প্রতীকী ছবি।
২০২৪-এর জানুয়ারি মাসে রাজ্যের পর কেন্দ্রীয় স্তরে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষা হতে চলেছে। আগেই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের তরফে সেন্ট্রাল টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (সিটেট) সম্পর্কিত সবিস্তার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই পরীক্ষাটি মোট ২০টি ভারতীয় ভাষায় দেওয়া যাবে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দেশের ১৩৫টি শহরের পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। তবে, তাঁদের একই দিনে দু’টি পত্রের পরীক্ষা দিতে হবে। প্রথম পত্রের পরীক্ষা দুপুর ২টো থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে এবং দ্বিতীয় পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলবে।
সম্প্রতি একটি নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪-র ২১ জানুয়ারি হতে চলা এই পরীক্ষায় নাম নথিভুক্তকরণের শেষ দিনটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ২৩ নভেম্বরের বদলে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। এই পরীক্ষাটি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন দ্বারা নিযুক্ত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা দিতে পারবেন।
বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় দুটি পৃথক পত্রের সাহায্যে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকা হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে। মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগজ়ি, প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাষা, গণিত এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স— এই পাঁচটি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে। ২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ইংরেজি, হিন্দি, বাংলার পাশাপাশি, ওড়িয়া, সংস্কৃত, তিবেতিয়ান, নেপালি, মিজো, খাসির মত একাধিক আঞ্চলিক ভাষাতেও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
আগ্রহী পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে হবে। তাঁদের জন্য অনলাইনে পোর্টাল চালু থাকবে। সিটেট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি আবেদনমূল্য জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি পত্রে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ১,০০০ টাকা এবং দুটি পত্রে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ১,২০০ টাকা আবেদনমূল্য হিসাবে ধার্য করা হয়েছে। বোর্ডের তরফে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এবং পরীক্ষা কেন্দ্র সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুতই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।