির বেসরকারি স্কুলগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি একটি কমিটি তৈরি করে দেন। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেই কমিটি বেসরকারি স্কুল নিয়ে বিভিন্ন অভাব, অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। পরে সেই কমিটি থেকে কয়েক জন সদস্য বেরিয়ে যান। কমিটিও ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। আবারও কি কমিটি নিয়ে সরব হবেন মুখ্যমন্ত্রী—এই প্রশ্নই শিক্ষা মহলের একাংশের।