মা-বাবার সঙ্গে আনন্দ উদ্যাপনে ব্যস্ত পুষ্পিতা। নিজস্ব চিত্র।
আমার মুক্তি আলোয় আলোয়.. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গেয়েই মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী মনের আনন্দ প্রকাশ করল। ২ মে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই জানা গেল, মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সার্বিক ভাবে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে পুষ্পিতা বাঁশুরি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১ (৯৮.৭১ শতাংশ)।
গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।
মেধাতালিকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম প্রকাশিত হওয়ার পরই আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিনিধির কাছে পুষ্পিতার অকপট স্বীকারোক্তি, ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে। এই পরীক্ষায় সে এত ভাল ফল করতে পেরে খুব খুশি। বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ছাত্রী তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে নিয়মিত অভ্যাস সেরে নিত। পাশাপাশি, মকটেস্ট দিয়ে বিষয় সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান খুঁজে নিত।
দারোন্দা হাই স্কুলের বাংলার পার্শ্বশিক্ষক মা তনুশ্রী ঘোষ এবং বিজ্ঞান শাখার গৃহশিক্ষক বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুরি মেয়ের সাফল্যে আপ্লুত। সংবাদমাধ্যমকে পুষ্পিতা বলে, “গৃহশিক্ষক ছাড়াই এত ভাল ফল করব এটা আশা করিনি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং মা-বাবাকে ছাড়া এই ফল মিলত না।”
ঘড়ি ধরে ঠিক ১০ ঘণ্টা পড়াশোনার পাশাপাশি গান গেয়ে, মোবাইল নিয়েই অবসর কাটত পুষ্পিতার। সব বিষয়ের মধ্যে অঙ্কের প্রতি তার বিশেষ ভাললাগা রয়েছে। সেই ভাল লাগা থেকেই নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে একাদশ-দ্বাদশের পড়া সম্পূর্ণ করতে আগ্রহী সে। এর পর তার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং।