কসবা-বোসপুকুর অঞ্চলের মহাজাতি সাধারণ পাঠাগার এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। কোভিডের কারণে বছর দুয়েক বন্ধ থাকার পর এখন সপ্তাহে আড়াই দিনের জন্য খুললেও, তার অবস্থা দেখলে দুঃখ হয়। এক তলার রিডিং রুম খাঁ খাঁ করছে। খবরের কাগজ, পত্রপত্রিকা কিছুই নেই। দোতলার মূল গ্রন্থাগারে টিমটিমে আলোয় বসে থাকেন এক জন সরকারি মহিলা গ্রন্থাগারিক। সঙ্গে থাকেন মাত্র দু’-এক জন কর্মী, যাঁদের সরকার থেকে কোনও অনুমোদন নেই। গ্রন্থাগারের এমন দুরবস্থার কারণ জিজ্ঞাসা করায় জানা গেল, পাঠকদের অনুদানেই বর্তমানে কোনও রকমে চলছে গ্রন্থাগারটি। পত্রপত্রিকা কেনার বা লাইট, ফ্যান চালানোর কোনও অর্থ সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না কমিটির অনুমোদনের অভাবে। এখন নাকি একটি কমিটি তৈরি করে তার তিন জন কর্তার নাম অনুমোদন করে স্থানীয় কাউন্সিলরের সুপারিশ মোতাবেক সরকারের কাছে অনুমোদন চাইতে হয়। অজানা এক কারণে কাজটি সম্ভব হয়নি। তাই গত কয়েক বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে টাকা পাওয়া যায়নি।
রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগারসচিবের কাছে বিনীত অনুরোধ, প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করে অবিলম্বে এই গ্রন্থাগারের হাল ফেরানো হোক, যাতে আমাদের মতো অনেক প্রবীণ নাগরিক বইয়ের মধ্যে একটু আনন্দের সন্ধান পেতে পারেন।
মৃণাল মুখোপাধ্যায়
কলকাতা-১০৭
খোলা থাক
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হলদিয়া টাউন লাইব্রেরি বর্তমানে সপ্তাহে তিন দিন খোলা থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে, গ্রন্থাগারিকের অপ্রতুলতাই এর কারণ। মাঝে আবার দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলাকালীন দশ দিন বন্ধ ছিল পাঠাগারটি। গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আজকাল অনেক ধরনের পেশায় ‘পার্শ্ব’ পদের নিযুক্তি হচ্ছে। সে পুলিশই হোক, বা শিক্ষক। এই ক্ষেত্রে তো সে ভাবেও সামাল দেওয়া যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, গ্রন্থাগারের গুরুত্ব বিবেচনা করে সমস্ত কাজের দিনেই এটি খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হোক।
শোভন কুমার
দুর্গাচক, হলদিয়া
যাত্রী হয়রানি
কিছু দিন আগে এক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা নিকটাত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলাম। হাওড়া স্টেশন থেকে বাসে উঠি। বাসটি ধীর গতিতে এগোচ্ছিল, ভিড়ও ছিল যথেষ্ট। বড়বাজার পার করে বিবাদী বাগের দিকে সেটি যখন যাত্রা শুরু করে, তখন কয়েক জন পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এক জন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট বাসটিকে দাঁড় করান। আমরা কয়েক জন যাত্রী ওই সার্জেন্টের কাছে বাসটিকে আটকানোর কারণ জানতে চাই। উত্তরে উনি খুব ভদ্র ভাবে জানান যে, ওই বাসের চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। শুনে অবাক হয়েছিলাম, কলকাতার মতো ব্যস্ত শহরে ওই চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কী করে বাস চালাচ্ছেন! এ ধরনের কাজকে অপরাধ হিসেবেই দেখা উচিত। অপকর্মটি ধরে ফেলার জন্য ওই সার্জেন্টের সাধুবাদ প্রাপ্য।
তবে একই সঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কাছে জানতে ইচ্ছে করে, শহরের ব্যস্ত রাস্তায় এ ভাবে গাড়ি আটক করে যানজট বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করার সত্যিই কি দরকার আছে? কোনও গাড়ি এই ভাবে আইনভঙ্গ করলে, ওই গাড়ির নম্বরটা নিয়ে পরে রাজ্য পরিবহণ দফতরের কাছে বাধ্যতামূলক যোগাযোগ করতে বললে, সাধারণ যাত্রীদের সুবিধা হবে। আশা করি, রাজ্য প্রশাসন এই আবেদন বিবেচনা করবে।
স্বপন কুমার আঢ্য
ভান্ডারহাটি, হুগলি
অস্বাস্থ্যকর
