১৬ জন শ্রমিক মারা গেলেন রেললাইনের ওপর। মাননীয় রেলমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, এ বার থেকে রেললাইনে হাঁটবেন না (‘ঘরের পথে মৃত্যু ক্লান্ত শ্রমিকদের’, ৯-৫)। ভাবতে পারছেন? আমরা কেউ তো জানতামই না, রেললাইনটা হাঁটার জায়গা নয়! আর এতগুলো লোক কিনা সেখানে শুয়েছিল! আশ্চর্য! অবশ্য এই দেশে, ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা লোকেদের ওপর গাড়ি চালিয়ে তাদের মেরে ফেলার পরও বলা যায়, ফুটপাতটা কি ঘুমোবার জায়গা? সত্যিই তো, রেললাইন হাঁটার জায়গা নয়, ফুটপাত ঘুমোবার জায়গা নয়। কোন ভারতের লোক এরা, কোথা থেকে আসে, কেনই বা আসে? কেন এমন বিসদৃশ আচরণ করে আমাদের বিব্রত ও বিরক্ত করে? কোথায় আমরা সুপারপাওয়ার হতে যাচ্ছি, সেখানে এ রকম বিবেচনাহীন লোকেদের স্থান হয় কী করে?
কুশল মিত্র
কলকাতা-৪
দাম বেশি
দমদম রোডের মধ্যবর্তী অঞ্চলে প্রাইভেট রোড এলাকার দোকানে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। চাল-ডাল প্রভৃতি লুজ়/ আনপ্যাক্ড দ্রব্যের ক্ষেত্রে, লকডাউন শুরুর দিনের থেকে এখন ৫০%-১০০% দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। প্যাকেটজাত দ্রব্যের এমআরপি-র থেকেও দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে; প্যাকেটে কোম্পানির ঘোষিত ফ্রি গিফ্ট দেওয়া হচ্ছে না, অথচ ‘নট ফর সেল’-লেখা ওই ফ্রি গিফ্ট দোকানে বিক্রি হচ্ছে। দোকানে প্রতিবাদ করলে বলা হচ্ছে, মালের পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে, জোগান কম, তাই দাম বৃদ্ধি।
সুখেন দে
দক্ষিণ দমদম, উত্তর ২৪ পরগনা
বই এল না
আমার পুত্র সিবিএসই মাধ্যমে এই বছর দশম শ্রেণিতে উঠেছে। আমি গত ১৬ মার্চ সরাসরি এনসিইআরটি-তে বই অর্ডার করি। কিন্তু লকডাউন আরম্ভ হওয়ার আগে অবধি ওদের ওয়েবসাইটে দেখায় ‘অর্ডার আন্ডার প্রসেস’। তার পর দীর্ঘ লকডাউন আরম্ভ। দুর্ভাগ্যবশত আজ অবধি বই এসে পৌছল না। গত প্রায় এক মাস স্কুলের অনলাইন ক্লাস আরম্ভ হয়ে গেছে, কিন্তু পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত পাঠ আহরণ নিতান্তই অসুবিধাজনক। ভাবতে অবাক লাগে, যেখানে অনেক সংস্থার হোম-ডেলিভারি চালু হয়ে গেল, সেখানে পড়ুয়াদের বইটাই বাদ থেকে গেল।
স্বাতী ঘোষ
কোন্নগর, হুগলি
গাড়ি চালাব
গত জানুয়ারি মাসে ব্যারাকপুরে কাগজপত্র জমা করেছিলাম ড্রাইভিং লাইসেন্স নবীকরণের জন্য। প্রসেস হয়ে গিয়েছে। সেই সময় ১২০ দিন গাড়ি চালানোর জন্য একটা কাগজ দেওয়া হয়েছিল, যার মেয়াদ কয়েক দিন পরেই শেষ হবে। আমি বরিষ্ঠ নাগরিক। সন্তান বাইরে থাকে। আমি ও স্ত্রী দুজনেই হার্ট এবং অন্যান্য অসুখের রোগী। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। সে সবের ব্যবস্থা করতে গাড়ি নিয়ে বার হতে হয়। বুঝতে পারছি না, গাড়ি চালাতে না পারলে কী হবে। আজকাল লকডাউনে ড্রাইভার পাওয়া যায় না।
দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য
কলকাতা-৫৭
বাঘের সমস্যা
সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ব্যাঘ্রগণনা অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ সালে হিসেব বলছে, বাঘের সংখ্যা ৮৭ থেকে বেড়ে ৯৬টি হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। আপাত ভাবে ভাল লাগলেও, এ কিন্তু খুব আনন্দের খবর মোটেই নয়।
