উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বছর পরীক্ষার্থীরা নিজের স্কুলেই পরীক্ষায় বসবে। আর এখানেই আশঙ্কা জাগে মনে। স্নেহপরবশ হয়ে বা অন্য কোনও চাপে বা নিজেদের স্কুলের ফলাফল ভাল করার তাগিদে পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করা বা অসদুপায় অবলম্বন করতে বাধা না দেওয়ার মতো ভূমিকা অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিতে পারেন। স্বয়ং সংসদ সভাপতি এই আশঙ্কা প্রকাশ্যে ব্যক্ত করেছেন। ফলে প্রশ্ন ওঠে, এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও কেন গৃহীত সিদ্ধান্তটি বাতিল হচ্ছে না? বিশেষ করে যখন মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষাও অন্য স্কুলে গিয়ে দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা? এ ক্ষেত্রে কোনও সস্তা রাজনীতি নেই তো? উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা আঠারো বছর বয়সি হওয়ার সুবাদে অচিরেই ভোটদাতায় পরিণত হবে। “তোমাদের উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা সহজ করে দিয়েছিলাম, মনে আছে তো”— ভোটের ময়দানে এমন কথা বলার সুযোগ নেওয়ার জন্যই কি বিধি পরিবর্তন? কোভিড বিধির অজুহাত আর যা-ই হোক, এ ক্ষেত্রে খাটে না। সুতরাং, রাজ্যে শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি আত্মঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হোক।
প্রিয়রঞ্জন পাল
রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর
বেহাল রাস্তা
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার বনকাপাসি থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যে রাস্তাটি রয়েছে, তার হাল অনেক দিন ধরে খুব খারাপ। রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। পিচ উঠে বেরিয়ে গিয়েছে পাথর। এই রাস্তা কাটোয়া-বর্ধমান রাজ্য সড়কের সঙ্গে এসটিকেকে রোডের সংযোগ সাধন করছে। বনকাপাসি, দেবগ্রাম-বরমপুর, গুসুমবা, গোয়ালপাড়া, গাঁফুলিয়া, পঞ্চাননতলা, বাঁধমুড়া প্রভৃতি গ্রামের অসংখ্য মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তা ছাড়া ব্যবসা ও চাকরির সুবাদে আমার মতো অনেক মানুষ এই পথ ধরে রোজ যাতায়াত করেন, তাঁরাও প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বহু ভারী যানবাহন চলাচল করে এই রাস্তায়। যানচালকেরা জানান, বেহাল পথে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে বাড়াচ্ছে খরচ। বছরখানেক আগে ঝামা ফেলে গর্ত মেরামত করা হয়েছিল। গত কয়েক মাসে রাস্তার অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, রীতিমতো প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পূর্ত দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিয়ামুল হোসেন মল্লিক
বড়মুড়িয়া, পূর্ব বর্ধমান
অনিয়ন্ত্রিত যান
হুগলি জেলার সদর হওয়ার সুবাদে অফিস, আদালত, সমস্ত ব্যাঙ্কের শাখা, বহু স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুঁচুড়া শহরে অবস্থিত। কিন্তু এখানে জনসংখ্যার চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। সেই তুলনায় রাস্তাঘাট একই থাকায় রাস্তার উপরেও বাড়ছে চাপ। বিশেষত চুঁচুড়া স্টেশন রোডটি সাম্প্রতিক কালে একটি অতি ব্যস্ত রাস্তা হয়ে উঠেছে। রাস্তাটির স্টেশন সংলগ্ন সাবওয়ে থেকে খাদিনা মোড় পর্যন্ত এখন এত গাড়ির চাপ থাকে যে, বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের রাস্তা পারাপারের ভীষণ সমস্যা হয়। দ্রুতগতির মোটর সাইকেলগুলো তার মধ্যে আরও ভীতির সঞ্চার করে। দুর্ঘটনাও ঘটে, কখনও কখনও মোটর সাইকেলের ধাক্কায় দু’-এক জনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন, অবিলম্বে এই রাস্তায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হোক।
মিলন কুমার চট্টোপাধ্যায়
ময়নাডাঙা, হুগলি
সরুক ট্রেন
