—প্রতীকী ছবি।
এই বাংলার তথাকথিত শিক্ষিত যুবসমাজের মধ্যে ক্রমশই একটি প্রতারণার প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে প্রকাশনার হাতছানির মাধ্যমে। সম্ভাব্য প্রতারিতকে প্রাথমিক ভাবে বলা হয় লেখা, কবিতা, অণুগল্প, আঁকা যা কিছু পাঠালে (একটির বেশি নয়) তাঁকে মেডেল, শংসাপত্র সমস্ত কিছু দিয়ে মঞ্চানুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তবে প্রধান শর্ত হল সৌজন্য সংখ্যাটিকে প্রার্থীকে কুরিয়ার চার্জ-সহ কমবেশি ৩০০ টাকায় প্রি-বুক করতে হবে। প্রথমে মোটামুটি পনেরো দিনের সময় দেওয়া হয় লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ জানিয়ে। তার পর প্রতারকরা বিশেষ বিশেষ কারণ দেখিয়ে (বা কখনও না দেখিয়েও) আরও দু’মাস মতো তাদের ভুয়ো বিজ্ঞাপন চালায় গ্রুপে। ‘যাঁরা এখনও লেখা জমা দেননি তাঁরা এখনই লেখা পাঠান আর অন্তত একটি সংখ্যা প্রি-বুক করুন। আর বেশি দিন সময় বাড়ানো যাবে না’— এ ক্ষেত্রে এই ভাবে মেসেজ পাঠানো হয়।
এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকেন এক জন সম্পাদক বা সম্পাদিকা, আর আরও তিন-চার জন অ্যাডমিন। অ্যাডমিনদেরই এক জনের ইউপিআই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়। কিছু দিন পর সেই সম্পাদক বা সম্পাদিকা গায়েব হয়ে যান আর সেই অ্যাডমিন তখন গ্রুপের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। তাঁকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিন মাস পরেও কেন বই প্রকাশিত হচ্ছে না, তখন তিনি এই বিষয়ে হাত ঝেড়ে ফেলে সম্পাদক বা সম্পাদিকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। যদি কেউ এর পরেও গ্রুপের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তবে তাঁকে বলা হয় যে, অ্যাডমিন হিসাবে উনি যা খুশি করতে পারেন।
এই ভাবে এক-একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে, বহু জনের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে, বেশ কিছু মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে প্রতারকরা গা ঢাকা দেয়। ক্ষতির অঙ্ক খুব বেশি না হলেও, এও এক ধরনের সাইবার প্রতারণাই। সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অনুরোধ, এই ধরনের গ্রুপগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে যথাশীঘ্র সম্ভব এমন প্রতারণা বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হোক।
অর্ণব চন্দ্র, কলকাতা-৬৪
অধঃপতন
বরুণ ভট্টাচার্য-র ‘ডাকের গাফিলতি’ (২৭-১১) শিরোনামে পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আমার একই অভিজ্ঞতার কথা জানাতে চাই। বীরভূম জেলার সিউড়ি শহর থেকে প্রকাশিত হয় একটি বিখ্যাত পাক্ষিক নাট্যপত্রিকা। ৩৯ বছর অতিক্রমী এই পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকেই আমি গ্ৰাহক। চাকরি জীবনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে থেকেছি। সাধারণ ডাকযোগে পাঠানো সেই সব ঠিকানায় এই পত্রিকা ঠিকঠাক পেয়েও যেতাম। অবসরের পর এখন আমি গড়িয়ার কামডহরি অঞ্চলের নারকেল বাগানে থাকি। গড়িয়া সাব পোস্ট অফিস থেকে আগে এই পত্রিকাটি এবং সাধারণ চিঠিপত্র পেয়েও যেতাম। কিন্তু, গত দু’বছর হল এখান আর কিছুই আমার ঠিকানায় ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না। পত্রিকা অফিসে খবর নিয়ে জেনেছি, ওঁরা কিন্তু পত্রিকা পাঠিয়ে যাচ্ছেন। পোস্ট অফিসের এমন পরিবর্তিত অভিনব কর্মসংস্কৃতি দেখে মনে প্রশ্ন জাগে, তাদের কি পরিকাঠামোগত কোনও গুরুতর সমস্যা হচ্ছে, না কি পোস্ট অফিসের কর্মসংস্কৃতিটাই বর্তমানে বদলে গিয়েছে?