মেদিনীপুর পুরসভার অন্তর্গত মেদিনীপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোলা ময়রা চকে রাস্তার উপর ফেলা হয় আবর্জনা। এলাকাটি খুবই জনবহুল। ফলে নোংরা আবর্জনা পায়ে মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় এবং পথচলতি মানুষকে। খুবই অসুবিধা হয়। দুর্গন্ধে ভরে থাকে জায়গাটি। সামনেই রয়েছে খাবার, আনাজ, মাছ ইত্যাদির দোকান। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে দ্রুত পরিচ্ছন্ন করে তুলতে তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
কৌশিক পাল, মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
লঙ্ঘিত অধিকার
‘বিপজ্জনক: কোনও রকম সুরক্ষা-বিধি না মেনেই চলছে মাটির নীচের নালায় নেমে পরিষ্কারের কাজ। বৃহস্পতিবার, ধর্মতলায়’ (কলকাতা, ১৭-৬)— এই মর্মে প্রকাশিত ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার’-এর ছবিটি একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে কলকাতা তথা সমগ্ৰ পশ্চিমবঙ্গবাসীর লজ্জা। ‘দ্য প্রহিবিশন অব এমপ্লয়মেন্ট অ্যাজ় ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড দেয়ার রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাক্ট, ২০১৩’ অনুসারে, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা মাটির তলার বিপজ্জনক পয়ঃপ্রণালী বা সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের জন্য উপযুক্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া লোক নিযুক্ত করতে পারে না। শাস্তিস্বরূপ তাদের জেল ও জরিমানা হতে পারে। যেখানে আইন ভঙ্গকারীদের জন্য এটা জামিন অযোগ্য অপরাধ, সেখানে কলকাতার এক বিশেষ জনবহুল এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় মাস্ক ও সুরক্ষা বর্ম ছাড়া এই অন্যায় কাজ হয়ে চলেছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। প্রায়শ উচ্চারিত ‘মানবাধিকার’ কথাটি এই শ্রমিকদের ক্ষেত্রে অবহেলিত, বলা বাহুল্য।
জহর সাহা,কলকাতা-৫৫
অনুসন্ধান কেন্দ্র
হাওড়া-কাটোয়া, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রেলপথে রয়েছে কাটোয়া জংশন স্টেশন। এখানে কাটোয়া-বর্ধমান, কাটোয়া-আহমদপুর লাইনে ট্রেন চলাচল করে। বর্তমানে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে রেল স্টেশনটি। এখানে প্রতি দিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন, কয়েক জোড়া লোকাল-সহ বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনও চলাচল করে। কিন্তু রেলস্টেশনে নেই কোনও অনুসন্ধান কেন্দ্র। ফলে রেলের সময়সীমা এবং কোন গাড়ি কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা-যাওয়া করবে, তা জানতে রেলযাত্রীদের হয়রান হতে হয়। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, রেলযাত্রীদের সুবিধার্থে কাটোয়া স্টেশনে রেল অনুসন্ধান কেন্দ্র চালু করা হোক।
জয়দেব দত্ত, কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান
কার্ড মেলেনি
আমার বোন স্বপ্না ভট্টাচাৰ্য রাজপুর সোনারপুর মিউনিসিপ্যালিটির স্থায়ী বাসিন্দা। গত দশ বছর ধরে উনি ক্যানসারে আক্রান্ত। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার জন্য ওই শারীরিক অবস্থায় চার বার ১৪ নং ওয়ার্ড-এ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে দরখাস্ত জমা করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই কার্ড আসেনি। মে মাসের শেষের দিকে আবার নতুন করে দরখাস্ত জমা করেন। মনে হচ্ছে না, ওঁর জীবদ্দশায় এই কার্ড উনি পাবেন। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুকুমার মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-১৪৯
ধূমপান নয়
নন্দন-রবীন্দ্রসদন-অ্যাকাডেমি চত্বরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখার জন্য অনেকেই শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আসেন। কিন্তু কিছু কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ অবাধে এই চত্বরে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে যান। ধোঁয়া থেকে বাঁচতে পুরো চত্বরটাকে ‘নো স্মোকিং জ়োন’ ঘোষণা করা হোক।
অরূপরতন আইচ, কোন্নগর, হুগলি