তীব্র গরমে দিনের বেলায় যেন তপ্ত চুল্লিতে বসবাস আর রাতে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে বা লো-ভোল্টেজে জীবন দুর্বিষহ! মূল কারণ কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন বা ডব্লিউবিএসইডিসিএল-এর বিনা অনুমতিতে বা অবৈধ ভাবে গোটা রাজ্যে অসংখ্য এসি ব্যবহারকারীর অত্যাচার। সরকারের রাজস্ব রোজগারের ফাঁকি-সহ ট্রান্সফর্মারের উপর বেহিসেবি লোড পড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিভ্রাট। ফলস্বরূপ, সাধারণ জনগণের জীবন জেরবার, কাজকর্ম-জীবনজীবিকা, বিশ্রামে ব্যাঘাত।
এই সমস্যার সমাধানে আমার প্রস্তাব, বিদ্যুৎ দফতর নিজস্ব ড্রোনের মাধ্যমে অবৈধ এসি ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করুক। এর পর তাঁদের বিপুল জরিমানা ধার্য করলেই স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগে বৈধ সংযোগ নেওয়ার হিড়িক পড়বে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ দফতর যথোপযুক্ত পাওয়ারফুল ট্রান্সফর্মার বসিয়ে ক্ষমতা বাড়ালেই লো-ভোল্টেজ ও ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের মতো ঘটনাগুলি অনেকাংশে কমবে বলে বিশ্বাস করি! আর, অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা কমলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিও সুনিশ্চিত হবে।
পিনাকী চরণ দে
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান
কলেজ গড়ুন
দাঁতন বিধানসভার অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় গ্রাম সাবরা। ২০১১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, এখানকার জনসংখ্যা ১৬,২৮০। এটি একটি মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম। উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর মুসলিম এবং আদিবাসী পরিবারের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই পড়াশোনা ছেড়ে দেয় বাড়ি থেকে কলেজ দূরে হওয়ার কারণে। আমাদের মতো মুসলিম পরিবারের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অনেক পিছিয়ে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। তাই এখানে একটি কলেজ হলে বহু মানুষের উপকার হবে।
শেখ আবুল কাসিম আলি
খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
বাড়ুক ট্রেন
জঙ্গিপুর রোড স্টেশন থেকে হাওড়া যাওয়ার ট্রেন প্রয়োজনের তুলনায় কম। সকালের ইন্টারসিটি ছাড়া কলকাতামুখী আর কোনও ট্রেন নেই। তার পর বেলা দেড়টায় মেলে শিয়ালদহগামী লোকাল। পৌঁছতে রাত আটটা-ন’টা হয়ে যায়। ফলে ট্রেনটি খুব কাজে আসে না। তার পর রাত্রি থেকে ভোর পর্যন্ত খানচারেক ট্রেন চলাচল করে। জঙ্গিপুর এবং আশপাশের অঞ্চলের মানুষদের সকালে বেরিয়ে, কলকাতা থেকে কাজ সেরে রাতে ফিরে আসার জন্য সময়মতো কোনও ট্রেন পাওয়া যায় না। ফলে এই সব এলাকার যাত্রীদের দীর্ঘ দিনের দাবি, নিত্য প্রয়োজনে আরও ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো হোক। সড়কপথে সময় এবং অর্থ, দুই-ই অনেক বেশি লাগে। তা ছাড়া প্রায় ২৬০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণের ধকলও বেশি হয়।
গৌতম সিংহ রায়
জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ
মশার উপদ্রব
দমদম রেল স্টেশন থেকে সামান্য দূরে ৩০এ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন অঞ্চল জুড়ে সারা বছর প্রচণ্ড মশার দাপট চলে। এই অঞ্চলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। প্রধান কারণ, খোলা নর্দমাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। নিকাশিব্যবস্থাও এতটাই খারাপ যে, সামান্য বৃষ্টিতেই ভীষণ জল জমে এবং নামতে প্রায় দু’দিন পার হয়ে যায়। স্টেশন থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত পুরো রাস্তাই ঝোপজঙ্গলপূর্ণ, অপরিচ্ছন্ন থাকে সারা বছর। সমস্যাটি যদিও নতুন নয়। পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সঞ্জয় বসাক
কলকাতা-৫০
প্রবীণদের জন্য
পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের অধীনে অবস্থিত একটি গ্রাম কাঁদরা। এখানে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখা আছে। কয়েক লক্ষ সাধারণ মানুষ, দিনমজুর, বার্ধক্য ভাতা প্রাপ্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, পেনশন প্রাপক প্রমুখ এই ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল। দৈনিক কয়েক হাজার মানুষকে বিভিন্ন লেনদেনের জন্য এই ব্যাঙ্কে আসতে হয়। ঝাঁ-চকচকে এবং বেশ বড় পরিসর যুক্ত, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সাজানো গোছানো পরিবেশ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যাঁরা পেনশন তুলতে কিংবা টাকা লেনদেন করতে ব্যাঙ্কে আসেন তাঁদের জন্য আলাদা কোনও কাউন্টার নেই। নেই কোনও জনসাধারণের জন্য শৌচাগারও। ফলস্বরূপ দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দিনের পর দিন গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও পরিষেবা দেওয়ার মানসিকতা ও পরিকাঠামো নেই এই শাখায়।
অন্য দিকে, অবসরপ্রাপ্ত মানুষরা অবসরের সময় এককালীন যে টাকা সরকার থেকে পেয়েছেন, সেই টাকা নিরাপত্তার কথা ভেবে এই ব্যাঙ্কে বিভিন্ন খাতে গচ্ছিত রেখেছেন। কিন্তু যত সহজে টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা, তত সহজে তোলার সুযোগ পাচ্ছেন না। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বাহানার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে বৃদ্ধ বয়সে হয়রানও হতে হচ্ছে। প্রবীণ মানুষদের অসুবিধার কথা ভাবনাচিন্তা করে তাই আলাদা কাউন্টার-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হোক।
সমীর মুখোপাধ্যায়
কেতুগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান
জল যন্ত্রণা
আমি বেহালা ১২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সম্প্রতি সকালের দিকে দিনকয়েক যে ঝেঁপে বৃষ্টি হল, সেটাকে বর্ষার বৃষ্টি বলা যায় না। তা সত্ত্বেও কালীপদ মুখার্জি রোডে যে পরিমাণ জল জমল, তা বলার নয়। বেহালা চৌরাস্তা পঞ্চাননতলা থেকে ১ নম্বর কালীপদ মুখার্জি রোড ধরে পঞ্চাশ মিটার এগোলেই জল থইথই করছিল। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, ঘোর বর্ষায় কী হবে ভেবে আতঙ্কিত হচ্ছি। পুরসভার নির্দিষ্ট বিভাগের কাছে অনুরোধ, এই জলযন্ত্রণার উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক।
বিপ্লব ঘোষ
কলকাতা-৮
স্টেশনের সমস্যা
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম স্টেশন মৌড়িগ্রাম। আপ ও ডাউন ট্রেন-সহ মালগাড়ি— সবই চলাচল করে। কিন্তু স্টেশন থেকে বাইরে বেরোনোর জন্য লাইন টপকানো ছাড়া গত্যন্তর নেই। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যদি কোনও মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে, তা হলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। প্রাণ হাতে নিয়েই লাইন পেরিয়ে যেতে হয়। তা ছাড়া, স্টেশনে হয় না কোনও রকমের ঘোষণা। প্ল্যাটফর্মে চোখে পড়ল না মাইকের ব্যবস্থা। এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। রেল দফতরের সহযোগিতায় মৌড়িগ্রাম স্টেশনে দ্রুত ঘোষণার ব্যবস্থা ও ওভারব্রিজ সমস্যার সমাধান করা হোক।
অরিজিৎ দাস অধিকারী
সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর
গর্ত ভরাট
খড়গ্রাম ব্লকের কুড়োপাড়া মোড়ের উপর দিয়ে বিস্তৃত বাদশাহি রোডে একটা বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যেটা যে কোনও দিন ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারে। আগে ঠিক এই স্থানেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তা ছাড়া, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এত গাড়ি যাতায়াতের ফলে সংলগ্ন ঘরবাড়ির মধ্যে এক রকমের কম্পন অনুভূত হচ্ছে, যা সেখানকার বাসিন্দাদের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গর্তটিকে বিটুমিন প্যাচিং করা হোক এবং একই সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হোক, যাতে বাসিন্দারা স্বস্তিতে বাঁচতে পারেন।
এ বি এম তৌসিফ জামান
নগরগ্রাম, মুর্শিদাবাদ