দক্ষিণ দিনাজপুরের কৃতি পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় এ বারও কলকাতাকে ছাপিয়ে গেল জেলা। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মোট ছ’জন কৃতী প্রথম দশে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। বালুরঘাট হাই স্কুল থেকে চার জন ছাত্র এবং বালুরঘাট গার্লস হাই স্কুল থেকে দু’জন ছাত্রী এ বারের মেধাতালিকায় রয়েছে।
প্রথমেই বলতে হয় বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র উদয়ন প্রসাদের কথা। এ বারের পরীক্ষায় ৬৯১ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। বালুরঘাটের প্রাচ্য ভারতীর বাসিন্দা। ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায়। তার বাবা উমেশ প্রসাদ সিপিএম পার্টি অফিসের স্থায়ী কর্মী। অভাব অনটনের সংসারে ছেলের পড়াশোনায় উৎসাহ যোগাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। উদয়নের সাফল্যে রীতিমতো আপ্লুত তার পরিবার। কৃতী পড়ুয়ার আশা, এই ফলাফলের ভিত্তিতে সে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবে। এতে কম খরচে সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে।
গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।
বালুরঘাট হাই স্কুল থেকে আরও তিন ছাত্র মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানাধিকারী কৃশানু সাহার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮, যে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। আরও এক ছাত্র সাত্বত দে-এর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭, যে এ বারের পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে।
ছাত্রদের পাশাপাশি, ছাত্রীরাও এ বারের পরীক্ষায় বাজিমাত করেছে। ৬৮৭ পেয়ে বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের দুই ছাত্রী আবৃত্তি ঘটক এবং অর্পিতা ঘোষ সপ্তম স্থান অর্জন করেছে। একই স্কুল থেকে মেধাতালিকায় জায়গা পেলেও আবৃত্তি চিকিৎসক এবং অর্পিতা ভবিষ্যতে প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। সারা রাজ্যের মধ্যে ৬৮৫ পেয়ে নবম হয়েছে বালুরঘাট হাই স্কুলের রৌনক ঘোষ। চিকিৎসক হতে চায় সে-ও।
এত ভাল ফলাফল হওয়ায় খুশি বালুরঘাট হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নারায়ণ কুণ্ডু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বরাবরই বালুরঘাট শহরের পড়ুয়ারা সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষাগুলিতে ভাল ফল করে। এ বারের ফল তারই প্রতিফলন। আগামী দিনে এই ছাত্রছাত্রীরাই জেলার মুখ উজ্জ্বল করবে, এটাই আশা করছি।”