Berhampur

সম্পাদক সমীপেষু: দুর্গন্ধের যন্ত্রণা

বছরের পর বছর ধরে বহরমপুর কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের হাজার হাজার যাত্রী অথবা এই রাস্তার অন্যান্য পথচারীকে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৪:৫৯
Share:

দুর্গন্ধের উৎসস্থল পাশের একটি ময়না তদন্তের ঘর। ফাইল চিত্র।

Advertisement

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি আদেশনামা অনুসারে ‘ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার’-এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য আমাকে বহরমপুরে থাকতে হয়েছিল। সারা দিন প্রশিক্ষণের পর সন্ধ্যায় শহরটা চেনার উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুরতে বেরোতাম। এ রকমই এক সন্ধ্যায় বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে যাওয়ার পথে স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার উপরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধের সম্মুখীন হতে হয়। প্রথম দিন ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম, পাশের মাছের বাজার থেকে উৎকট গন্ধটা আসছে। দ্বিতীয় দিন একই ঘটনা ঘটার পর নিকটবর্তী দোকানদারদের কাছ থেকে আসল বিষয়টি জানতে পারি। এই দুর্গন্ধের উৎসস্থল পাশের একটি ময়না তদন্তের ঘর। যেখানে প্রতি দিন বেওয়ারিশ মৃত মানুষের দেহ জড়ো করা হয়। কিন্তু সেখানকার ফ্রিজ়িং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করায় এই দুর্গন্ধ বার হয়। বছরের পর বছর ধরে বহরমপুর কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের হাজার হাজার যাত্রী অথবা এই রাস্তার অন্যান্য পথচারীকে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই ময়না তদন্ত ঘরের ঠিক উল্টো দিকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। এই দুর্গন্ধের যন্ত্রণা নিশ্চিত ভাবে সেখানকার রোগীদেরও সহ্য করতে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারেন যাঁরা, সেই সব রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব কাচ তোলা বাতানুকূল গাড়িতে যাতায়াত করেন। স্বাভাবিক ভাবে এই দুর্গন্ধের যন্ত্রণা তাঁদের কাউকেই সহ্য করতে হয় না। প্রশাসনের উচিত, এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা এবং যত শীঘ্র সম্ভব ওই ময়না তদন্তের ঘরের শীতল করার যন্ত্রটি সারিয়ে এই নরকযন্ত্রণা থেকে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা সমস্ত মানুষকে মুক্তি দেওয়া।

পার্থসারথি মণ্ডল , কৃষ্ণনগর, নদিয়া

Advertisement

ফেল করিনি

পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল (পিইউসি) সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও রিমোট সেন্সিং ডিভাইস (আরএসডি)-এ ফেল দেখিয়ে জরিমানা করার খবর সামনে এসেছে। আমিও এই রকম এক ভুক্তভোগী। ২০১৮ সালে পিইউসি সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও আমার গাড়িকে আরএসডি-তে ফেল দেখানো হয়। এই ব্যাপারে আমাকে কোনও বার্তা সেই সময় দেওয়া হয়নি। অনেক পরে এই বিষয়ে জানতে পারি এবং জানার পর রিজিয়নাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)-এ গিয়ে কোনও হদিস করতে পারিনি। কারণ সেই সময় কোভিডের সমস্যা শুরু হয়েছিল। তার পর এখন কেন্দ্রীয় ভাবে পিইউসি দেওয়া হচ্ছে। কোনও বছরই আমার গাড়ির পিইউসি ফেল হয়নি। তবুও ওই আগের পিইউসি ফেল-এর সমস্যাটা থেকে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, এই ব্যাপারে একটা উপায় নির্ধারণ করুন সাধারণ গাড়ির মালিকদের একটু স্বস্তি দেওয়ার জন্য।

রূপেন্দ্র মোহন মিত্র, কলকাতা-৪৭

বিসদৃশ

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এক সময় বলেছিলেন, প্রশাসনিক উদ্যোগে কলকাতা শহর ও শহরতলি থেকে লাইট পোস্টের গায়ে ঝুলতে থাকা সমস্ত তারের জঞ্জাল সরিয়ে ফেলা হবে। কেব্‌ল অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে সব তার মাটির নীচ দিয়ে যাবে, যাতে সেগুলি শহরের সৌন্দর্যায়নে বাধা হতে না পারে। কিন্তু কলকাতা পুরসভার উদ্যোগ কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তা আজ কলকাতা শহর ও শহরতলির অলিগলিতে গেলেও চোখে পড়ে। দুর্গোৎসবের ব্যানার, পুজোর অনুদানের টাকা দেওয়ার অভিনন্দনবার্তা সম্বলিত পোস্টারগুলি এখনও বিভিন্ন অঞ্চলে স্বমহিমায় বিরাজমান। তার উপর সারা বছর ধরে কুণ্ডলী পাকিয়ে ঝুলতে থাকা তারের জঞ্জালগুলি সত্যিই বিসদৃশ লাগে। শহরের সৌন্দর্যায়নে প্রশাসন একটু দায়িত্বশীল হতে পারে না?