সত্যব্রত দত্ত, কলকাতা-৮৪
আলোর যন্ত্রণা
আমি এক জন প্রবীণ নাগরিক। স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতায় দীর্ঘ দিন বসবাস করছি। আমাদের ফ্ল্যাটটি তিন তলার সামনের দিকে অবস্থিত। ফ্ল্যাটের ঠিক নীচেই একটি ‘বিউটি পার্লার’ আছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি দু’টি তলা মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার বর্গফুট জুড়ে অবস্থিত। এরা এখন একটি অতিকায় এবং অত্যন্ত ভারী সাইনবোর্ড আমাদের জানলার সামনের সানসেটের সঙ্গে তার সহযোগে লাগিয়েছে। এরই সঙ্গে আবার অত্যন্ত ভারী লোহার রড সম্বলিত আটটি হাই পাওয়ার আলোও বসিয়েছে। ফলে সানসেটগুলির খুব ক্ষতি হয়েছে। বারণ করা সত্ত্বেও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি এই বিষয়ে কোনও কর্ণপাত করেনি। তীব্র আলোর জন্য আমরা সন্ধ্যা থেকে রাত্রি পর্যন্ত, কখনও কখনও সারা রাত জানলার পর্দা সরাতে পারি না। এই সমস্যার ফলে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর প্রতিকার দাবি করছি।
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-২৬
নতুন প্রেক্ষাগৃহ
হাওড়া জেলায় বাগনান একটি অত্যধিক জনবহুল এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী এলাকা। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। এলাকার মানুষের বহু দিনের দাবি, এখানে একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হোক। জেলা পরিষদ-সহ প্রশাসন সচেষ্ট হলেই অন্যান্য এলাকার মতো বাগনানেও একটি রবীন্দ্র ভবন বা গণসংস্কৃতি মঞ্চ বা একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা যায়। সহজে যাতায়াত করা যায় এমন এলাকায় এটি নির্মিত হলে বহু মানুষ এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। বাগনান স্টেশন সংলগ্ন এলাকা নয়তো নুন্টিয়া বাঁটুলের মধ্যে মেন রাস্তার ধারের কোনও জায়গায় এমন একটি প্রেক্ষাগৃহ নির্মিত হতে পারে। এই সূত্রে প্রশাসনের দ্রুত সহযোগিতা আশা করছি।
ইন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বাগনান, হাওড়া
জালিয়াতি
২০০৯ সাল থেকে একটি সিম ব্যবহার করতাম। প্রথমে ভোটার কার্ডের মাধ্যমে সিমটি পেলেও পরে আধার কার্ড নথিভুক্ত করে সিমটি চালু রেখেছিলাম। কিন্তু কয়েক দিন আগে সিমটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত আমি এক বছরের জন্য ২৯৯৯ টাকার রিচার্জ করেছিলাম। সারা দিন মোবাইল নিয়ে নাস্তানাবুদ হয়ে পরের দিন সংস্থাটির স্থানীয় কার্যালয়ে সমস্যার কথা জানাতে তারা সব দেখেশুনে জানালেন, সিমটি আর এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত। তাই মোবাইল নম্বর ও টাকা— কিছুই ফেরত পাব না। পরে সংস্থার ডালহৌসি-র কার্যালয়ে গিয়েও একই উত্তর পেলাম। অগত্যা অন্য কোম্পানির নতুন সিম নিয়ে মোবাইল চালু রেখেছি। আমার কোর্ট-কাছারি করার সামর্থ্য নেই। তাই প্রতারিত হয়েও কিছু করতে পারলাম না। তবে, এমন প্রতারণা থেকে মানুষকে সতর্ক করতেই পত্রের অবতারণা।
অরূপ মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি
ট্র্যাফিক পুলিশ
আলমবাজার মোড় এবং দেশবন্ধু রোড তাঁতি পাড়ার মোড় এলাকায় একই সঙ্গে বাজার, জুটমিল এবং গঙ্গার ঘাট থাকায় সকাল থেকে বহু মানুষ ও যানবাহন এখানে যাতায়াত করে। এই দু’টি মোড়ই চার মাথা হওয়ার জন্য খুব যানজট হয়। যদি এখানে ট্র্যাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা যায়, তা হলে সবার খুব সুবিধা হয়। ট্র্যাফিক পুলিশ বিভাগের কাছে আবেদন, অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হোক।
তরুণ বিশ্বাস, কলকাতা-৩৫
দ্রুত মেরামত
হাওড়ার বানুপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসের নাকের ডগায়, মধ্য ঝোড়হাটে সিসি পাল রোডের উপর পুরনো ব্রিজের একটি অংশ দু’মাসের বেশি সময় ধরে ভেঙে পড়ে আছে। ব্রিজের অর্ধেক অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের জন্য সব সময়ই রাস্তায় যানজট হচ্ছে। প্রশাসন তথা পূর্ত দফতর দ্রুত ব্রিজ মেরামত করে যানজট সমস্যার নিরসন করুক।
স্বপন কুমার ঘোষ, মধ্য ঝোড়হাট, হাওড়া