—প্রতীকী ছবি।
আমি এক জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। বামফ্রন্ট সরকার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন থাকার সময় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি হেলথ কার্ড প্রবর্তন করেছিল, যাতে তাঁরা প্রয়োজন অনুসারে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পান। এমনকি বেসরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের নির্ধারিত ফি-র অনেকটাই কম টাকা লাগত। কিন্তু অধুনা বেসরকারি অনেক হাসপাতালেই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা।
কলকাতায় ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আমার যাতায়াত দীর্ঘ দিনের। কিন্তু সম্প্রতি হাসপাতালের বহির্বিভাগে ইউরোলজি বিভাগের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে দেখাতে গেলে সেখানকার কর্মরত স্টাফ জানান, ওই চিকিৎসক ফি-বাবদ ১২০০ নেবেন। শুধু তা-ই নয়, এও বলেন যে, উনি সরকারি স্বাস্থ্য কার্ডের সুযোগ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে পুরো ফি দিতে বাধ্য হলাম। এমনকি শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এই সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে জানানো হল আমায়। অথচ, দীর্ঘ দিন ধরে ওই হাসপাতালে সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই সুযোগটি চালু ছিল। তা ছাড়া, বেসরকারি হাসপাতালে অন্তর্বিভাগে চিকিৎসার জন্য প্যাকেজ ব্যবস্থা চালু থাকলেও অনেক সময়ই চিকিৎসকের ফি নগদ টাকায় আলাদা ভাবে মেটাতে হয়। নিউ টাউনে বহু বেসরকারি হাসপাতালে অনেক নামকরা ডাক্তার এ রকম দাবি করছেন সরকারি হেলথ কার্ড বা স্বাস্থ্যবিমা থাকা সত্ত্বেও।
কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, যাঁরা এই ব্যবস্থার সুবিধাভোগী, মাসিক মেডিক্যাল ভাতার স্বত্ব ত্যাগ করতে হয়। অথচ, তাঁরা বঞ্চিত হবেন কেন, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় কার?
তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, রিষড়া, হুগলি
ট্রেনে দেরি
গত কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় লোকাল বা ইএমইউ ট্রেনগুলি অস্বাভাবিক দেরি করার কারণে যাত্রী হয়রানি চূড়ান্ত আকার নিয়েছে। অনেক সময় সাঁতরাগাছি থেকে হাওড়া পৌঁছতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে। মোদ্দা কথা, লোকালগুলির সময়সূচি হাস্যকর অবস্থায় পৌঁছেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার অভিযোগ জানানো হয়েছে, কিন্তু মৌখিক এবং লিখিত আশ্বাস দেওয়ার পরেও অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ট্রেনের বিকল্প পথের সন্ধান করছেন।
আশ্চর্যের বিষয়, এই নিয়ে সংবাদপত্রে বা খবরের চ্যানেলগুলিতে আলোকপাত করা হচ্ছে না। রাজনীতিবিদ বা জনপ্রতিনিধিদের অবশ্য এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার অবকাশ নেই, কারণ তাঁরা গণপরিবহণ ব্যবস্থায় অভ্যস্ত নন। বোঝা যাচ্ছে না, রেল-কর্তৃপক্ষ ঠিক কী চাইছেন? তাঁরা কি অলাভজনক বলে, শহরতলির রেল পরিষেবাটাই তুলে দিতে চান?
