কেবল ডোপ করার মতো জঘন্য অপরাধই নয়, সেই রিপোর্টও আবার কৌশলে বদলে ফেলা— প্রতারণায় সত্যিই পথ দেখাল রুশ প্রশাসন। দু’এক জন ব্যক্তি অসততা করে বলবর্ধক ওষুধ খেয়ে ঘুরপথে নাম ও মেডেল কেনার চেষ্টা করতে পারেন। সেটা ব্যক্তিগত স্খলন। কিন্তু সরকারি মদতে যে ডোপ করা যেতে পারে, এবং তা চাপা দেওয়ার চেষ্টাও হতে পারে, ভাবা যায় না। যখন একটা দেশের প্রশাসন এমন ‘আনস্পোর্টিং’ কাজ করে, বোঝা যায়, সরকারের মূল্যবোধে গলদ রয়ে গিয়েছে।
খারাপ লাগছে রুশ অ্যাথলিটদের জন্য। সব খেলোয়াড় নিশ্চয়ই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন, হতে পারেন না। কিন্তু ঘটনাচক্রে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক হওয়ার কারণে আগামী চার বছর আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তাঁরা! আর ক্রীড়াপ্রেমী ও দর্শকরাও নিশ্চিত ভাবেই কয়েক জন অসামান্য খেলোয়াড়কে দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন!
সবচেয়ে বড় কথা, রাশিয়া এই পৃথিবীর অনেকের কাছেই এক স্বতন্ত্র শ্রদ্ধার আসন পাওয়া দেশ, কারণ তা বিপ্লবভূমি। মানুষের সমাজকে সম্পূর্ণ পাল্টে দেওয়ার এক মহাযজ্ঞ এখানে সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয়েছিল। সাম্যের, ন্যায়ের এক আদর্শ পরিবেশ গড়ার চেষ্টা শুরু হয়েছিল। ঠিকই, এক সময় সেই স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে, কিন্তু তা বলে সেই বিপুল ও অবিশ্বাস্য চেষ্টার প্রতি লোকের বিস্ময় ও সমীহ মিলিয়ে যায়নি। বিশেষত আজ সর্বত্র লোভের উৎসবের মধ্যে, সেই বিপ্লবের স্মৃতি বেশিই জাগরূক হয়। সোভিয়েত দেশ নেই প্রায় ৩০ বছর হল, কিন্তু তাদের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা এতখানি অধঃপাতে গেলে, অনেকেরই হয়তো মনে হবে, ফের এক বার বিপুল স্বপ্নভঙ্গ হল।
নিবিড় চক্রবর্তী
কলকাতা-৩২
সেই তিমিরে
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের রেভিনিউ বা রাজস্ব বিভাগের অধীন জমি রেজিস্ট্রেশন বিভাগে এজেন্সি দ্বারা নিযুক্ত ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে, রাজ্য বিধানসভায় বড়জোড়ার সিপিআই(এম) বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তীর প্রশ্নের জবাবে, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বিবৃতি দেন, তাঁদের বেতন দেওয়া হবে ১১ হাজার টাকা। কিন্তু এখনও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের আগের মতোই ৬৭০২ টাকা বেতন দেওয়া হচ্ছে।
২০০৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতা ও দায়িত্বের সঙ্গে ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা জনগণকে উন্নততর পরিষেবা দিয়ে চলেছেন, যা বর্তমানে আইজিআর প্রজেক্ট ই-নথিকরণ নামে পরিচিত। জনগণ এই উন্নত পরিষেবা পাওয়ার ফলেই রাজ্যে জমি-জায়গা, ঘর-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন বেড়েছে, সম্পত্তির হস্তান্তর প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর হওয়ায় তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ রাজ্য সরকারের রেভিনিউ-ও বহু গুণ বেড়েছে, কিন্তু ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা বঞ্চিতই রয়ে গিয়েছেন। সরকার নির্ধারিত মিনিমাম ওয়েজেস বা ন্যূনতম বেতনের তোয়াক্কা না করে, ১২ বছরের বেশি কাজ করার পরেও তাঁদের অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আশ্চর্যের বিষয়, রাজ্য বিধানসভায় অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতিকে কোনও পক্ষই গুরুত্ব দিচ্ছেন না, কোম্পানিগুলির তো কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙছে না।
চন্দন রায়
বেলিয়াতোড়, বাঁকুড়া
নোংরা জল
কোদালিয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার ভগবতীডাঙায় নিকাশি নালা রয়েছে। কিন্তু নিয়মিত সংস্কারের অভাবে আগাছা আবর্জনা পড়ে ড্রেনটি প্রায় বুজে গিয়েছে, নোংরা জল বাড়ির উপর উঠে যায়, বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত ও স্থানীয় বিধায়ককে জানিয়ে ফল হয়নি।
প্রতিমা গঙ্গোপাধ্যায়
ভগবতীডাঙা, কোদালিয়া
সময়সারণি
দমদম জংশন স্টেশনের রিজ়ার্ভেশন কাউন্টারের পাশে মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি সময়সারণি ছিল, যেটি যথেষ্ট বড় হরফে ছাপা এবং কাউন্টার ঠিক পাশেই ছিল। ফলত ওটি পড়তে কোনও অসুবিধা হত না। কিন্তু গত সপ্তাহে ওই পুরনো সারণিটি সরিয়ে একটি নতুন সারণি লাগানো হয়েছে, যেটি অতি ক্ষুদ্র হরফে লেখা। শুধু তা-ই নয়, ওটি লাগানো হয়েছে ঠিক সিলিংয়ের নীচে, যার উচ্চতা কম করেও ১৫ ফুট। উপরন্তু সেখানে কোনও আলোর ব্যবস্থাও নেই।
গৌতম গুহ
কলকাতা-৩০
সুভাষ সরোবর
‘সুভাষ সরোবরের জলে মিশছে মলমূত্র’ (১৭-১১) প্রসঙ্গে এই পত্র। সুভাষ সরোবর পূর্ব কলকাতার অধিবাসী তথা সল্টলেকবাসীর ফুসফুস সদৃশ। সুভাষ সরোবর তার জন্মলগ্ন থেকেই প্রশাসনের নিকট থেকে বিমাতৃসুলভ আচরণ পেয়ে এসেছে। রবীন্দ্র সরোবর দেখভালের জন্য যে রকম প্রশিক্ষিত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা আছে, সুভাষ সরোবরের ক্ষেত্রে তা প্রায় নেই বললেই চলে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর করিডর নির্মাণের জন্য কয়েক বছর এর মধ্যে দিয়ে যানবাহন চলাচল করার প্রশাসনিক অনুমতি দেওয়া হয়, এখন ওই সেক্টরে কাজ শেষ হয়ে গেলেও যানবাহন চলাচলের প্রশাসনিক অনুমতি এখনও ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। তাই সরোবরের পরিবেশ দূষিত করে যানবাহন এখনও অবাধে চলেই যাচ্ছে। সর্বোপরি রয়েছে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাৎসরিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অত্যাচার। তাই সুভাষ সরোবরের এ-হেন করুণ পরিণতি।
পার্থসারথি রায়
কলকাতা-৯৭
গাছ নিধন
আমরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লকের বাসিন্দা। হলদিবাড়িতে এখন ‘উন্নয়নের যজ্ঞ’ চলছে আর নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে ৩০-১৫০ বছর বয়সের বড় বড় গাছ। বেলতলী ঘাট থেকে হলদিবাড়ি কালীবাড়ি অবধি প্রচুর গাছ কেটে ফেলা হল। এ বার হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি অবধি প্রচুর (এক থেকে দেড় হাজার) গাছ কাটা হবে। উন্নয়ন হোক পরিবেশ ধ্বংস না করে।
কৌশিক নিয়োগী
হলদিবাড়ি, কোচবিহার
ট্রেনের সমস্যা
সময়সূচি অনুসারে দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া আমতা লোকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়ার কথা। হাওড়া আমতা লাইনের নানা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাওয়ার জন্য অফিসযাত্রীদের এটি একমাত্র ট্রেন, কারণ পূর্ববর্তী ট্রেনটি দু’ঘণ্টারও বেশি সময় আগে এবং পরবর্তী ট্রেনটি এক ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে। অথচ প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সিঙ্গল লাইনের এই ট্রেনটির ক্রসিং (ডাউন ট্রেনের সঙ্গে) নির্ধারিত ডোমজুড় স্টেশনে না করিয়ে, বাঁকড়া নয়াবাজ স্টেশনে করানো হচ্ছে। ‘কোনা’ স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনোর কথা সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে। বাঁকড়ায় ক্রসিং হলে ট্রেনটি কোনা পৌঁছয় নির্ধারিত সময়ের ৫০ মিনিট পরে, ১০ টা বেজে ৫ মিনিটে। আমতা পর্যন্ত পরবর্তী সমস্ত স্টেশনেও সেই মতোই পৌঁছতে দেরি হয়। আমরা যাত্রীরা আগেও ব্যাপারটি রেল কর্তৃপক্ষের গোচরে এনেছি। তার পরে মাস কয়েক সব ঠিকঠাক। আবার তথৈবচ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মেন লাইনে, অর্থাৎ হাওড়া-মেদিনীপুর লাইনে এ সময়ে ১০ মিনিট পর পর ট্রেন চলে। দু’ঘণ্টা বিরতিতে চলা হাওড়া আমতা লোকাল যদি তার যাত্রাপথে আরও ৩০-৪০ মিনিট লেটে চলে, স্কুল-কলেজ, অফিসের যাত্রীরা চরম হতাশা এবং দুর্ভোগের শিকার হন।
শোভন সেন
সাঁতরাগাছি, হাওড়া
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।