স্বামী বিবেকানন্দ
‘বঙ্গ কৌতুক’ (১১-১১) ক্রোড়পত্র পড়ে খুব ভাল লাগল। কিন্তু উচ্চস্তরের কয়েক জন হাস্যরসস্রষ্টা সম্পর্কে কিছুই আলোচনা হয়নি দেখে খারাপও লাগল। এ প্রসঙ্গে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য স্বামী বিবেকানন্দের নাম। তাঁর অজস্র চিঠিপত্র, ‘পরিব্রাজক’, ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য’ প্রভৃতি গ্রন্থ এবং শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী লিখিত ‘স্বামি শিষ্য সংবাদ’ পড়লে বোঝা যায়, তিনি কত বড় হাস্যরসিক ও কৌতুকপ্রিয় ছিলেন।
তাঁর গুরু শ্রীরামকৃষ্ণও ‘শুকনো সন্ন্যাসী’ হতে চাননি, চেয়েছিলেন ‘রসেবশে থাকতে’। তাঁর রসবোধও অসামান্য ছিল। তার পর শ্রীঅরবিন্দ। তাঁর ‘কারাকাহিনী’তে শুধু জেল-জীবনের অভিজ্ঞতা ও আধ্যাত্মিক অনুভূতিই ব্যক্ত হয়নি, অসাধারণ উইট, হিউমার ও স্যাটায়ার সৃষ্টিতেও তিনি যে সুনিপুণ, তার পরিচয় আছে।
আর মুকুন্দরাম-ভারতচন্দ্র-দীনবন্ধু-অমৃতলালদের ‘বঙ্গ কৌতুক’ থেকে বাদ দেওয়া যায়?
কার্টুন নিয়ে যৎসামান্য আলোচনা হয়েছে, কিন্তু সেখানে চণ্ডী লাহিড়ী বা সুফি-র নাম নেই! উকিল-ব্যারিস্টারদেরও বাদ দেওয়া যায় না। অধ্যাপক হীরেন মুখোপাধ্যায়ের ‘তরী হতে তীর’ গ্রন্থে তৎকালীন হাইকোর্টের উকিল-ব্যারিস্টারদের হাসিঠাট্টার বহু বিবরণ আছে।
সুমঙ্গল চট্টোপাধ্যায়
রিষড়া, হুগলি
দূষণ ও প্রযুক্তি
দিল্লি ও ভারতের অন্য কিছু শহরের চরম পরিবেশ দূষণের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য, কী ভাবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়, ভাবা প্রয়োজন। বিষ-বায়ু ও ধোঁয়াশার গ্রাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোনও কোনও দেশ বায়ুশোধনের উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে। যেমন, নেদারল্যান্ডসের রোটারডাম এবং পোল্যান্ডের ক্রাকাও-তে ধোঁয়াশা-মুক্তির স্তম্ভ (smog-free tower) বসানো হয়েছে। চিনের রাজধানী বেজিংয়েও এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। সম্প্রতি গার্জিয়ান পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে এক প্রযুক্তি-সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘এই ধরনের টাওয়ার ভাল ভাবে কাজ করছে। দিল্লিতেও এ রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন।’’
দুবাইয়ের এক নামী কারিগরি প্রযুক্তি-সংস্থা বায়ুশোধনের ১০০ মিটারের বিরাট স্তম্ভ বানিয়েছে, যা ঘূর্ণায়মান পাখাযুক্ত ও সরাসরি একাধিক পরিস্রাবণ যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত। প্রতিটি স্তম্ভ ১.২ স্কোয়ার মাইল এলাকার বাতাসকে টেনে আনবে ও বিশুদ্ধ করবে। প্রতি দিন প্রত্যেকটি টাওয়ারের মাধ্যমে ৩ লক্ষ ২০ কিউবিক মিটার জায়গার বিষবায়ু পরিশোধিত হবে। এ দেশে এমন প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যায় না?
