Education Curriculum

জানুয়ারি থেকেই চালু হচ্ছে আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন এবং আইসিটি পাঠ্যক্রম

২০২৫-এর শিক্ষাবর্ষ থেকে দু’টি নতুন বিষয়, আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির সিলেবাসে যুক্ত হতে চলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৩
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হতে চলেছে আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির পাঠ্যক্রম। ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের বই ছাপানোর প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে শিক্ষা দফতর।

Advertisement

স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষার পাঠ্যক্রম ও বই থাকলেও ‘আর্ট অ্যান্ড এডুকেশন’ নিয়ে কোন নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম বা বই ছিল না। যার ফলে শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা বেজায় সমস্যায় পড়তেন। সেই সমস্যা মেটাতে এ বার উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ২০২৫-এর শিক্ষাবর্ষ থেকে দু’টি নতুন বিষয়, আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির সিলেবাসে যুক্ত হতে চলেছে। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এই বিষয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সিলেবাস কমিটির তরফ থেকে সম্পন্ন করা হয়েছে। বই ছাপানোর জন্য অনুমোদন দেওয়াও হয়ে গিয়েছে। এক মাসের মধ্যেই সমস্ত বই চলে আসবে। তার পরে শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

সূত্রের খবর, আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পড়ানো হলেও নিদিষ্ট কোনও বই বা পাঠ্যক্রম না থাকায় স্কুলগুলির সঙ্গে শিক্ষা দফতরের সামঞ্জস্যের অভাব হচ্ছিল। তার ফলেই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

৯০-এর দশক পর্যন্ত মাধ্যমিকে কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষা বিষয় দু’টি বাধ্যতামূলক ছিল। ৯০ দশকের শেষ লগ্নে মাধ্যমিক স্তরে এই দু’টি বিষয়কে ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পড়ানো শুরু হয় এবং কোনও পরীক্ষার্থী এই বিষয় নিয়ে পরীক্ষা দিলে তাতে প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩৪ নম্বর বাদ দিয়ে বাকিটা মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হত।

২০১১ সালের পরে পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরণ করা হয়। তার পরেই কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষা, এই দু’টি বিষয় মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো বন্ধ করে দেয় স্কুলশিক্ষা দফতর। তবে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে এটি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে এখনও পর্যন্ত পড়ানো হয়ে থাকে। পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরণের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক নামকরণের পরিবর্তন আনা হয়। শারীরশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা হয় ‘স্বাস্থ্য’ এবং তার নতুন নাম হয় স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা। একই ভাবে ‘আর্ট এডুকেশন’-এর উপরে জোর দেওয়া হয়। যার নামকরণ করা হয় ‘আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন’। তবে নতুন নাম হলেও এই সংক্রান্ত কোন‌ও বই বা পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়নি স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে। বাজারচলতি বিভিন্ন বই থেকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের ক্লাস করানো হত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement