Help

সম্পাদক সমীপেষু: সাহায্যের নামে

নদিয়া জেলার মায়াপুর-নবদ্বীপ ফেরিঘাট পার হওয়ার জন্য টিকিট কাটি মায়াপুর ফেরি কাউন্টার থেকে। গিয়েছিলাম মোটর সাইকেল নিয়ে। নৌকাতে ওঠার সময় সমস্যা হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

কিছু দিন আগে নদিয়া জেলার মায়াপুর-নবদ্বীপ ফেরিঘাট পার হওয়ার জন্য টিকিট কাটি মায়াপুর ফেরি কাউন্টার থেকে। গিয়েছিলাম মোটর সাইকেল নিয়ে। নৌকাতে ওঠার সময় সমস্যা হয়। দেখি নৌকার ধার থেকে পাটাতন প্রায় এক ফুট নিচু। বাইক নামাতে গিয়ে সামনের মাড গার্ড আটকে যাচ্ছে। বাইক অর্ধেক নামিয়ে আর নামতেও পারি না, আবার পিছনে ফিরে আসতেও পারছি না দেখে এক জন সহৃদয় সহযাত্রী, আমার বাইকের চাকা হাত দিয়ে তুলে ধরলেন। আমি কোনও রকমে নৌকাতে বাইক নামালাম। নবদ্বীপ পাড়ে ওঠার সময়ও একই সমস্যা। তখন মাঝিরা দু’জন প্রস্তাব দিলেন, পাঁচ টাকা দিলে ওঁরা বাইক পাড়ে তুলে দিতে সাহায্য করবেন। আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই! আরও স্তম্ভিত হয়েছিলাম, যখন অন্য এক সহযাত্রী পাঁচ টাকা দিয়ে দিতে বললেন। জানালেন এ সব ক্ষেত্রে টাকা দিতেই হয়। নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর ফেরার সময়ও একই অভিজ্ঞতা হল। আমার সময়ের অভাব ছিল, তাই তর্ক বা রুখে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ন্যায্য ভাড়া দিয়ে পার হতে গিয়ে এমন তোলাবাজি কল্পনা করতে পারিনি। কিন্তু যে সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব, তার জন্য এমন অবৈধ কার্যকলাপ কেন চলবে একটা ফেরিঘাটে? সহজ ও স্থায়ী সমাধান হল, নৌকার দুই প্রান্তে ওঠা নামার স্থানে ঢাল যুক্ত কাঠের পাটাতনের ব্যবস্থা করা। এমন ব্যবস্থা আমি প্রায় দু’দশক ধরে আমাদের জলঙ্গী নদীতে বিভিন্ন ফেরিঘাটে দেখে আসছি। সেখানে এমন তোলাবাজি কোথাও দেখিনি। এই রকম একটি অনৈতিক, অবৈধ তোলাবাজির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। একই সঙ্গে উক্ত ফেরিঘাটের নিত্যযাত্রীদের নিকট আহ্বান, ন্যায্য ভাড়া দেওয়ার পরও কেন অতিরিক্ত অর্থ দেবেন?

Advertisement

শুভজিৎ বিশ্বাস, গোপীনাথপুর, নদিয়া

মাদকাসক্ত

Advertisement

কর্মসূত্রে আমায় প্রতি দিন ব্যান্ডেল স্টেশন হয়ে যেতে হয়। বেশ কিছু দিন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম, ফুট ওভারব্রিজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সের কয়েক জন মাদকাসক্ত মানুষকে। একটা কাপড়ের মধ্যে নেশার দ্রব্যাদি রেখে সেগুলি তারা নিজেদের মুখের সামনে ধরে রাখে। আর, কিছু ক্ষণের মধ্যেই নেশার ঘোরে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায়। এই দলে ১০ বছরের শিশুরাও রয়েছে দেখে কষ্ট হয়। আপাত ভাবে এদের নিরীহ মনে হলেও, নেশা করার মতো অর্থ জোগাড় করতে এরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। স্টেশনে যাত্রীদের কাছে ভিক্ষা বা চলন্ত ট্রেনে ঝাড়ু দিয়ে অর্থসাহায্য চায়। তাদের অমলিন পোশাক, ভঙ্গুর শরীর দেখে অনেকে সাহায্যও করেন। মাঝে-মাঝে নেশার টাকা না পেলে এরা হিংস্র হয়ে ওঠে, ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। আগে এরা সংখ্যায় অনেক কম ছিল, কিন্তু দিন দিন সংখ্যাটা যেন উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। স্টেশনে আরপিএফ ও জিআরপি-র সুনির্দিষ্ট ইউনিট রয়েছে, তারা নিয়মিত টহলও দেয়। তবু এই মাদকাসক্তরা বহাল তবিয়তে স্টেশনে অবস্থান করে কী ভাবে? কোনও ভাবে কি এদের উদ্ধার করে ঠিক উপায়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা যায় না?