হাওড়া-তারকেশ্বর-গোঘাট ট্রেন লাইনে শেওড়াফুলির পরেই ব্যস্ত স্টেশনগুলির মধ্যে সিঙ্গুর অন্যতম। প্রতি দিন এই স্টেশন থেকে কয়েক হাজার মানুষ আপ-ডাউন লাইনে ট্রেন ধরে গন্তব্যে যান। কিন্তু এখানকার তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশের লাইনে দীর্ঘ দিন এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় স্টেশনে যেতে এবং স্টেশন থেকে ফিরতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক নাগরিক, যাঁরা ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে অক্ষম, তাঁদের স্টেশনে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, যাত্রী পরিষেবার স্বার্থে এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরানোর ব্যবস্থা করা হোক।
তাপস দাস
সিঙ্গুর, হুগলি
কবে পাব কার্ড
আমার বয়স ৬৫ বছর। ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য কেতুগ্রাম-১ ব্লক খাদ্য সরবরাহ অফিসে নির্দিষ্ট ফর্মে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ-সহ এক বছরের ব্যবধানে দু’বার আবেদন করেছি। বেশ কয়েক বার খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু এখনও কার্ড হাতে পাইনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রেশন পাচ্ছি না। স্থানীয় রেশন দোকান থেকে বলা হয়েছে, পুরনো কার্ডে রেশন দেওয়া হবে না। গত ১ মার্চ, ২০২২ দুয়ারে সরকার শিবিরে আরও এক বার আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। আবারও সেই একই আশ্বাসবাণী শুনে এলাম। অশক্ত শরীরে এ ভাবে আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে?
চম্পারানি ভট্টাচার্য
বেরুগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান
কারচুপি
‘অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলিকে শৃঙ্খলে বাঁধতে নির্দেশিকা’ (৪-৩) খবরটি এবং নির্দেশিকাটি খুবই সময়োপযোগী। এই সংস্থাগুলি কী ভাবে সাধারণ মানুষের পকেট সাফ করছে, সে বিষয়ে আলোকপাত করা যেতে পারে। বেশ কয়েক বার হাওড়া স্টেশন থেকে বেহালা, কসবা যাওয়ার জন্য এই অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির মাধ্যমে বুকিং করতে হয়েছিল। প্রত্যেকটা ট্রিপেই দেখা গিয়েছে সার্জ ফেয়ারের সঙ্গে আরও ৭৫ টাকা যোগ করে দেওয়া হয়েছে, যেটাকে বলা হচ্ছে পার্কিং ফি। অথচ, হাওড়া স্টেশনের বাইরে পার্কিংয়ের সামনে ঘণ্টাভর দাঁড়িয়ে থাকলে দেখা যায় যে, ট্যাক্সিগুলি পার্কিং-এ ঢুকলই না, বাইরে থেকে পিক-আপ করেও ৭৫ টাকা চার্জ যোগ করছে। সংস্থাগুলিকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, কোনও বিশেষ চক্র এর সঙ্গে জড়িত। এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আলোক দত্ত
কলকাতা-৩৪
ফুটপাত দখল
বেহালা চৌরাস্তা থেকে বীরেন রায় রোড পশ্চিম দিকে হেঁটে যেতে হলে একচিলতে ফুটপাতই ভরসা। কিন্তু কিছু অসাধু দখলদার ব্যবসায়ী ওইটুকু ফুটপাতেই পসরা সাজিয়ে বসে যাতায়াতের পথটুকুও আটকে দিয়েছে। বাধ্য হয়েই পথচারীদের গাড়ি চলাচলের রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। এই সব দোকানের ক্রেতারাও অনেক সময় ফুটপাতে দাঁড়িয়েই কেনাকাটা করতে বাধ্য হন। যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সুজিত চৌধুরী
কলকাতা-৮
অ্যাম্বুল্যান্স
১০২ ডায়াল করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিনা খরচে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাওয়া যায়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় গাড়ি যে সব সময় পাওয়া যাবে, এমন নিশ্চয়তা আশা করা যায় না। স্থানীয় ভাবে অনেক বেসরকারি বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই পরিষেবা দিচ্ছে। আপৎকালীন প্রয়োজনে মানুষ কিন্তু দিশেহারা হয়ে পড়েন। এই বেসরকারি বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগাযোগের নম্বর তাৎক্ষণিক ভাবে হাতের কাছে না থাকায় যোগাযোগ করা সময়সাপেক্ষ হয়ে যায়। অ্যাপ-নির্ভর অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করলে মানুষের অনেক উপকার হবে।
কিঙ্কর কুমার দে
কলকাতা-৪