পৃথ্বীশ মজুমদার
কোন্নগর, হুগলি
নরকদর্শন
জায়গাটির নাম বারাসাত। যার বুক চিরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। ডাকবাংলো মোড়, কলোনি মোড়, হেলা বটতলা, ন’পাড়া কালীবাড়ি মোড় ছুঁয়ে বারাসাত হাউজ়িং টপকে চেকপোস্ট, ময়না অবধি এক দিন ভ্রমণের জন্য আহ্বান রইল আপনাদের। নরক চেনেন? না চিনলে, েদখে যান। খানা-খন্দ-গর্ত সব নস্যি। ডাকবাংলো মোড় থেকে চেকপোস্ট বা ময়না অবধি এখন মরণফাঁদ। টোটো বা ভ্যানে যাত্রীরা সব সময় আতঙ্কিত।
এই ভয়াবহ রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি কাকে টপকে, কী ভাবে ড্রিবল করে, গোঁত্তা খেতে খেতে যায়, তা দেখার মতো ব্যাপার। দিশেহারা অধৈর্য চালকেরা ভাবেন, সাধের রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বলটাকে বাঁচিয়ে এগোবেন, না কি আসীন যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা করবেন। দিনের বেলা ন’টা-সাড়ে ন’টা বেজে গেলেই অফিসযাত্রীদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া। সকলেই তো ট্রেনযাত্রী নন। বাসযাত্রীদের বারাসাত শহর পেরোতে গেলে ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ধরতেই হবে। মেরেকেটে এক কিলোমিটার পথ পার হতে এক/দেড় ঘণ্টা লেগে যায়।
কত লেখা, প্রতিবাদী ভাষ্য, দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমে সাক্ষাৎকার পর্ব প্রদর্শিত হয়েছে এই বেহাল রাস্তা নিয়ে, ইয়ত্তা নেই। তবু, উত্তরণের পথ নেই। কেন? কে দায়ী? জাতীর সড়ক দেখভালের ব্যাপারটা কোন বিভাগের ওপর বর্তায়, আমাদের জানার প্রয়োজন নেই। শুধু চাই নাগরিক সুরক্ষা। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ স্লোগানটা বড্ড হাস্যকর, ক্লিশে মনে হয় এখানকার অধিবাসীদের কাছে।
আর রাত দশটা বেজে গেলেই পথে দেখা যাবে সারি সারি ট্রাক। তারা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবে, কখনও বা তাদের গতি শামুককেও লজ্জা দেবে। ডালহৌসি থেকে এক/সোয়া এক ঘণ্টায় মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় পৌঁছে যাওয়ার পর আমাদের প্যানিক হতে শুরু করে। ডাকবাংলো থেকে কলোনি মোড় পৌঁছতে এক ঘণ্টা লেগে গেলেও এখন নিত্যযাত্রীরা একটুও অবাক হন না। স্রেফ হাঁটা মারেন। কাঁহাতক ভাল লাগে বলুন তো, অফিস করে বাড়ি পৌঁছবার সময় এই নারকীয় অবস্থা?
সর্বশেষ বিস্মিত প্রশ্ন, মহামান্য রাজ্যপাল এই তো সে দিন মালদহে গেলেন, জাতীয় সড়কের প্রশংসা করলেন। তিনি কি এই পথ অতিক্রম করার দুর্লভ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হননি?
ধ্রুবজ্যোতি বাগচী
কলকাতা-১২৫
উদ্বোধন হল...
সম্প্রতি টালিগঞ্জ স্টেশনে দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মটির উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু প্ল্যাটফর্মটিতে পৌঁছনোর কোনও ব্যবস্থা নেই! একটি নাম কা ওয়াস্তে ফুট ওভারব্রিজ করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেটি প্রায় লেক গার্ডেন্স স্টেশনের কাছে। যাত্রীদের বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাইন ধরে হেঁটে দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে হয়।
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়
শ্যামনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
ওভারব্রিজ
দক্ষিণ পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন পাঁশকুড়া। দিঘা লাইন চালু হওয়ার পর থেকেই স্টেশনটি জংশন স্টশনের মর্যাদা পেয়েছে। এর ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্মের পরে উত্তর দিকে যাওয়ার জন্য নেই কোনও ওভারব্রিজের ব্যবস্থা। ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে হেঁটে রেলের লাইন পেরিয়ে যেতে হয়। রেল থেকে আবার এই অনিয়মকে মান্যতা দিয়ে, পথচারীদের জন্য বেশ কিছু স্লিপার জড়ো করে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী পথ!
অরিজিৎ দাস অধিকারী
সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর
এক্স রে
‘পিপিপি এক্স রে কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে’ (১৩-১১) সঠিক সিদ্ধান্ত, দু’ধরনের এক্স রে রাখার সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। ডিজিটাল ব্যবস্থা অনেক হাসপাতালেই চালু আছে, তবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে না করে স্বল্পমূল্যে করলে ‘মেশিন খারাপ’ হয়ে দীর্ঘ দিন পড়ে থাকবে না।
আর, রেডিয়োগ্ৰাফারদের জন্য hazard allowance চালু করা সরকারের কর্তব্য। বিকিরণের ঝুঁকি নিয়ে ওঁদের কাজ করতে হয়।
রুমিত দাশ
সালারপুরিয়া, দুর্গাপুর
ফর্মের রং
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন: ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সংশোধন ইত্যাদি ফর্মগুলি পৃথক রঙের হোক। বিভ্রান্তি কমবে।
কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-৫
কথাটা অন্য
আপনাদের কাগজে অনেক খবরে লেখা হচ্ছে ‘কেইআইপি’, কথাটা আসলে ‘কেইআইআইপি’ (Kolkata Environmental Improvement Investment Programme)। মূল কলকাতার সন্নিহিত এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ ও বণ্টন, নিকাশি ব্যবস্থা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাস্তা— এ সবের বড় বড় প্রোজেক্ট হয় ‘কেইআইআইপি’-র মাধ্যমে।
কল্লোল সরকার
রথতলা (পশ্চিম), উত্তর ২৪ পরগনা