প্রতীকী চিত্র।
আন্তর্জাতিক স্তরে সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিবিধ সুযোগের খোঁজ দিয়ে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল। সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিলের গোয়িং গ্লোবাল পার্টনারশিপ (জিজিপি) প্রোগ্রামের অধীনে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া পার্টনারশিপের বিভিন্ন অনুদান বা গ্রান্টের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ১২টি গ্রান্ট এবং ২টি টপ-আপ গ্রান্ট মিলিয়ে ৫,০০,০০০ পাউন্ডেরও বেশি অনুদান দেওয়া হবে। নয়া দিল্লিতে আয়োজিত ভারত এবং ইংল্যান্ডের একটি উচ্চশিক্ষা সম্মেলনে সম্প্রতি এই অনুদানের ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্মেলনে উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপরেই সম্মেলনের প্রতিনিধিদল বিশেষ ভাবে জোর দেন। এর পাশাপাশি এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য জাতীয় শিক্ষানীতি, ভারত-ইংল্যান্ড সম্পর্কের ২০৩০-এর রোডম্যাপ এবং জি-২০ সম্মেলনের ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুই দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক পার্টনারশিপ গড়ে তোলা।
শেষ তিন বছরে গোয়িং গ্লোবাল পার্টনারশিপ (জিজিপি) প্রোগ্রামের অধীনে সব মিলিয়ে ১৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে মোট দুই মিলিয়ন পাউন্ডের ৭০টি গ্রান্ট বা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের ১০০টি এবং ইংল্যান্ডের ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়। ঘোষিত নতুন ৩৬টি প্রোগ্রামের মধ্যে ছ'টি হবে জলবায়ু এবং স্থায়ী উন্নয়ন (ক্লাইমেট স্টাডিজ অ্যান্ড সাস্টেনিবিলিটির বিষয়ে।
সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গোয়িং গ্লোবাল পার্টনারশিপ (জিজিপি) প্রোগ্রামের অধীনে নথিভুক্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ৯,০৫০ থেকে বেড়ে ১২,০০০ হয়েছে।
উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা, যেমন— বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), ডিপার্ট্মেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডিএসটি), ডিপার্ট্মেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি (ডিবিটি), ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটশন কাউন্সিল (ন্যাক) এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ (এআইইউ)-এর সঙ্গেও পার্টনারশিপ গড়ে তুলবে।