সরকারি তথ্য বলছে, সুন্দরবনে ১৯৭৯-তে বাঘের সংখ্যা ছিল ২০৫টি, ১৯৯৩-তে ৩৩৫টি। এবং পরে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪৯টিতে। অর্থাৎ এটা ধরে নেওয়া যায়, তখন গণনায় কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকলেও, সেই সময় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যাটি অন্তত পক্ষে দেড়শো থেকে পৌনে দুশোর কাছাকাছি ছিল।
আর এখন একশোও নয়! গত কুড়ি বছরে বাঘের সংখ্যা কমতে কমতে একশোর নীচে চলে এসেছে। প্রয়াত বাঘ বিশেষজ্ঞ কল্যাণ চক্রবর্তী তাঁর একটি লেখায় বলেছেন, একটা পূর্ণবয়স্ক বাঘের খাওয়ার জন্য প্রতি দিন গড়পড়তা দশ কেজি মাংস চাই। এই প্রয়োজন মেটাতে গেলে বাঘের সপ্তাহে একটা শুয়োর বা হরিণ চাই। কিন্তু সুন্দরবনে বাঘের খাদ্যের অভাব রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুয়োর নেই। তুলনায় হরিণ একটু বেশি আছে। বাঘ বাঁদরের মাংস পছন্দ করে। কিন্তু চট করে বাঁদর ধরতে পারে না। বাঘ এখানে যথেষ্ট পরিমাণে খাবার না পেলে বাংলাদেশের সুন্দরবনের দিকে ঝুঁকবে। কারণ, সুন্দরবনের বাঘ নদী সাঁতরে একনাগাড়ে মাইলের পর মাইল চলে যেতে পারে। সুন্দরবনে বাঘ আর ম্যানগ্রোভ জঙ্গল বাঁচাতে হলে সবার আগে চোরাশিকার বন্ধে আরও জোর দিতে হবে। চোরাশিকারীদের হাত থেকে বাঘ আর বাঘের খাদ্য শুয়োর, হরিণকে বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি সুন্দরবনের ভেতরে হোটেল, রিসর্ট করার অনুমতি দেওয়াও বন্ধ করতে হবে। জঙ্গলে বেশি মানুষের আনাগোনা বাঘ মোটেই পছন্দ করে না।
সমীর সাহা
শ্রীরামপুর, হুগলি
হাসপাতাল বন্ধ
বর্তমান পরিস্থিতিতে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নামিদামি সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল, ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা সংক্রমণের কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য রোগে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ওই অঞ্চলের মানুষ জরুরি চিকিৎসার জন্যে নিকটস্থ হাসপাতালগুলির ওপরেই নির্ভরশীল। তাঁরাও বিপদে পড়ছেন। হাসপাতালগুলিকে সংক্রমণমুক্ত করার পর যখন আবার চালু করা হচ্ছে, সেই খবরটা কিন্তু কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে না, তাই সাধারণ মানুষ জানতেও পারছেন না।
সঞ্জীব পাল
দমদম
তালিকায় যোগ
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ‘টিচার্স সার্ভিস রুল’ অনুযায়ী, কোনও শিক্ষক যদি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন, তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা ২১ দিন এবং পর্ষদের বিশেষ অনুমতিক্রমে ৩০ দিন পর্যন্ত সবেতন ছুটি বা ‘কোয়রান্টিন লিভ’ পেয়ে থাকেন। রোগগুলির মধ্যে স্মলপক্স, প্লেগ প্রভৃতির উল্লেখ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস এই মুহূর্তে নির্মূল হবে না। প্রতি বছরই ফিরে আসতে পারে। সেই জন্য এই তালিকাতে এ বার থেকে ‘কোভিড-১৯’ রোগটি অন্তর্ভুক্ত হোক।
জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ
বেড়ি পাঁচপোতা, উত্তর ২৪ পরগনা
এটিএম
বহু মানুষ একই এটিএম ব্যবহার করছেন— এতে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই এটিএম-এর দরজা, ঘর, মেশিন নিয়মিত ও যথাযথ ভাবে স্যানিটাইজ় করার আবেদন জানাচ্ছি।
তাপস দাস
সিঙ্গুর, হুগলি
বেহাল পথ
স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ার সুবাদে, নিত্য সড়কপথে যাতায়াত করতে হয়। অম্বিকা কালনা থেকে পূর্বস্থলী যাওয়ার পথটির বেহাল অবস্থা, যানবাহন চলার অযোগ্য। মেরামত প্রয়োজন, কারণ ট্রেন আবার কবে চলবে কে জানে?
সন্দীপ খামারু
ডুমুরদহ, হুগলি
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।