অয়ন কুমার জানা, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
খড়ের গাড়ি
পূর্ব বর্ধমান জেলার উদ্ধারণপুর-বোলপুর রোডের উপর গঙ্গাটিকুরিতে নিত্যদিন যানজট লেগেই থাকে। গঙ্গাটিকুরি গ্রামের ভিতরে পাকা রাস্তাটি সঙ্কীর্ণ আকারের, অথচ হামেশাই এই রাস্তা দিয়ে খড়ের পাহাড় সাজিয়ে ভ্যানগুলি কোনও ট্র্যাফিক আইন না মেনে চলাচল করে। এদের জন্য রাস্তায় রোজ যানজট চরম আকার ধারণ করে, বিশেষত গঙ্গাটিকুরি ব্যাঙ্কের সামনে। ওই জায়গায় একটি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলও আছে। এমতাবস্থায় যদি অবৈধ ভাবে খড়বোঝাই করা গাড়িগুলো উল্টে যায়, তা হলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সম্প্রতি কাটোয়া মহকুমার বাসিন্দা হিসাবে অগ্রদ্বীপে আমরা এমন একটি দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। তাই এ বিষয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সম্পর্ক মণ্ডল, গঙ্গাটিকুরি, পূর্ব বর্ধমান
রাস্তা চওড়া
এনএসসি বোস রোডটি হল কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রধান সড়ক। গত কয়েক দশকে এই রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু রাস্তাটির কোনও রকম সম্প্রসারণ হয়নি। উল্টে নরেন্দ্রপুর থেকে হরিতলা পর্যন্ত পথের দু’পাশে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় দোকান। এর পরেও রাস্তার ধারে যেটুকু জায়গা ছিল, তা গিয়েছে আনাজ এবং মাছ বিক্রেতাদের দখলে। সাইকেল-বাইক যথেচ্ছ ভাবে দাঁড় করিয়ে ক্রেতারা জিনিস কিনতে থাকেন। বচসা এবং দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। উৎসবের মরসুমে এবং চৈত্র সেলের সময়ে অবস্থা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। পরিসর খুবই কম থাকার দরুন রাজপুর ফাঁড়ি থেকে হরিনাভি পর্যন্ত দুর্বিষহ যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বেশ কয়েক বার রাস্তাটি সম্প্রসারিত হওয়ার কথা হলেও শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপানউতোরে তা হয়ে ওঠেনি। কিছু দোকানের পুনর্বাসন নিয়ে সমস্যা আছে ঠিকই, কিন্তু তা সমাধানের ক্ষেত্রে বার বারই অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন এক শ্রেণির অসাধু এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ী।
অত্যন্ত জনবহুল অঞ্চলের অপরিসর রাস্তায় এমনিতেই প্রতি দিন প্রাণ হাতে করে পথ চলতে হয় অগণিত মানুষকে। তার মধ্যে সম্প্রতি গোদের উপর বিষফোড়া রূপে যোগ হয়েছে রাস্তার ভাঙন। পরিসরের তুলনায় যানবাহনের চাপ অত্যধিক থাকার কারণে পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে জায়গায় জায়গায় বেরিয়ে পড়েছে খোয়া, তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। কালীতলা, রাজপুর ফাঁড়ি, গাজিপুর মোড়ের দশা এতটাই বেহাল যে, বৃষ্টিতে জল জমে গেলে পথ হয়ে উঠছে মরণফাঁদ।
দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রাস্তাটির অবিলম্বে মেরামত এবং সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থানীয় মানুষের কথা ভেবে অনতিবিলম্বে এই দিকে দৃষ্টি দেবেন।
রাজীব রায় গোস্বামী, রাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
প্রতারিত
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের প্রতারিত হওয়ার ‘প্রতারণার শিকার’ (৭-৯) শীর্ষক সংবাদটি পড়ে এই পত্রের অবতারণা। আমরাও এ রকম একটি প্রতারণার শিকার। গত বছর নভেম্বরে একটি পুরুষ কণ্ঠ ফোন করে গৃহস্বামীকে বলেন, “স্টেট ব্যাঙ্কের অফিসার বলছি। ই-কে ওয়াইসি করা হচ্ছে। আপনাদের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ডের সিভিভি নম্বরগুলো বলুন তাড়াতাড়ি।” আমি তখন ফোন নিয়ে বলেছিলাম, ব্যাঙ্কে নিজেরা গিয়ে সব জানাব। কিন্তু ওই ব্যক্তি বলেন আমাদের মতো প্রবীণদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ব্যাঙ্ক থেকে এ রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তখন তাঁদের সামনে বিরাট লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে দু’জন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত ওদের ফাঁদে পা দিয়ে আমাদের প্রায় এক লক্ষ টাকা চুরি যায়। সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইম সেল-এ জানানোও হয়। তবু আজ পর্যন্ত কিছু উদ্ধার হয়নি। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করা টাকার কোনও হদিস এখনও মেলেনি।
উমা মুখোপাধ্যায়, ভদ্রকালী, হুগলি
চড়া প্রবেশমূল্য
নিউ টাউনের ওয়াক্স মিউজ়িয়মটিতে প্রবেশ মূল্য মাথাপিছু ২৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই মূল্য অত্যন্ত বেশি এবং মধ্যবিত্ত মানুষের আয়ত্তের বাইরে। প্রবেশ মূল্য হ্রাসের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি। মূল্য এমন ধার্য করা হোক, যাতে আরও মানুষ এখানে আসতে পারেন।
অরুণ গুপ্ত, কলকাতা-৮৪