প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় জ়িরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য রাজ্যজুড়ে গ্রামে ব্যাঙ্কের তরফে ‘ব্যাঙ্ক মিত্র’ খোলা হয়েছে। এই ব্যাঙ্ক মিত্র কেন্দ্রগুলিতে জ়িরো ব্যালান্সের অ্যাকাউন্ট নম্বর হাতে পাওয়া যায় না। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, অনন্তপুর, রাধামণি, জোসাডম্বুর-সহ প্রায় প্রতিটি ব্যাঙ্ক মিত্র কেন্দ্রে জ়িরো ব্যালান্সের অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ন্যূনতম ১০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে।
২০১৮ সালের এপ্রিলে আমার স্ত্রী-র জনধন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তাঁকে নিয়ে স্থানীয় জোসাডম্বুর গ্রামের ব্যাঙ্ক মিত্র কেন্দ্রে যাই। নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে ওঁদের কথামতো ১০০০ টাকা জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলি। সেই টাকা অ্যাকাউন্ট নম্বরে জমাও করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে জানতে পারি, জনধন অ্যাকাউন্টের ফর্ম পূরণ করা সত্ত্বেও আমাকে ব্যাঙ্ক মিত্র কেন্দ্র থেকে অন্য একটি সাধারণ অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে! এ ব্যাপারে আমাকে কিছুই বলা হয়নি! গ্রামের অনেকেই এ রকম সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা জনধন যোজনায় প্রাপ্য সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের শাখায় জনধন অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে সেখান থেকে সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক মিত্র কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে!
কর্তৃপক্ষের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই, জনধন যোজনায় অ্যাকাউন্ট খুলে অ্যাকাউন্ট নম্বর হাতে পেতে কি ন্যূনতম ১০০০ টাকা লাগে? যদি তা-ই হয়, তা হলে বিনা পয়সায় বা জ়িরো ব্যালান্সে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলার কী মানে? ব্যাঙ্ক মিত্র কেন্দ্রে এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কেনই বা গরিব মানুষদের থেকে ১০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে?
সুদীপ্ত মণ্ডল
তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
আশাকর্মীরা
গত তিন মাস ধরে করোনা মোকাবিলায় আশা-সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন, অথচ তাঁদের সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। এ দিকে দিন
দিন কাজের চাপ বেড়ে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘প্রথম সারির যোদ্ধা’ ঘোষণা করে ১০০০ টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু টাকাটা কবে থেকে পাওয়া যাবে, তা তিনি জানাননি। কী এক কারণে তিনি আবার রাজ্যজুড়ে সমস্ত আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীকে চাদর দান করেন। করোনা মোকাবিলায় চাদর কী কাজে লাগবে, বুঝলাম না।
আশাকর্মীদের দাবি, করোনা মোকাবিলার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য অতিরিক্ত ১০,০০০ টাকা ভাতা দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য সমস্ত সরঞ্জাম, যেমন— মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজ়ার, পিপিই কিট প্রভৃতি সরবরাহ করতে হবে।
বাণী বসু
সম্পাদিকা, ময়নাগুড়ি ব্লক,পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়ন
অন্ধকার
মে মাসে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় হলদিয়া শহর জুড়ে হাজার হাজার ত্রিফলা বাতি। ফলে অন্ধকারে ডুবে আছে শিল্পশহর হলদিয়া। ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত। কিন্তু মেরামতির উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক বছর ঝড়ে কম-বেশি ক্ষতি হয়। কিন্তু এ বার অত্যধিক পরিমাণে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পাল্লা দিয়ে শহরে যে হারে প্রতি দিন চুরি-ছিনতাই বাড়ছে, তাতে উদ্বেগে রয়েছেন শহরবাসী। ভগ্ন ত্রিফলাগুলি কবে সারানো হবে, তা নিয়ে সবাই চিন্তিত। প্রশাসন থেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হোক।
