লন্ডন ডায়েরি। ফাইল ছবি।
ব্রিটেনের ইতিহাস এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, এমন বেশ কয়েক জন ভারতীয় নারী এ বার স্থান পেতে চলেছেন ‘ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারি’-র নতুন ম্যুরালে। সাত প্যানেলের বিশালাকৃতির ওই ম্যুরালটি আগামী জুন মাসে দর্শকদের জন্য উন্মোচন করা হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নায়িকা হিসাবে পরিচিত নুর ইনায়ত খানের ছবি থাকবে সেখানে। সেই সঙ্গেই বাছা হয়েছে মহারাজা দলীপ সিংহের কন্যা রাজকুমারী সোফিয়া দলীপ সিংহকে। নারীদের ভোটাধিকার নিয়ে সেই সময়ে লড়েছিলেন রাজকুমারী। থাকবে হাউস অব লর্ডসের বাঙালি সদস্যা শমি চক্রবর্তীর ছবিও। ব্যান্ডিট কুইন-এর লেখিকা মালা সেন এবং চিত্র পরিচালক গুরিন্দর চড্ডার ছবিও রাখা হচ্ছে। জ্যান হাওয়র্থ এবং লিবার্টি ব্লেকের তৈরি এই ম্যুরালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস’। ব্রিটিশ ইতিহাসে অবদান আছে, এমন মোট ১৩০ জন নারীর ছবি থাকবে ওই বিশেষ ম্যুরালে। থাকছে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গল, রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ, বিজ্ঞানী সারা গিলবার্টের ছবিও। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেখানে বাদ পড়েছে ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের নাম।
আবার বিশ্বজয়
১৯৮৩ সালে এই ক্রিকেট মাঠে বিশ্বকাপ জয় করেছিল কপিল দেবের ‘আন্ডারডগ’ ভারত। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লন্ডনের লর্ডসে আয়োজন করা হয়েছে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের। ভারতের ক্রিকেট অনুরাগীরা এ বার লর্ডসের সবুজ ঘাসে বসে দেখতে পারবেন হিন্দি ছবি ৮৩। ছবিটির ‘ওপেন এয়ার স্ক্রিনিং’ হবে ১৫ ও ১৬ জুলাই। লর্ডসের সেই ব্যালকনিতে কপিল দেবের হাতে ওঠা ‘প্রুডেনশিয়াল ট্রফি’ দেখতেও পাবেন দর্শকেরা।
নারী-শক্তি: ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারি-র ম্যুরালের অংশবিশেষ।
আরও আকাশ
লন্ডনের হিথরো আর গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে এ বার ভারতের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী উড়ানের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া। হিথরো থেকে দিল্লি ও মুম্বইয়ের উড়ান সংখ্যা সপ্তাহে ২৬ থেকে বাড়িয়ে ৩১ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে গোয়া, কোচি, আমদাবাদ এবং অমৃতসর যাওয়ার জন্য সপ্তাহে ১২টি উড়ান পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। তবে কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ানের খবর এখনও পর্যন্ত নেই। নতুন পরিষেবার জন্য এয়ার ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই ৪৭০টি নতুন বিমানের অর্ডার দিয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে মোট ১০ কোটি যাত্রীকে পরিষেবা দেওয়ার কথা ভেবেছে উড়ান সংস্থাটি।
আত্মপক্ষ সমর্থন
রাজকুমার হ্যারির স্মৃতিকথা স্পেয়ার-এর তুমুল বাণিজ্যিক সাফল্যের পর সম্ভবত আত্মজীবনী লিখতে চাইছেন রাজকুমার অ্যান্ড্রুও। শোনা যাচ্ছে, এই কলঙ্কিত রাজকুমার আমেরিকার এক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে যৌনসম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ‘তাঁর দিকের সত্যিগুলো’ তুলে ধরার জন্য। আদালতের বাইরে, এক কোটি কুড়ি লক্ষ ডলার দিয়ে, মামলা মেটান অ্যান্ড্রু। তার পরই তাঁকে রাজ-দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বইটির নাম কী হবে, জল্পনা চলছে।
কালজয়ী: হ্যামনেট নাটকের একটি দৃশ্য।
শেক্সপিয়রের ছেলে
লাইফ অব পাই-কে ‘ওয়েস্ট এন্ড’-এ মঞ্চস্থ করেছিলেন তিনি। সেই বাঙালি নাট্যকার ললিতা চক্রবর্তী আরও এক বার আর এক বিখ্যাত উপন্যাসকে মঞ্চে আনার পরিকল্পনা করেছেন। এ বারের উপন্যাস আরও এক ‘বেস্টসেলার’। ম্যাগি ও’ফ্যারেলের হ্যামনেট। উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ছেলে হ্যামনেটের জীবনী নিয়ে তৈরি এই উপন্যাস। মাত্র ১১ বছর বয়সে প্লেগে মারা গিয়েছিল উইলিয়াম-পুত্র। তার মৃত্যুর পরে একের পর এক কালজয়ী নাটক লিখেছিলেন শেক্সপিয়র। শেক্সপিয়রের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জবানিতে ও’ফ্যারেলের হ্যামনেট উপন্যাসে গোটা গল্পটি বলা হয়েছে। নাট্যকার ললিতা বলেছেন, “ম্যাগির এই সুন্দর, গভীর উপন্যাস মঞ্চস্থ করার অভিজ্ঞতা অন্য ধরনের।” হ্যামনেটের জন্মস্থান স্ট্র্যাটফোর্ড-আপন-অ্যাভন’এই নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। হ্যামনেটের সমাধি চিহ্নিত নেই। তবে ললিতা সেখানকার গির্জায় তার নামে একটি গাছ পুঁতে এসেছেন। ফলকে লিখে এসেছেন শেক্সপিয়রের হ্যামলেট-এর উদ্ধৃত অংশ।