সুজিৎ সাহা, চাকদহ, নদিয়া

বাসরুট চালু

বেহালা পশ্চিমের রবীন্দ্রনগর একটি জনবহুল অঞ্চল। জনসংখ্যার তুলনায় যাত্রিবাহী বাস এই অঞ্চলে প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ, বেশ কিছু দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার জন্য ১৩বি বাস, হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার জন্য রবীন্দ্রনগর মিনিবাস এবং ডালহৌসি-ধর্মতলা যাওয়ার জন্য সাদা রঙের একটি ছোট সরকারি বাস নিয়মিত চলত। প্রতিটি বাসে উপচে পড়ত যাত্রী। জানি না কী কারণে এগুলি হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! তার ফলে এখানকার বাসিন্দাদের এখন কোথাও যেতে হলে প্রথমে অটো রিকশা বা রিকশা করে বেহালা বা পর্ণশ্রী গিয়ে, তার পর বাস ধরে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। এতে যেমন বেশি অর্থব্যয় হচ্ছে, তেমনই অকারণ নষ্ট হচ্ছে সময়ও। তাই, রবীন্দ্রনগর ও সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বন্ধ বাস রুটগুলি পুনরায় চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অমরনাথ করণ, কলকাতা-৬০

চাঁদার জুলুম

হাওড়া জেলার আন্দুলের মধ্য ঝোড়হাট গ্রামে দুর্গাপুজোর জন্য পথচারীদের থেকে চাঁদা আদায় বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। মাত্র আধ কিলোমিটারের মধ্যে আলাদা দু’টি সংগঠনের রাস্তায় চাঁদা আদায়ের প্রতিযোগিতা পথচারী, বাইক আরোহীদের চরম বিব্রত করছে। সঙ্গে যানজট তো আছেই। গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ২০,০০০ টাকা করে সর্বমোট ৭০,০০০ টাকা ও বিদ্যুৎ চার্জ বাবদ কমবেশি ৫,০০০ টাকা (গ্রামীণ এলাকার কম বাজেটের পুজো) কমিটিগুলিকে প্রদান করেছেন। এ ছাড়াও, এই সংগঠনগুলি স্থানীয়দের থেকেও চাঁদা সংগ্রহ করে থাকে। এর পরেও রাস্তার পথচারী ও বাইক আরোহীদের থেকে কুপন দিয়ে চাঁদার উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না।

বাঙালির প্রাণের উৎসব যদি এই পুজো কমিটিগুলির কাছে উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে পরিণত হয়, তবে অচিরেই মফস্‌সল এলাকার দুর্গোৎসব তার গরিমা হারাবে। স্থানীয় প্রশাসন এই ভাবে রাস্তায় চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা করলে বাধিত হই।

দীপক কুমার রায়, মধ্য ঝোড়হাট, হাওড়া

লোকদেখানো?

অন্যান্য বছরের মতো এ বারও পুজোর মরসুমে দেখছি শহর ও মফস্‌সলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে বাস, ট্যাক্সি, ট্রাক ও বাইককে আইনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে ধরপাকড় শুরু হয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে রাস্তায় নিয়ম-কানুন মেনে চলা খুব জরুরি। যাত্রীদের পথ-নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই বিষয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের নজর রাখাটাও তো অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। কিন্তু সারা বছর একই রকম নজর না রেখে পুজোর সময়েই তা কেন বেশি করে হবে? শুধু তা-ই নয়, নানা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য জায়গাতেও পুজোর আগে একটু যেন বেশিই কর্মচাঞ্চল্য ও তৎপরতা দেখা যায়। সেটা কি কিছু উপরি উপায়ের সম্ভাবনার কারণে? আইনানুগ কর্তব্য পালন ও শৃঙ্খলাপরায়ণতা সারা বছর সর্বত্র একই রকম থাকা উচিত। না হলে তা লোকদেখানো ঠেকে।

রাধারমণ গঙ্গোপাধ্যায়, বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

দৈন্যদশা

‘অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’-এর নাট্য প্রেক্ষাগৃহের এমন দৈন্যদশা কেন? কোনও রকম সংস্কার হয় না দীর্ঘ সময় ধরে! পনেরো বছর আগেও দেখেছি বসার আসনগুলির ভগ্ন অবস্থা, আজও তা তেমনই! পুজোর ক্লাবগুলি সরকারি অনুদান পাবে, অথচ একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক মঞ্চের রক্ষণাবেক্ষণে ন্যূনতম ব্যয় হবে না?

বর্ণালী রায় মিত্র, কলকাতা-৩১

বেশি ভাড়া

নিউ টাউনে বিশ্ব বাংলা গেট থেকে টোটোতে ৮০০ মিটার দূরত্বে ভাড়া নেয় কুড়ি টাকা। আগে দশ টাকা নিত। কলকাতায় কোনও অটো বা টোটোতে এত কম দূরত্বে এত বেশি ভাড়া নেওয়া হয় না। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, সাম্যতা বজায় রাখতে যথাযথ ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করুন। অযথা বেশি ভাড়ার শিকার যেন আমাদের মতো বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা না হই।

বিনয় কুমার বসু, কলকাতা-১৫৬

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement