গত ১৯-৯ আমি লেকটাউনের জয়া সিনেমার স্টপ থেকে ২২১ বাসে চড়েছিলাম। ভীষণ ভিড়। খুব ঠেলাঠেলি করে ভিতরে ঢুকলাম। কে যেন খুব জোরে ঠেলে দিল। বাস যখন লেকটাউন-ভিআইপি’তে দাঁড়াল, পিছনের পকেটে হাত দিয়ে দেখি, মানিব্যাগ নেই। হই-হল্লা করলাম, কেউ কোনও সাড়া দিল না। বাস থেকে নেমে লেকটাউন থানায় গিয়ে অভিযোগ লিখলাম। অভিযোগ যখন জমা দিচ্ছি, একটি ১০-১২ বছরের মেয়ে থানায় ঢুকে একটা মানিব্যাগ জমা দিল। দেখি আমারই মানিব্যাগ। যা টাকা ছিল, পকেটমার নিয়ে নিয়েছে, কিন্তু এটিএম কার্ড আর অন্য সব কাগজপত্র রেখে দিয়েছে। আমার কার্ডগুলো নিয়েই বেশি চিন্তা ছিল। পকেটমার যে কার্ডগুলো রেখে দিয়েছে, এতে খুব আশ্বস্ত হলাম, এবং বুঝলাম পকেটমারটি বেশ ভাল লোক। তাকে এই চিঠির মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাই।
সতীশ মণ্ডল
পাতিপুকুর
কেন বিজ্ঞাপন
ডিপার্টমেন্ট অব সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মিনিস্ট্রি অব সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া ০৩-০৭-২০১৬ তারিখে সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন দেয় এই মর্মে— যাযাবর সম্প্রদায় ও উপসম্প্রদায়ের লোকদের কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করতে চায়। আমি ওই বিজ্ঞাপন দেখে ০৫-০৭-২০১৬ একটা কাজের আবেদন করি। বলি, আমাকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যে কোনও জায়গায় যে কোনও একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে। আমার বায়োডেটা পাঠিয়ে দিই। ওরা আমার চিঠি পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ওয়েলফেয়ার দফতরকে দায়িত্ব দেয় আমাকে একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে। তারা আবার স্বাস্থ্য ভবন ও বিকাশ ভবনে আমায় পাঠায় কাজের জন্য। কাজের কোনও ব্যবস্থা হয় না। পরে ওরা আমাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখতে বলে এবং ওরাই আমাকে ঠিকানা দেয়। আমি তখন তা-ই লিখি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর আমার চিঠি পেয়ে নবান্নে মুখ্যসচিবকে জানায় আমার কাজের ব্যবস্থা করে দিতে। কাজের জন্য মুখ্যসচিব বিকাশ ভবন ও পঞ্চায়েত দফতরে চিঠি দেন। দুই সরকারের মধ্যে চিঠি আদানপ্রদানই চলছে। ইতিমধ্যে দু’বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত। এতে আমার সময়, পরিশ্রম ও অর্থ গিয়েছে। এর কি কোনও সুরাহা হবে না? তা হলে ওই রকম বিজ্ঞাপন দেওয়ার মানে কি?
অজয় চক্রবর্তী
ইছাপুর নবাবগঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগনা
নো স্মোকিং
ইএমইউ ট্রেনে চড়ার সময় যদি ধূমপানের নেশা খুব চাগাড় দেয়, ভেন্ডর কম্পার্টমেন্টগুলোয় উঠে পড়তে পারেন। এখানে ধূমপানের নিষেধাজ্ঞা বলে কিছু নেই। কেবলমাত্র ‘নো স্মোকিং’ নোটিস লাগালেই যে দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, রেল প্রশাসনের বোঝা উচিত।
অরূপরতন আইচ
কোন্নগর, হুগলি
ওষুধের তারিখ
সামান্য জ্বর, সর্দিকাশি বা ব্যথা হলে আমাদের চিরকালের অভ্যেস, দোকান থেকে খুচরো ওষুধ কিনে খাওয়া। দোকানদাররা প্রয়োজন মতো কয়েকটি ওষুধ পাতা থেকে কেটে ক্রেতাকে বিক্রয় করেন। এ ক্ষেত্রে ওষুধের দাম বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ অনেক সময় সাধারণ মানুষের অগোচরে থেকে যায়। অনেকে সাধারণ কয়েকটি ওষুধ বাড়িতে রাখেন এবং মাসের পর মাস পার হয়ে গেলেও ব্যবহার করেন না। কখন যে সেই ওষুধটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তা তাঁরা টেরই পান না। তাই ওষুধের পাতার শেষে বা এক কোনায় দাম বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ না ছাপিয়ে, প্রতিটি ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের গায়ে অন্তত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখটি উল্লেখ করে দেওয়া হলে, ভাল।
শুভ্রদীপ বিশ্বাস
কলকাতা-১২৪
সরকারি স্ট্যাম্প
রাজ্যের সর্বত্র আদালত ও রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে বিক্রয় করা হয় নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প। জমি-গৃহ রেজিস্ট্রি ও আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজন এই সরকারি স্ট্যাম্প। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কম মূল্যের স্ট্যাম্প কাজে লাগে, তখন বেশির ভাগ বিক্রেতাই এই অল্প মূল্যের স্ট্যাম্প দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। বাধ্য হয়ে বেশি মূল্যের স্ট্যাম্প কিনে কাজ সারতে হয়। ভেন্ডর মালিক সরাসরি বলেন কম মূল্যের কাগজ বেচে খাটনির পয়সা ওঠে না, তাই বাধ্য হয়ে ‘না’ বলেছি। মানুষের সুবিধার্থে এই বিক্রেতাদের নির্দেশ দেওয়া হোক, প্রতি দিন মজুত ও বিক্রয় তালিকা প্রকাশ্যে টাঙিয়ে রাখতে।
জয়দেব দত্ত
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান
অন্য ভাবে সমর্থ
ভারতীয় রেল দফতরের অধীন সাধারণ রেলের কামরায় যেখানে ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি পরিবর্তন করে 'Differently Abled' লেখা হয়েছে, সেখানে এখনও মেট্রো রেলে 'disabled' বা ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি লেখা হচ্ছে কেন? অবিলম্বে ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি পরিবর্তন করে 'Differently Abled' বা ‘অন্য ভাবে সমর্থ’ লেখা হোক।
সন্দীপন সিংহ
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,
কাঁথি মূক ও বধির বিদ্যালয়
উপহার নয়
‘লিঙ্ক নেই’ (সম্পাদক সমীপেষু, ৩-১০) চিঠির প্রেক্ষিতে জানাই, লিঙ্ক ফেলের জন্য ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের কর্মীরা কোনও ভাবেই দায়ী নন। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নেওয়া হয়। অনেক সময় রাস্তা সম্প্রসারণের ফলে বিএসএনএল-এর লাইন এবং তার কেটে যাওয়ার ফলে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে যায়। নিজে এক জন ব্যাঙ্ককর্মী হওয়ার সুবাদে বলছি, লিঙ্ক না থাকলে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বা কর্মীরা কখনওই হাত গুটিয়ে বসে থাকেন না। ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের হিসেব সে দিনেই মিলিয়ে আসতে হয়— তা সে যত রাতই হোক না কেন। তাই কর্মীরা লিঙ্ক পেতে সারা ক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে যান। পত্রলেখকের মতে লিঙ্ক না থাকা তাঁদের কাছে ‘স্বর্গের উপহার’। কিন্তু আসলে তা বিভীষিকা। লিঙ্ক না থাকলে কাজ ‘পেন্ডিং’ থাকার ফলে কোনও স্টাফই ঠিক সময় অফিস থেকে বেরোতে পারেন না, ফলে তাঁরাও বাস-ট্রেন ফেল করেন, নিজেদের গাঁটের
কড়ি গচ্চা দিয়ে অনেক বেশি রাতে বাড়ি ফেরেন।
সুভাষ মণ্ডল
বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া
বেইলি ব্রিজ
মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙার পর একটা কথা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে— বেইলি ব্রিজ। বেইলি ইংল্যান্ডের স্থপতি কাম ইঞ্জিনিয়ার, তাঁর মাথায় এসেছিল এই বেইলি ব্রিজ। আমরা খড়্গপুর মেদিনীপুরের বাসিন্দা, বেইলি ব্রিজ সম্বন্ধে বহু কাল ওয়াকিবহাল। ১৯৭০ সালের আগে কাঁসাই নদীর উপর ছিল বেইলি ব্রিজ। নদীর দু’পাশে দু’জন পুলিশ থাকতেন। উভয়ের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ থাকত। এঁরা ব্রিজের উপর যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতেন। লক্ষ্য থাকত, যাতে দু’পাশ থেকে যানবাহন এক সঙ্গে ব্রিজে না ওঠে। সত্তরের দশকে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়, নতুন ব্রিজ তৈরির প্রয়োজন অনুভব করে সরকার, নতুন ব্রিজ বীরেন্দ্র সেতু উদ্বোধন করেন এ এল ডায়াস। এর পর সরকার বেইলি ব্রিজের লোহার কাঠামো খুলে নেয়। ব্রিটিশ সরকার সৈন্য পারাপারের জন্য এই বেইলি ব্রিজ তৈরি করেছিল। কাঁসাই নদীর উপর এখনও দাঁড়িয়ে বেইলি ব্রিজের স্তম্ভগুলো।
সঞ্জয় চৌধুরী
খড়্গপুর
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।