প্রতীকী চিত্র।
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইতে এ বছর থেকে শুরু হল বিভিন্ন রকমের সচেতনার পাঠ। সম্প্রতি ট্যাব-কন্যাশ্রীর টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে চলে যাচ্ছিল সাইবার প্রতারকদের হাতে। এর জন্য পড়ুয়াদের ছোট থেকে সতর্ক করতে এবং সাইবার থ্রেট সংক্রান্ত তথ্য সামনে তুলে ধরতে ,পাঠ্যবইতে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের। এক দিকে যে রকম সাইবার অপরাধীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশাপাশি ভুয়ো এবং অশালীন রিল, ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
যার মধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজও থাকছে। তা থেকে কী ভাবে সতর্ক হবে পড়ুয়ারা, সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই সিলেবাসে যুক্ত করা হল সাইবার সিকিউরিটি। পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘সাইবার প্রতারণা এখন সমাজের সবচেয়ে ভয়ের বিষয়। এর থেকে বাঁচতে নিম্নতন শ্রেণি থেকেই সতর্কমূলক প্রচার দরকার। পাঠ্য ইতে এই বিষয়টি যুক্ত থাকলে শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয়, অভিভাবকেরাও সতর্ক থাকবেন।’’ মূলত সাইবার অপরাধ কী ও এই অপরাধ করলে কেমন শাস্তি হতে পারে, সেই সমস্ত বিষয়ই সবিস্তার থাকবে পড়ুয়াদের পাঠ্যবইতে। কেউ অশ্লীল কোনও বিষয়বস্তু পাঠালে তার কী শাস্তি হতে পারে, সেই সবও থাকবে।
আবার, ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে সচেতনতা নির্মাণের লক্ষ্য়ও থাকবে। এমন ছবি বা ভিডিয়ো পাঠালে কী ধরনের শাস্তি হয়, সেই বিষয়ে পাঠও দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। এ ছাড়াও থাকবে, সাইবার স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা, পাসওয়ার্ড, ইমেল সুরক্ষিত রাখার পাঠ। সাইবার সুরক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, ‘‘ছোট বাচ্চারা অনেক সময় অনলাইনের নানা ফাঁদে পড়ে যায়। যার ফলে বুলিংয়ের শিকার হয়ে পড়ে। এই বিষয়ে যদি স্কুল স্তর থেকেই পড়ানো যায়, তা হলে বাচ্চাদের মধ্যে সত্য়িই সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’’