রাজেশ শাসমল
হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর
জলমগ্ন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি বলেছেন, রাস্তায় জল জমলেই কেউ কেউ চিৎকার করেন। চেন্নাইতে তো কোমর পর্যন্ত জল দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকে। কথাটা হয়তো মুখ্যমন্ত্রী ভুল বলেননি। তবে খারাপের সঙ্গে তুলনা না করে, তিনি ভাল-র সঙ্গে তুলনা করলে হয়তো মন্তব্যটা অন্য রকম হত।
পানিহাটিতে রেল লাইনের পূর্ব দিকের এইচবি টাউন, নবারুণ পল্লি, আনন্দলোক, উত্তরে সুভাষ নগরের মতো অনেক এলাকা, বা রেল লাইনের পশ্চিম দিকে মহাজাতির মতো কিছু এলাকা জল জমার প্রশ্নে চেন্নাইয়ের থেকে কিছু কম যায় না। এই সব এলাকায় জল জমার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ‘নিকাশি ব্যবস্থা প্রতিকার উদ্যোগ’ ২০১৭ সাল থেকেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানিয়ে যাচ্ছে। গত বছর এইচবি টাউনের লোকেরা এই সমস্যাতে বিরক্ত হয়ে রাস্তা অবরোধেও নেমে পড়েছিলেন। তার কিছু দিন বাদে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নোয়াই (সাজিরহাট) খাল প্রকল্প দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি-সহ মোট আট দফা দাবিতে অবস্থান করা হয় এবং ব্যারাকপুর মহকুমা শাসকের কাছে গণ-দাবিপত্র দেওয়া হয়। তার পরে পানিহাটির বিধায়কের পক্ষ থেকে জল জমার সমস্যা সমাধানের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা একটি প্রচারপত্রের মাধ্যমে জানানো হয়। কিন্তু এ বছরও কাজে বিশেষ অগ্রগতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যে কিছু এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার পুনঃসমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষা থেকে জানা যায়, বিটি রোডের ধারের ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার হয় না বলে জল জমার সমস্যা এত গুরুতর। আবার নাটাগড় মেন রোড-সংলগ্ন এলাকার নিকাশি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায় যে, সোনাই নদীর একটি অংশ বুজিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।
আলোক রায়
কলকাতা-১১০
বাতিল ভ্রমণ
মার্চের শেষ সপ্তাহে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক-সহ বিভিন্ন কেএমভিএন টুর-এর বুকিং করা ছিল। বুকিং করা হয়েছিল গত বছর নভেম্বর মাসে অনলাইনে। লকডাউনে যাওয়া বন্ধ। মেল করি টাকা ফেরত চেয়ে। মেলগুলো কেউ পড়েছে বলে মনে হয় না। মাঝে দু’এক বার অফিসে ফোনে যোগাযোগ করতে পেরেছিলাম। তখন বলা হয়েছিল, লকডাউন না উঠলে ওদের কিছুই করার নেই।
লকডাউন ওঠার পর জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক সামান্য কিছু টাকা কেটে বাকিটা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু বাকি টাকাগুলোর জন্য বলা হচ্ছে, ১০% কেটে ওরা নাকি টাকা ফেরত দিতে ইচ্ছুক। তবে যে হেতু ছ’মাস হয়ে গিয়েছে, তাই ব্যাঙ্ক নাকি টাকা ফেরত দিতে চাইছে না। একই যুক্তি তো জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কও দিতে পারত। ওরা তো টাকা ফেরত দিয়েছে। আবার ইউপি টুরিজ়ম-এর তরফে জানিয়ে দিল, ওরা টাকা ফেরত দেবে না। কারণ, লকডাউনের জন্য ওরা দায়ী নয়। কার কাছে নালিশ জানাব, বুঝতে পারছি না।
দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য
কলকাতা-৫৭
ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্য
খণ্ডঘোষ ব্লকের দামোদরের তীরবর্তী অঞ্চলে রয়েছে বালিখাদ, ইটভাটা ও রাইস মিল। ফলে বাঁকুড়া-বর্ধমান রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কে ইট, বালি, মাটি ও ধানের ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ অন্যান্য বিধিনিয়ম না থাকায় শিশু-কিশোররাও এ সব ট্রাক্টর অবাধে চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। কম সময়ে বেশি মাল সরবরাহের চেষ্টায় রেষারেষিও করছে। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। ট্রাক্টরের বেপরোয়া গতি ও কানফাটা আওয়াজের ফলে গ্রামের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।
সুকমল দালাল
খণ্ডঘোষ, পূর্ব বর্ধমান
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।