সমীরকুমার ঘোষ, কলকাতা-৬৫

শূন্য সুদ

রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার অন্তর্গত ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক (পূর্বতন এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক) শাখায় স্থানীয় সূর্য সেন বিদ্যাপীঠের স্থায়ী আমানত আছে। এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর আমাদের দু’টি স্থায়ী আমানতের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ব্যাঙ্ক স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুনর্নবীকরণ করে দেয়। এক বছরের জন্য সুদ দেখায় শূন্য শতাংশ, যা শংসাপত্রে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট শাখায় বহু বার যোগাযোগ করা এবং আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি। শাখা কর্তৃপক্ষ জানায় সিস্টেম এই ভুল করেছে, কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও এটি সংশোধন করা যাচ্ছে না। ব্যাঙ্কের গ্রাহক হিসাবে প্রশ্ন— ব্যাঙ্ক গ্রাহকের স্থায়ী আমানত অ্যাকাউন্টের অর্থ কি বিনা সুদে রাখতে পারে? সিস্টেমের দোহাই দিয়ে কি ন্যায্য পাওনা থেকে গ্রাহককে বঞ্চিত করা যায়? উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সুভাষচন্দ্র আচার্য, কলকাতা-১৫০

বাইক দৌরাত্ম্য

সিগন‍্যালের আলো হলুদ হওয়ায় পথচারী যখন রাস্তা পেরোনোর জন‍্য প্রস্তুত হচ্ছেন, তখন এক শ্রেণির গাড়ি, বিশেষত বাইককে সিগন‍্যাল লাল হওয়ার আগেই দ্রুত গতিতে রুবির মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড় পেরোনোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। হলুদ থেকে সেকেন্ডের ভগ্নাংশে সিগন‍্যালের আলো লাল হওয়ায় ধাবমান যানকে আচমকা ব্রেক কষতে হয়। মোড়টি দীর্ঘ, তাই অন‍্য দিকের গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় তাঁদের কাছে তা বিপদের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি সিগন‍্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি টপকে, স্টপ লাইন না মেনে বাইকের দঙ্গলকে হামেশাই রাস্তার ধার ঘেঁষে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। স্টপ লাইন না-মানা এই সব বেপরোয়া বাইক জ়েব্রা ক্রসিং-এর ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের কাছে আতঙ্কের কারণ। দুর্ঘটনা এড়াতে ট্র্যাফিক আইন অনুযায়ী হলুদ আলোর মান‍্যতা প্রদান এবং স্টপ লাইন না মানার প্রবণতা কঠোর ভাবে বলবৎ করা প্রয়োজন।

ধীরেন্দ্র মোহন সাহা, কলকাতা-১০৭

বেহাল সরোবর

ছাত্রাবাসে থাকি। দোলের ছুটিতে বাড়ি ফিরে প্রায় মাস ছয়েক বাদে রবীন্দ্র সরোবরে গিয়েছিলাম। গিয়ে আমি হতবাক এবং কিঞ্চিৎ হতাশ হই। এক নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে সরোবরের পাশের রাস্তা ধরে এগোতে গিয়েই চোখে পড়ে সব কিছু আগের মতো নেই। রাস্তায় রীতিমতো ধুলো, যেটা আগে কখনও দেখিনি। রাস্তাটা বোধ হয় মেরামত হচ্ছিল, বহু জায়গায় মাটি ডাঁই করা ছিল। মেরামতির কারণ বাদে অন্য কারণে ধুলো হলে তা খুব মনোগ্রাহী হবে না। বহু গাছও কাটা হয়েছে দেখলাম। বড় গাছ এবং একই সঙ্গে রাস্তার ধারে কোমর সমান উচ্চতার যে গাছগুলি থাকত, বহু জায়গাতেই সেগুলিও ফাঁকা ছিল। আরও চমকপ্রদ ব্যাপার ছিল জলে। আগে বাঁধানো পাড় পর্যন্ত স্বচ্ছ জল থাকত। সে দিন দেখলাম, জল দূরে, মাঝখানে মাটি, শেওলা বা ওই ধরনের কিছু ভরে রয়েছে। আরও করুণ অবস্থা ‘আমরি’ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে। সেখানে জল সরে গিয়ে মাঠের মতো হয়ে গিয়েছিল খানিকটা। পাড়ের ধারগুলি আগে রীতিমতো পরিষ্কার থাকত, তখন বহু জায়গা আগাছায় ভরা ছিল। তবে কিছু ভাল ব্যাপারও দেখলাম। আগে নজরুল মঞ্চের দিকের ও পদ্মপুকুরের সব ক’টি ফোয়ারা চলত না, এখন সেগুলি চলছে। আমার প্রশ্ন, গোটা জায়গাটায় কোনও কাজ চললে সেই কাজ শেষে সব কিছু কি আবার আগের অবস্থায় ফিরবে? না কি দেখাশোনার অভাবে এই অবস্থাই থেকে যাবে?

দীপ্তক সরকার, কলকাতা- ৩১

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement